বিএনপির পতাকাতলেই থাকতে চান বহিষ্কৃত কামাল

প্রকাশিত: ২৮ মে, ২০২৩ ০৩:০৮:৪৮

বিএনপির পতাকাতলেই থাকতে চান বহিষ্কৃত কামাল

পটুয়াখালী প্রতিনিধি: দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নিজের জনপ্রিয়তা প্রমাণে মির্জাগঞ্জ উপজেলার কাকড়া বুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের উপনির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছিলেন ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামাল হোসেন। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মোঃ সেলিম মিয়ার কাছে চারশ ঊনিশ ভোটে হেরে যান তিনি। কিন্তু দল থেকে তাকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়।নির্বাচন শেষে এখন প্রশ্ন উঠেছে, বহিষ্কৃত কামালকে সাধারণ ক্ষমা করে ফিরিয়ে নেওয়া হবে নাকি স্থায়ীভাবে বহিষ্কার থাকবেন। তবে তার আশা সাধারণ ক্ষমা পাবেন তিনি এজন্য কেন্দ্রীয় আবেদন করবেন।

প্রথমবার ইউপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে ২ হাজার ২৬৪ ভোট পাওয়া ইউনিয়ন বিএনপি'র সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন বলেন, বিএনপি তার রক্তে মিশে আছে। জনগণের চাহিদার প্রতি সম্মান জানিয়ে তিনি প্রার্থী হয়েছিলেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত প্রিয় সংগঠন বিএনপি'র পতাকা তলেই থাকতে চান।

শীঘ্রই দলের কাছে লিখিত আবেদন করবেন বলে জানান তিনি। তার আশা দল নিশ্চয়ই তাকে ক্ষমা করে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নেবেন। বিএনপি'র নেতৃত্বের প্রতি তার আঘাত শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা আছে। দলের প্রতি তিনি অনুগত। পটুয়াখালী জেলা বিএনপির আহবায়ক আব্দুর রশিদ চুন্ন মিয়া বলেন, কেন্দ্রীয় পর্যায়ে থেকে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, গত ২১ ফেব্রুয়ারি কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহাবুবুল আলম স্বপন হৃদ যন্ত্রের দিয়া বন্ধ হয়ে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেলে চেয়ারম্যান পদটি শূন্য হয়। নির্বাচন পরিষদের ঘোষিত তফসিল অনুসারে গত ২৫  মে সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত ইভিএমএ ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সাতজন চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

এই ইউনিয়নে ১৫ হাজার ৫২৯ ভোটারের মধ্যে ৮ হাজার ৪৯৯ জন তাদের ভোট প্রদান করেন। এতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ সেলিম মিয়া ২ হাজার ৬৮৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। আর মোঃ কামাল হোসেন ২ হাজার ২৬৪ ভোট পেয়ে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি হন।


প্রজন্মনিউজ২৪/জাহিদ

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ