‘পণ্যের বদলে পণ্য’ আনবে পাকিস্তান

প্রকাশিত: ০৪ জুন, ২০২৩ ০১:২৯:১৭

‘পণ্যের বদলে পণ্য’ আনবে পাকিস্তান

নিজস্ব প্রতিবেদক: ডলার সংকটের কারণে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘বিনিময় বাণিজ্য’ শুরুর ঘোষণা দিয়েছে পাকিস্তান। বিনিময় বাণিজ্যে কাগজের অর্থের বদলে পণ্য কেনা হয় আরেক পণ্যের মাধ্যমে।

পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী সৈয়দ নাভিদ কামারের অনুমতিক্রমে গত ২ জুন থেকে আফগানিস্তান, ইরান ও রাশিয়ার সঙ্গে বিনিময় বাণিজ্যের বিষয়টি চালু করা হয়েছে।

পাকিস্তানের সরকারি ও বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান ইরান, আফগানিস্তান ও রাশিয়ার সঙ্গে ‘পণ্যের বদলে পণ্য’ নীতিতে এখন বাণিজ্য করতে পারবে।  

পাকিস্তানের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিনিময় বাণিজ্য শুরুর লক্ষ্য হলো— পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি এবং বাণিজ্য প্রসার করা। এর মাধ্যমে অর্থনীতি স্থিতিশীল হবে।

তবে যেসব প্রতিষ্ঠান বিনিময় বাণিজ্য করতে চায় তাদের কিছু নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করতে হবে। যার মধ্যে রয়েছে— পাকিস্তানের সিঙ্গেল উইন্ডো ব্যবস্থায় নিবন্ধন করতে হবে, আমদানি-রপ্তানির লাইসেন্স নিতে হবে, কেন্দ্রীয় রেভিনিও বোর্ডের অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে এবং ওই তিন দেশের পাকিস্তান মিশন থেকে সত্যতা যাচাই করতে হবে।

কোন পণ্য নিয়ে বাণিজ্য হবে?

এ ব্যবস্থার অধীনে পাকিস্তান বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করবে। যার মধ্যে থাকবে দুধ, ডিম, ক্রিম, ভোজ্য শস্য, মাংস, মাছ, তাজা ফল এবং সবজি, চাউল, ওষুধ পণ্য, ক্যামিকেল, পারফিউম, কসমেটিকস, প্লাস্টিক, রাবার, চামড়া, কাঠ ও ফার্নিচার, তৈরি পোশাক, কাগজ, জুতা, লোহা এবং স্টিল, বৈদ্যুতিক পাখা, গৃহস্থালি পণ্য, খেলাধুলার পণ্য, মোটরসাইকেল, ট্রাক্টর এবং অস্ত্রোপচারের পণ্য।

অপরদিকে পাকিস্তান প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করবে। প্রতিবেশি আফগানিস্তান এবং ইরান থেকে তারা আনবে ফল, সবজি, মসলা, ড্রাই ফ্রুট, মিনারেল এবং ধাতু, টেক্সটাইলের মেশিন, তেল বীজ, মিনারেল, কয়লা, কাঁচা তুলা, আয়রন এবং স্টিলের পণ্য।

এছাড়া ইরান থেকে জ্বালানি তেল, তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস আনবে ইসলামাবাদ।

অপরদিকে রাশিয়া থেকে কয়লা ও কয়লাজাত পণ্য, পেট্রোলিয়াম তেল, তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস, সার, মিনারেল, কাঠ এবং কাগজ, প্লাস্টিক এবং রাবারের উৎপাদিত পণ্য, টেক্সটাইলের ভারী মেশিন, ডাল এবং গম আনবে পাকিস্তান।

পাকিস্তান কীভাবে এতে লাভবান হবে?

পণ্যের বিনিময়ে পণ্য বাণিজ্য করলে পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার ওপর চাপ কমবে। বর্তমানে দেশটির কাছে বৈদেশিক রিজার্ভ আছে মাত্র ৪ বিলিয়ন ডলার। যা দিয়ে মাত্র এক মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে।

তবে কিছু বিশ্লেষক বলছেন, ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ‘বিনিময় বাণিজ্য’ অনেক পুরোনো একটি প্রথা। কিন্তু বিশ্বায়ন, আন্তসম্পর্কিত বাণিজ্য এবং আধুনিক ব্যবস্থার কারণে এ প্রথা এখন গুরুত্ব হারিয়েছে।


প্রজন্মনিউজ২৪/এএইচ

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ