প্রকাশিত: ০৯ জুন, ২০২৩ ১০:২১:৪৩
রাবি প্রতিনিধি: ছাত্রাবাস থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৮ জুন) দিবাগত মধ্যরাতে বিনোদপুরের স্টুডেন্ট প্যালেস ছাত্রাবাস থেকে ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ওই শিক্ষার্থীর নাম তানভীর ইসলাম। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি নীলফামারী জেলার সদর থানার কাঞ্চন পাড়া এলাকায়। পিতার নাম আবু বকর সিদ্দিক।
ছাত্রাবাসের শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যা থেকে কক্ষে দরজা বন্ধ করে অবস্থান করছিলেন তানভীর। রাতে বাড়ি থেকে যোগাযোগ করতে না পেরে তার বাবা মেস মালিককে খোঁজ নিতে বলেন। তখন দরজায় কড়া নেড়ে কোন সাড়া পাননি তিনি। পরে জানালা দিয়ে দেখলে তাকে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। মৃত্যুর আগে একটা চিরকুটও রেখে গেছেন এই শিক্ষার্থী। সেই চিরকুটে তার মানসিকভাবে হতাশার কথা জানিয়েছেন।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, আমরা দড়ি দিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে পেয়েছি। পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে একটা সুইসাইড নোট পাওয়া গেছে। সুইসাইড নোটে স্বেচ্ছায় আত্মহত্যা করেছেন বলে লেখা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে আমরা তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবো।
এই ব্যাপারে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, খবর পাওয়ার পরে ঘটনাস্থলে গেলে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মৃতদেহ পাওয়া যায়। ময়না তদন্তের জন্য লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। এখনো আমরা মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে পারিনি। সঠিক কারণ জেনে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধারকৃত সেই চিরকুটে লেখা রয়েছে,"স্বেচ্ছামৃত্যু
প্রিয় বাবা-মা,
আপনাদের অনেক ভালোবাসি। জানিনা কোথায় কমতি ছিলো। আম্মুর জন্য বেশি খারাপ লাগতেছে। আমাদের ফ্যামিলিটায় আম্মুর অবদানটাই আমি বেশি মনে করি। কথাটা বলার অনেক কারণ সেগুলো হয়তো আব্বুও জানে। তোমাদের জন্য কিছুই করতেতো পাড়লামওই না, উল্টো ফামিলিটাই শেষ করলাম। ছোট বোনটার কথা আর বললাম না। কান্না পাচ্ছে।
দিনের পর দিন আপনাদের ঠকায় গেছি । এসব আপনারা জানতে পারলে হয়তো ভিতর থেকেই মরে যেতেন। সবসময় ভয়ে ভয়েই থাকতাম, গলা দিয়ে খাবার নামতো না।
বেশি বাড়াবো না আর, যে হারায় সেই হারানোর যন্ত্রনাটা বুঝে, আর কেউনা। শেষ করলাম সবকিছু। এসব কিছু থেকে বাঁচার জনই এই সিদ্ধান্তো, আর কোনো উপায় ছিলোনা আমার কাছে। শেষশেষ একাকিত্বই আমাকে গিলে খেলো। মনের শক্তি ফুরিয়ে এলে দেহের শক্তি যতোই থাক, সম্ভব না বাঁচা। যদিও ক্ষমার যোগ্য না আমি, পাড়লে ক্ষমা করে দিয়েন। আপনাদের অযোগ্য সন্তান।"
প্রজন্মনিউজ২৪/জাহিদ
আগামী বছর এসএসসি পরীক্ষা হবে পাঁচ ঘণ্টা
বৃষ্টির জন্য ‘সালাতুল ইসতিসকা’র অনুমতি দেয়নি ঢাবি প্রশাসন
বিশ্ব বই দিবস উপলক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বই দিতে রাবিতে 'মলাট' চালু
বিশ্ব বই দিবসে নিজের কক্ষেই লাইব্রেরি গড়ে তুললেন রাবি শিক্ষার্থী আকরাম
পদ্মায় গোসলে নেমে একসঙ্গে নিখোঁজ ৩ কিশোরের মরদেহ উদ্ধার
রাবিতে বিশ্ব বই দিবস উপলক্ষে বইপাঠ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত
মসজিদের পিলার খননের সময় মাটির নিচে চাপা পরে একজন নিহত