প্রকাশিত: ৩০ মে, ২০২৩ ০৫:৪৬:৫১
নিউজ ডেস্ক: মানারাত ট্রাস্ট নামক একটি দাতব্য সংস্থা যা ১৯৭৯ সাল থেকে মানারাত ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ পরিচালনা করে আসছে। ১৯৯৫ সালে ট্রাস্টটি মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা গ্রহণ করে এবং এ লক্ষ্যে ১৯৯৬ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে। ২০০১ সালের ৩ এপ্রিল ট্রাস্টটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য সরকারি অনুমোদন লাভ করে এবং সে বছরই ২১ মে বিশ্ববিদ্যালয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়। ঢাকার গুলশানে ৭৩ জন শিক্ষার্থী নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি পাঠ দান কার্যক্রম শুরু করে।
মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আশুলিয়া ক্যাম্পাস নিয়ে চলছে নানামুখী তৎপরতা। ২০১৭ সালে স্থায়ী ক্যাম্পাস হিসেবে কার্যক্রম শুরু হয় মানারাতের আশুলিয়া ক্যাম্পাসের। তৎকালীন সরকারের দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান প্রতিমন্ত্রী জনাব ডা: এনামুর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে এ ক্যাম্পাসের উদ্বোধন করেন।
২০১৭ সাল থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে আশুলিয়ার স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে এই বিশ্ববিদ্যালয়। ২০১৭ সালের মার্চ মাসে বিশ্ববিদ্যালয় মন্জুরি কমিশনের একটি প্রতিনিধি দল আশুলিয়া ক্যাম্পাস পরিদর্শন করেন এবং তারা ভুয়সী প্রশংসা করেন। তার ভিত্তিতে স্থায়ী ক্যাম্পাস হিসেবে এখানেই ভর্তি হয় হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রী।
কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে শোনা যাচ্ছে মানারাতের আশুলিয়া ক্যাম্পাস স্থানান্তর করে গুলশানে নেয়া হবে। এ বিষয়টিকে কেন্দ্র করে গত ২৯ মে আশুলিয়া ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছে সাধারণ ছাত্ররা। তাদের দাবী তারা স্থায়ী ক্যাম্পাস জেনেই আশুলিয়ায় ভর্তি হয়েছে, আশুলিয়াতেই তারা শিক্ষা জীবন শেষ করতে চায়।
জানা যায়, একটি আভ্যন্তরীন মিটিং এ মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ভিসি প্রফেসর ড. নজরুল ইসলাম বলেন, আগামী ১ জুন ২০২৩ মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ট্রাস্টের বোর্ড মিটিং এর পর আশুলিয়া ক্যাম্পাস গুলশানে স্থানান্তরের কার্যক্রম শুরু হবে। এই ঘোষণায় ছাত্র-ছাত্রীরা নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে। ছাত্র-ছা্ত্রীদের দাবী প্রায় আড়াই হাজার রেজিস্টার্ড ছাত্র-ছাত্রী আশুলিয়া ক্যাম্পাসে আর গুলশানে আছে ছয় থেকে সাতশত ছাত্র-ছাত্রী। কেন আমরা গুলশানে যাবো? তাছাড়া গুলশানে নেই কোন খেলার মাঠ, পর্যাপ্ত ক্লাসরুম নেই, ল্যাবরেটরী সুবিধার কথা সেখানে ভাবাই যায় না।
সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয়, গুলশান ক্যাম্পাস নিয়ে এখন মামলা চলমান। ক্যাম্পাসের জমিতে কোর্টের নিষেধাজ্ঞা বিরাজমান। এর কোন আইনগত বৈধতা নেই। এমতাবস্থায় কর্তৃপক্ষ কেন আশুলিয়াকে গুলশানে স্থানান্তরের চিন্তা করছে তা বোধগম্য নয়। ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের ক্যারিয়ার এবং ভবিষ্যত নিয়ে শংকিত।
প্রজন্মনিউজ২৪/খতিব
পঞ্চগড়ে আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস উদযাপন'২৪
হিট স্ট্রোকে শিক্ষার্থীর মৃত্যু
আগামী বছর এসএসসি পরীক্ষা হবে পাঁচ ঘণ্টা
গাজার অর্ধেক জনসংখ্যা ‘অনাহারে’ : জাতিসঙ্ঘ
গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর ইসরায়েলের ভেতর গভীরতম হামলা হিজবুল্লাহর
জলবায়ু পরিবর্তনের মূল আঘাত যাচ্ছে এশিয়ার ওপর দিয়ে: জাতিসংঘ
পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছে কুয়াকাটা
বোরহানউদ্দিন উপজেলায় ভোটার স্মার্ট কার্ড বিতরণ
খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় বন্দি করা হয়েছে তা সর্বজনবিদিত