বিজয়ের লক্ষ্যে মাঠে নেমেছি : মেয়র প্রার্থী তাপস

প্রকাশিত: ০৯ জুন, ২০২৩ ১২:১২:৪৬ || পরিবর্তিত: ০৯ জুন, ২০২৩ ১২:১২:৪৬

বিজয়ের লক্ষ্যে মাঠে নেমেছি : মেয়র প্রার্থী তাপস

আল্লাহর সাহায্য নিয়ে এবং সন্মানিত ভোটারদের সমর্থন ও ভোট নিয়ে বিজয়ী হবো ইনশাল্লাহ। আমি বিজয়ের লক্ষ্যে নিয়ে মাঠে নেমেছি। অনেকে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করবে, আপনারা গুজবে কান দেবেন না। মাঠে থাকবেন। এবার দখলবাজদের খবর আছে, কোন ভোট চুরি ও ডাকাতি করার সুযোগ থাকবে না। আমি ৪ জুন ৩০ টি দফা দিয়ে আমার ইশতেহার ঘোষণা করেছিলাম। গতকাল নৌকার প্রার্থীর ইশতেহার ঘোষণায় ৩৫টি দফা উল্লেখ করেছেন। পত্রিকায় পড়ে দেখলাম আমার ইশতেহারের সাথে নতুন ৫টি যোগ করেছেন। তিনি নতুন কিছু কথা বলেছেন, তিনি বলেছেন "বাড়ি বানাতে আর টাকা চাঁদা দিতে হবেনা। "আমার প্রশ্ন আগে কাকে টাকা দিতে হতো? তিনি কোন দলের মেয়র ছিলেন? আপনি কোন দলের মেয়র প্রার্থী। তিনি আরও বলেছেন আগে উন্নয়ন হয়নি, তিনি উন্নয়ন করবেন। তাকে প্রধানমন্ত্রী পাঠিয়েছেন। আগের মেয়রকে কে পাঠিয়েছিল? গত ৫ বছর আপনারা ক্ষমতায় ছিলেন, এখন ক্ষমতার মেয়াদ আছে ৬ মাস। ক্ষমতায় থাকতেই উন্নয়ন করেননি তাহলে ভবিষ্যতে কিভাবে করবেন? প্রতারণার রাজনীতি জনগণ বুঝে তাদের সাথে দয়া করে আর মিথ্যাচার করবেন না। আপনাদের কোন ফাঁদে বরিশালবাসী পা দেবেনা। নির্বাচনের আর ৪ দিন বাকী। বর্তমান মেয়রকে কোথায় লুকিয়ে রেখেছেন? তাকে সাথে নিয়ে কেন আসেননা? এত ভয় কিসের। বরিশালের ভোটারদের বোকা ভাববেন না। তাহলে মস্তবড় ভুল করবেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার (৮ জুন) আসন্ন বরিশাল সিটি নির্বাচনে জাতীয় পার্টি মনোনীত মেয়র প্রার্থী প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন তাপস বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে গণসংযোগ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, বরিশালের সাংবাদিক সমাজ এবার সাহসিকতার সাথে সত্য কথা তুলে ধরছেন। আমি তাদেরকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমার পাশে সন্ত্রাসী বাহিনী, চাঁন্দাবাজবাহিনী নেই। আছেন বরিশালের সন্মানিত নাগরিক ও সাংবাদিক বন্ধুরা। আমি আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় করিনা। আমি যদি নির্বাচিত হতে পারি তাহলে বরিশালে আমার প্রথম কাজ হবে নাগরিক নিরাপত্তা, নারী, যুব ও শিশু -বান্ধব নগরী, নিরাপদ ও পরিচ্ছন্ন নগরী, টেকসই অবকাঠামো নির্মাণ, নগর পরিচালনায় স্বচ্ছতা, উন্নত নাগরিক সেবা এবং সকলের পরামর্শ গ্রহণ করে একটি আদর্শ উৎপাদন মূখী মেগা শহর গড়ে তোলা। তিনি আরও বলেন, লোডশেডিংয়ে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছে শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থরা। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্যাবসায়ী সমাজ। কারন শিল্প -কারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। অল্প বৃষ্টিতে চলাচলে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ করার কোন জায়গা নেই। এই অবস্থা থেকে লাঙ্গলই মুক্তির পথ হতে পারে।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজাউল ইসলাম ভূইয়া, জহিরুল ইসলাম জহির, বরিশাল মহানগর আহবায়ক অধ্যাপক মহসিন উল ইসলাম হাবুল, এম রহমান পারভেজ, হান্নান, জাতীয় পার্টি বরিশাল জেলা সদস্য সচিব এডভোকেট এম এ জলিল, এডভোকেট বসির আহমেদ সবুজ, কেএম জুবায়ের, জাতীয় যুব সংহতি বরিশাল জেলা আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম হেমায়েত, মহানগর আহবায়ক অধ্যাপক গিয়াস ও সদস্য সচিব অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম।


প্রজন্মনিউজ২৪/এমএ

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ