নিজস্ব প্রতিবেদক: আদালতের রায়কে উপেক্ষা এবং অবমাননা করায় মামলায় ফাঁসতে যাচ্ছেন মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ভিসি প্রফেসর ড. নজরুল ইসলাম ও কলা অনুষদের ডীন ড. ওবায়দুল্লাহসহ কয়েকজন শিক্ষক ও কর্মকর্তা।

মানারাত ভার্সিটি ও মানারাত স্কুল এন্ড কলেজের মধ্যকার চলমান জমি সংক্রান্ত মামলায় আদালতের একটি সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করার অভিযোগ আনেন মানারাত ট্রাস্টের সদস্য ইন্জিনিয়ার আবুল বাশার এবং মানারাত স্কুল এন্ড কলেজের প্রিন্সিপাল ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) মেহেদী হাসান প্রামানিক।

তাদের ভাষ্যমতে, গত ১২ ফেব্রুয়ারী মাননীয় উচ্চ আদালত বিবাদমান জমি সংক্রান্ত মামলায় ৩ মাসের জন্য স্ট্যাটাস ক্যু বা স্থিতাবস্থা জারী করে এবং পরবর্তীতে গত ১৪ মে ২০২৩ আদালত কর্তৃক সেই স্ট্যাটাস ক্যু আরো ৬ মাস বর্ধিত করা হয়। এ পরিস্থিতিতেও মানারাত ভার্সিটির ভিসি প্রফেসর ড. নজরুল ইসলাম এবং ড. ওবায়দুল্লাহ ভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাস আশুলিয়াকে গুলশানে স্থানান্তরের জোর প্রচেষ্টা চালায় যা উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্তের সুস্পষ্ট অবমাননা।

এ ছাড়া মানারাত ভার্সিটির পক্ষ থেকে স্কুল এন্ড কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে গত ২২ মে ২০২৩ একটি পত্রের মাধ্যমে স্কুল এন্ড কলেজের কিছু শ্রেণীকক্ষ ভার্সিটিকে হস্তান্তর করতে বলে যা সম্পুর্ন বেআইনী এবং আদালতের রায়ের সু স্পষ্ট লংঘন।

গত ৩১ মে ২০২৩ স্কুল এন্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ পত্রের জবাব দেয় এবং আদালত অবমাননার বিষয়টি ভার্সিটি কর্তৃপক্ষের নজরে আনে। এদিকে মানারাত ভার্সিটির কয়েকজন শিক্ষক ও কর্মকর্তা স্থায়ী ক্যাম্পাস আশুলিয়ায় রাখার জন্য আন্দোলনরত ছাত্র ছাত্রীদের ফলাফল বিপর্যয়সহ নানা রকম হুমকি দেয়। উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্তকে আমলে না নেয়ায় তারাও ফাসতে যাচ্ছেন এ মামলায়।

প্রজন্মনিউজ২৪.কম/নূর/হিমেল