২২ মার্চ ভূমি-গৃহহীনমুক্ত হচ্ছে ইন্দুরকানী

প্রকাশিত: ২১ মার্চ, ২০২৩ ০৫:১৯:৪৪

২২ মার্চ ভূমি-গৃহহীনমুক্ত হচ্ছে ইন্দুরকানী

হাসিব বিল্লাহ, পিরোজপুর প্রতিনিধিঃ মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে আশ্রায়ণ প্রকল্পের-২ এর মাধ্যমে দেশের অসহায়, দরিদ্র ও ভূমিহীন পরিবারগুলোকে দেয়া হয়েছে গৃহ পুনর্বাসনের সুবিধা। আর এরই ধারাবাহিকতায় পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলায় তিন ধাপে ৬৩০ জন ভূমিহীন পরিবার পেয়েছেন আশ্রায়ণ প্রকল্পের ঘর।

নির্মাণাধীন আরো ২১৪ টি ঘরের মধ্যে ইতিমধ্যে সম্পন্ন হওয়া চতুর্থ ধাপে এ উপজেলার ৭৪ টি পরিবার পাচ্ছেন আগামী ২২ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর। এর মধ্যে পাড়েরহাট ইউনিয়নে ৪৫টি, পত্তাশী ইউনিয়নে ১৪ টি এবং চন্ডিপুর ইউনিয়নে ১৫ টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে।

দুই শতক খাস জমির উপর নির্মিত হওয়া এ ঘরের সামনে বারান্দা, রান্নাঘর, স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটারি ল্যাট্রিন, বিদ্যুৎ, সুপেয় পানির ব্যবস্থা সহ দুই কক্ষ বিশিষ্ট রঙিন টিনের চাউনিতে ইটের দেয়ালে ঘেরা আধাপাকা বাড়ি ঐদিন উপকারভোগীদের মাঝে হস্তান্তর করা হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঐদিন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জমির মালিকানা সহ ঘরগুলোর হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধন ও পিরোজপুর জেলা সহ এ উপজেলাকে আনুষ্ঠানিকভাবে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করবেন।

এদিকে হোগলাবুনিয়া আশ্রায়ণ প্রকল্পে মাথা গোজার ঠাঁই হওয়া ভূমিহীন শোভারানী,ভিক্ষুক আলতাফ হোসেন,শারীরিক প্রতিবন্ধী জবেদা বেগম ভিক্ষুক শামীম, কলারন আশ্রায়ন প্রকল্পের বৃদ্ধ সালাম গাজী, চাড়াখালী গুচ্ছগ্রামের ভ্যান চালক স্বপন হাওলাদার, দেবীপুর আশ্রয়ন প্রকল্পে ঘর পাওয়া ভূমিহীন ঝুমুর বেগম, পশ্চিম বালিপাড়ার সালমা, কলারনের জলিল জোমাদ্দার,কচা নদীর পাড়ে পারেরহাটের আশ্রায়ণ প্রকল্পের চম্পা বেগম, বিধবা শেফালী বেগমের মত অনেকের চোখে মুখে এখন খুশির ঝিলিক। প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে তারা পাচ্ছেন আপন নিবাস। মাস ছয়েক আগেও ভাবেননি এমন একটা সুন্দর মাথা গোজার ঠাঁই হবে তাদের। যেখানে হবে তাদের একটা স্থায়া ঠিকানা। তাদের কাছে সত্যিই এটা স্বপ্নের মত। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতার শেষ নেই তাদের। উপকারভোগীরা বলেন,আমাদের মত ভুমিহীন অসহায় আশ্রায়হীনদের ঠিকানা গড়ে দেয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই।

১নং পাড়েরহাট ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান শাওন বলেন দেশের লাখ লাখ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে গৃহ পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা সত্যিই বিশে^র ইতিহাসে একটি বিরল ঘটনা। এজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আমি বিশেষ ভাবে ধন্যবাদ জানাই।

৪নং ইন্দুরকানী সদর ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ করিম তালুকদার বলেন ইন্দুরকানী উপজেলাকে ভুমিহীন মুক্ত করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আমি বিশেষ ভাবে ধন্যবাদ জানাই। এখনও কিছু ভূমীহিন রয়েছে, ভোটার অন্য এলাকায় থাকায় তাদের দেয়া সম্ভব হয়নি,তাদেরকে ঘর দেওয়ার ব্যাপারে উপর মহলে অব্যহিত করা হয়েছে।

ইন্দুরকানী উপজেলা নির্বাহী অফিসার লুৎফুন্নেসা খানম,‘দেশের একজন মানুষও ভূমিহীন ও গৃহহীন থাকবেনা’ মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন ঘোষণা বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে ইন্দুরকানী উপজেলা প্রশাসন। উপজেলার ৫ ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহার আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় এখন পর্যন্ত ৬৩০টি পরিবারের জন্য রঙিন পাকা ঘর নির্মাণ শেষে উপকার ভোগীদের মাঝে

হস্তান্তর করা হয়েছে। আগামী ২২ মার্চ আরো ৭৪টি ভূমিহীন পরিবারকে আমরা জমি সহ ঘর হস্তান্তর করব। এছাড়া এ উপজেলায় ১৪০টি ঘর নির্মানাধীন অবস্থায় রয়েছে। নির্মান কাজ সম্পন্ন হলে ঘর গুলো হস্তান্তর করা হবে।

এ প্রসঙ্গে ইন্দুরকানী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাড. এম মতিউর রহমান বলেন, গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আ.লীগ সরকরের নির্বাচনী ইশতেহার ছিল দেশের একটি পরিবারও ভূমিহীন ও গৃহহীন থাকবেনা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের ভুমিহীন ছিন্নমূল পরিবার গুলোর মাথা গুজোর ঠাঁই করে দিয়েছেন। এই প্রকল্প বর্তমান আ.লীগ সরকারের একটি রোল মডেল কারণ এভাবে বিশে^র আর কোন দেশে আশ্রয়হীনদের জন্য সরকারিভাবে নিরাপদ ছাদ তৈরির ব্যবস্থা হয়নি।


প্রজন্মনিউজ২৪/খতিব

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ