সচেতনতা সৃষ্টি করছে ডিএনসিসির দৃষ্টিনন্দন গ্রাফিতি

প্রকাশিত: ০৭ মে, ২০২৩ ০২:৫৫:৩৪ || পরিবর্তিত: ০৭ মে, ২০২৩ ০২:৫৫:৩৪

সচেতনতা সৃষ্টি করছে ডিএনসিসির দৃষ্টিনন্দন গ্রাফিতি

এম সাঈদ নকীব:  ‘হর্ন বাজাবেন না’, ‘পোস্টার না লাগাই’, ‘গাছ লাগাই পরিবেশ বাঁচাই’, ‘তিন দিনে একদিন জমা পানি ফেলে দিন’ এমন সচেতনতামূলক চিত্রকর্ম শোভা পাচ্ছে রাজধানীর মগবাজার থেকে সাতরাস্তামুখী ফ্লাইওভারের নিচের পিলারগুলোতে। ব্যানার-পোস্টার তুলে ধবধবে সাদা রঙের ক্যানভাসে ফুটে উঠছে চোখজুড়ানো এসব গ্রাফিতি।

এরই মধ্যে নগরবাসী ও পথচারীদের আকৃষ্ট করছে গ্রাফিতির দৃশ্য। অনেকেই তা মোবাইলের ক্যামেরায় বন্দি করছেন।  ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) তত্ত্বাবধানে এই উদ্যোগটি নেয়া হয়েছে।  

ডিএনসিসির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, মগবাজার থেকে এ যাত্রা শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে ঢাকা উত্তর সিটির সব ফ্লাইওভারে গ্রাফিতি করা হবে। গ্রাফিতির পরিকল্পনার বিষয়ে মেয়র বলেন, পরিকল্পনাটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তিনিই আমাকে নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, ফ্লাইওভারের খুঁটিগুলোয় গ্রাফিতি করে সৌন্দর্য বাড়াও। মূলত মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মাথা থেকেই এসেছে এই পরিকল্পনা। আমরা শুধু বাস্তবায়ন করছি। এরই মধ্যে ব্যাপক সাড়া পেয়েছি।

আতিকুল ইসলাম বলেন, আমি যখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়ে বললাম, আপা পিলারগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী আইডিয়া দিয়ে বললেন, ‘তুমি পিলারগুলোর গায়ে গ্রাফিতি করে ফেলো। মেয়র বলেন, ‘আর্ট করার পর দেখলাম মানুষের উচ্ছ্বাস। যেখানে এক সময় প্রস্রাবের দুর্গন্ধে যাওয়া যেত না, সেখানেই এখন মানুষ দাঁড়িয়ে ছবি তুলছে। এটি বড় পরিবর্তন। সবার সহযোগিতা পেলে এভাবেই পরিবর্তন সম্ভব।’

তিনি বলেন, ‘কাজটা ব্যয়বহুল। এটা যুক্তরাষ্ট্র, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিলসহ অনেক দেশেই আছে। আমরা চাই ধাপে ধাপে উত্তর সিটির সবগুলো পিলারে এভাবে পেইন্টিং করে দিতে।’ মেয়র বলেন, ‘শুধু রঙিন করা নয়। আমরা সেখানে বিভিন্ন বার্তা দিয়ে যাচ্ছি। হারিয়ে যাওয়া বাউল সংগীতের দৃশ্য ফুটিয়ে তুলেছি; যেন আমাদের তরুণ প্রজন্ম বাউল গান সম্পর্কে ধারণা নিতে পারে। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের বার্তা দেওয়া হচ্ছে। পোস্টার লাগাবেন না, গাড়িতে অযথা হর্ন বাজাবেন না- এরকম শিক্ষামূলক বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করছি। এর পরও সেখানে যদি কেউ বিজ্ঞপ্তি দেয় বা পোস্টার লাগায়, তাহলে আইন অনুযায়ী জেল-জরিমানা করা হবে।’

যারা গ্রাফিতির নেতৃত্ব দিচ্ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থী মো. আবু সুফিয়ান। তিনি বলেন, আমরা প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে ভোর পর্যন্ত কাজ করি। এখানে যে কাজগুলো করা হচ্ছে সেগুলো টেকসই, পরিবেশবান্ধব। প্রতিদিন ৩০-৩৫ জন চিত্রশিল্পী কাজ করেন। অধিকাংশই ছাত্র। তবে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে রিকশা প্রিন্টে যুক্ত শিল্পীদের কাজে লাগানো হয়েছে।


প্রজন্মনিউজ২৪/নকীব

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ