প্রকাশিত: ০৭ জুন, ২০২৩ ০৭:০০:১৮
জেলা প্রতিনিধিঃ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আল-হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক এবং ইবি শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ড. মোস্তাফিজুর রহমানকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে এক ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
বুধবার (৭ জুন) সকালে কুষ্টিয়ার হাউজিং আবাসিক এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
হামলাকারী সোহেল মাহমুদ অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের কুষ্টিয়া জেলার চৌড়হাস শাখার কর্মকর্তা। ভুক্তভোগী শিক্ষক ও সোহেল মাহমুদ উভয়ই কুষ্টিয়া হাউজিং এলাকার বাসিন্দা।
ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মতো বুধবার সকালে হাঁটতে বের হন ড. মোস্তাফিজ। এ সময় আবাসিক এলাকার হাউজিং ডি ব্লকের সামনে এলে তার ওপর হামলা চালান প্রতিবেশী ব্যাংক কর্মকর্তা সোহেল। এতে ড. মোস্তাফিজ বাম হাতের আঙুলে গুরুতর আঘাত পান। এ সময় তাকে পরিবারসহ শহর ছাড়তে এবং তা না হলে প্রাণ-নাশের হুমকি দেন ওই ব্যাংক কর্মকর্তা।
বিশ্ববিদ্যালয়টির ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুল বারীর বলেন, ‘আমি যখন ঘটনাস্থলে যাই, তখন ব্যাংক কর্মকর্তা সোহেল লাঠি নিয়ে আমাকেও মারতে উদ্যত হন। তবে পাশে লোকজন থাকায় পরে আমাকে কিছু বলেননি। পরবর্তীতে আহত ড. মোস্তাফিজকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই।’
স্থানীয়রা জানায়, অনেক দিন ধরেই ড. মোস্তাফিজের সাথে বিরোধ চলছিল ওই ব্যাংক কর্মকর্তার। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন সিনিয়র শিক্ষকসহ আলোচনার মাধ্যমে মীমাংসাও করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র অধ্যাপক ড. জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন সিনিয়র শিক্ষকরা মিলে বিষয়টি মীমাংসা করে দিয়েছিলাম। এরপরে এমন ঘটনা মেনে নেয়া যায় না। আমি মনে করি, এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকের ওপর হামলা। আমি ভুক্তভোগী শিক্ষককে আইনগত পদক্ষেপ নিতে বলেছি। বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের উচিত তার পাশে দাঁড়ানো।’
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন সোহেল মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘তার সাথে আমার বিরোধ ছিল। তিনি আমার অফিসের ডিজিএমের কাছে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ করেছেন। কিন্তু আমি মারধরের সাথে জড়িত নই। তিনি আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।’
ইবির সহকারী প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. শাহেদ আহমেদ বলেন, ‘ঘটনা শোনার পর হাসপাতালে ভুক্তভোগী শিক্ষকের সাথে দেখা করেছি। তাকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ দিলে বাসায় পাঠিয়ে দেই। তিনি আইনগতভাবে ব্যবস্থা নিতে চাইলে আমরা তাকে যথাসম্ভব সহযোগিতা করবো।’
এর আগে ভুক্তভোগীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষক কুষ্টিয়ার হাউজিংয়ের ডি ব্লকে বাড়ি নির্মাণ শুরু করলে বাধা দেন ওই ব্যাংক কর্মকর্তা। পরে তিনি কুষ্টিয়া পৌরসভায় অভিযোগ করলে সার্ভেয়ার এসে বিষয়টির মীমাংসা করে দেন। কিন্তু এরপরে কাজ শুরু করলে আবারো তিনি শিক্ষকদের হুমকি দেন। গত বছরের জুলাই মাসে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুল বারিকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করার অভিযোগ রয়েছে সোহেলের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চার অধ্যাপক।
এ হামলার ঘটনা শুনে ইবির সাধারণ শিক্ষার্থীরা এর সঠিক তদন্ত করে অভিযুক্তকে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
প্রজন্মনিউজ২৪/একে
স্বপ্ন পূরণে শিক্ষার্থীর পাশে রাজশাহী কলেজ
পর্তুগালে অভিবাসীদের কৃষিখাতে শোষণের হার বাড়ছে
সিলেটের গোলাপগঞ্জ থানার ওসিকে প্রত্যাহার চেয়ে আন্দোলনে সাধারণ মানুষ
নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার কারণ জানালো বিশ্বব্যাংক
পদার্থ বিজ্ঞানে নোবেল পেলেন তিন বিজ্ঞানী
টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংস্কার জরুরি
ইবিতে র্যাগিং ও ভাঙচুরের ঘটনায় ৬ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
মাদক বিরোধী অভিযানে নামলেন ইউপি চেয়ারম্যান ফজু
নোয়াখালীতে কারাগারে ঘুমের ভিতর হাজতির ২ চোখ নষ্ট করে দিল কয়েদী