ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে মির্জাগঞ্জ প্রেসক্লাবের সম্পাদকের চাঁদাদাবি,থানায় অভিযোগ

প্রকাশিত: ২৬ মার্চ, ২০২৩ ০২:০৭:২০ || পরিবর্তিত: ২৬ মার্চ, ২০২৩ ০২:০৭:২০

ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে মির্জাগঞ্জ প্রেসক্লাবের সম্পাদকের চাঁদাদাবি,থানায় অভিযোগ

পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে মাধবখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান কাজী মিজানুর রহমান লাভলু কাছে লাখ টাকা চাঁদা দাবি করায় রফিকুল ইসলাম সাদ্দাম নামে এক কথিত সাংবাদিকের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী।

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) রাত সাড়ে ১০ টায় কথিত সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম সাদ্দামকে প্রধান করে পাঁচজন অজ্ঞাত আসামীর বিরুদ্ধে মির্জাগঞ্জ থানায় এ অভিযোগ দায়ের করা হয়।  অভিযুক্ত সাদ্দাম উপজেলার পশ্চিম সুবিদখালী গ্রামের আবদুল মজিদ মুন্সির ছেলে ও ৬ সদস্যের মির্জগঞ্জ প্রেসক্লাবের সম্পাদক।

ভুক্তভোগীর সাথে কথা বলে ও অভিযোগ থেকে জানা গেছে, রফিকুল ইসলাম সাদ্দাম একটি দৈনিক পত্রিকায় গত রবিবার (১২ মার্চ) ওই চেয়ারম্যানকে জড়িয়ে "মির্জাগঞ্জে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির হতদরিদ্রদের চাল নিয়া চালবাজি" শিরোনামে মিথ্যা ও মনগড়া তথ্য দিয়ে একটি সংবাদ প্রকাশ করেন। এর আগে শনিবার (১১ মার্চ) সংবাদটি প্রকাশ না করার শর্তে মুঠোফোনে চেয়ারম্যানের কাছে এক লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন ওই সাংবাদিক।ওই দিনই রাত আটটার সময় উপজেলা পরিষদের পুকুরের ঘাটলার উপর ওই সাংবাদিকের সাথে চেয়ারমানের দেখা হয়। তখন সে পুনরায় দাবিকৃত চাঁদার টাকা চাইলে চেয়ারম্যান তার সাথে থাকা নগদ ১৬,০০০/- (ষোল হাজার) টাকা তাকে দেয়। তখন ওই সাংবাদিক তার সাথে আরো লোক আছে বলে বাকি ৮৪,০০০/-টাকা দুই দিনের মধ্যে দিতে হবে বলে চাপ দেয়। কিন্তু পরের দিনই (১২ মার্চ) সে নিউজটি প্রকাশ করে।

উক্ত সংবাদের প্রতিবাদে পরদিন (১৩ মার্চ) একটি সংবাদ সম্মেলন করেন চেয়ারম্যান। এতে সে (সাদ্দাম) ক্ষিপ্ত হয়ে মঙ্গলবার (২১ মার্চ) দুপুর আনুমানিক পৌনে দুইটার সময় অজ্ঞাত কয়েকজন লোকসহ পরস্পর যোগসাজসে মটরসাইকেল যোগে অসৎ উদ্দেশ্যে চেয়ারম্যানের বসতঘরের সামনে যায় । তখন চেয়ারম্যান বাসা থেকে বের হলে তার (সাদ্দাম) পূর্বের দাবীকৃত চাঁদা চাইলে চেয়ারম্যান দিতে অস্বীকৃতি জানালে তার বসত ঘরের (বিল্ডিং) বিভিন্ন এ্যাঙ্গেলের ছবি তুলতে থাকে। তখন চেয়ারম্যান তার ঘরের ছবি তুলতে নিষেধ করলে অভিযুক্ত সাংবাদিক সাদ্দাম ও তার সাথে থাকা লোকদের সাথে বাক-বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে অভিযুক্ত সাদ্দাম চেয়ারম্যানকে উদ্দেশ্য করে বলে- "তোর কাছে ১,০০,০০০/-টাকা চাইছিলাম, কিন্তু তুই ১৬,০০০/-টাকা দিছো, বাকি ৮৪,০০০/-টাকা দাও নাই, বাকি টাকা দিয়া দিবি" অন্যথায় তাঁর (চেয়ারম্যান) বসত ঘরের ছবিসহ ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের বিষয়ে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করিবে বলিয়া বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকী দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম সাদ্দামের মুঠোফোনে একাধিক বার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। মির্জাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন বলেন, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রজন্মনিউজ২৪/খতিব

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ