আমার চোখ ফুটিয়ে তোলার কারিগর বৈশাখের 'শালিক'

প্রকাশিত: ১৪ এপ্রিল, ২০২৩ ০৬:০৭:৫৫ || পরিবর্তিত: ১৪ এপ্রিল, ২০২৩ ০৬:০৭:৫৫

আমার চোখ ফুটিয়ে তোলার কারিগর বৈশাখের 'শালিক'

ফারাজ (ছদ্মনাম) : ২০১৫ সালের ১৪ই এপ্রিল শালিকের সাথে আমার প্রথম দেখা টাউন ফুটবল মাঠের বৈশাখী মেলাতে। গোলুমুলু মেয়েটা সালোয়ার কামিজ পরা ছিলো। প্রথম দেখাতে তার চোখ গুলি আমার অসম্ভব পছন্দ হয়। তারপর নানান বাহানায় গড়ে তুলি বন্ধুত্ব।

অসম্ভব সুন্দরী মেয়েটার সাথে আমার বন্ধুত্ব গড়ে দিয়েছিলো বৈশাখী মেলার দূর্বা ঘাসে আচ্ছাদিত সবুজ মাঠ। আমি আজীবন কৃতজ্ঞ সে মাঠের প্রতি। বিকেল তখন ৫টা বাজে। নানা দিকে মানুষের কেনাকাটার হট্টগোলের শব্দ। এদিকে তার সাথে কথা বলার ছুতনো খোঁজার সর্বোচ্চ চেষ্টায় মগ্ন আমি। তখন খুব একটা সুবিধা না করতে পারলেও বাসায় ফেরার পথে অন্ধকারে দুএকটা পড়াশোনা নিয়ে কথা হয়। এতেই যেনো মেলা প্রশান্তি। বলে রাখা ভাল এই প্রথম আমার এতো ভালো লাগে কোন মেয়েকে।

এরপর হাটি হাটি পা পা করে সম্পর্কের বাসা বুনতে থাকি আমরা। তাঁর বানানো বাসা এতোটাই নিখুঁত যেখানে হাজারো ঝড় বৃষ্টিতে কোন রকম ক্ষতি হয়নি বাসার। আবার কোন সময় ভাঙা বাসা নিয়ে অন্য জাগায় তৈরি করতে হয়নি। আমার আজীবন প্রত্যাশায় থেকে যাবে বাসা বানানোর এই কারিগর।

এমন মেয়ের মায়ায় আমি আজ পর্যন্ত পড়ি নাই। জানিনা পড়ব কিনা। মেয়েটার হাত ধরে আমার অনেক কিছু শেখা। বিশ্ববিদ্যালয়, বন্ধুত্ব,  সফলতা এগুলির অনেকটাই তার কৃতিত্ব। বলা যায় আমার চোখ ফুটিয়ে তোলার কারিগর। তার ভরা কন্ঠ আমার চোখের পানি।

প্রথম প্রণয়ের শুভেচ্ছা মেয়েটাকে। সদা সরল স্বভাবের স্বীকারোক্তি বাচ্চা মেয়েটা ভালো থাকুক। হাসুক প্রাণ খুলে। বহু পুরনো অভ্যাস তার কাছে পত্র দেয়া। কিন্তু সাময়িক পৃথিবীর নেটওয়ার্ক জটিলতায় তার কাছে সরাসরি পত্র পৌছাতে পারতেছি না। এজন্য এ মাধ্যম বেঁচে নেয়া। ১৪ এপ্রিল ২০২৩ রাত ১২ টা ১ মিনিট বেজে অনেকটা সময় গড়িয়ে যাচ্ছে। আমার যেনো পুরনো অভ্যাস তীব্র জেগে ওঠছে। তীব্র যন্ত্রণা দিচ্ছে। এই বুঝি 'শালিক' পাখি হোপ ফুলিয়ে বসে আছে। ভাবছে হয়ত আমি সব ভুলে গেছি। স্মৃতির পাতায় আঁকানো তোমার ছোট ছোট নখ। বেশি বেশি ঠান্ডা লাগা। ভুলি নাই।

বৈশাখীর শুভেচ্ছা। শালিক পাখি। আমার সারাজীবনের প্রত্যাশিত মুল্যবান এ পাখিটি।

 শিক্ষার্থী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন





ব্রেকিং নিউজ