কোটচাঁদপুরে মেয়ের মুখে বিষ ঢেলে হত্যার অভিযোগ

প্রকাশিত: ১৬ মার্চ, ২০২৩ ০৬:৩৯:৩২

কোটচাঁদপুরে মেয়ের মুখে বিষ ঢেলে হত্যার অভিযোগ

রোকনুজ্জামান ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ মেয়ের মুখে বিষ ঢেলে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে থানায় এজাহার করেছেন ওই মেয়ের পিতা আব্দুর রহিম। 

বৃহস্পতিবার কোটচাঁদপুর থানায় জামাইসহ ৪ জনের নামে এজাহার করেন তিনি। অভিযোগ হিসেবে নেয়া হয়েছে,তদন্তের পর ব্যবস্থা নেয়া হবে বললেন,থানার ডিউটিরত উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুজ্জামান।

মেয়ের পিতা আব্দুর রহিম বলেন, পলাশ মন্ডলের সঙ্গে গেল ৩/৪ বছর আগে আমার মেয়ে সুরজানা খাতুন(২২) এর বিয়ে হয়। সে কোটচাঁদপুর উপজেলার ভগবানপুর গ্রামের জসিম উদ্দিনের ছেলে। 

বিয়ের পর তাদেরকে নগদ টাকা,ও বিভিন্ন আসবাবপত্র দেয়া হয়। এরপরও বিভিন্ন বাহানায় আমার মেয়েকে মারধর করেন। সম্প্রতি তারা আমার মেয়ের কাছে ২ লাখ টাকা যৌতুক দাবী করেন। মেয়ে আমার কথা ভেবে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এতে করে তারা রাগান্বিত হয় এবং মারপিট করেন। 

একপর্যায় গেল (১৪-০৩-২৩) মঙ্গলবার দুপুর ৩.৩০ মিনিটের সময় আমার মেয়ের মুখ চেপে ধরে মুখে বিষ ঢেলে দেন,মেয়ের শ্বাশুড়ী নাজমা বেগম। এ সময় জামাই পলাশ মন্ডল মেয়ের এক হাত ধরে থাকেন,শ্বশুর জসিম উদদীন ধরেন আরেক হাত আর ভাসুর শিমুল মন্ডল মেয়ের দুই পা চেপে ধরে রাখেন। পরে অবস্থা বে-গতিক দেখে মেয়ে সুরজনাকে উদ্ধার করে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

খবর পেয়ে আমরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে দেখতে পায়, তারা আমার মেয়েকে ফেলে রেখে পালিয়েছেন।

তিনি বলেন,তারা আমার মেয়েকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল। আমি এর বিচার চাই। বৃহস্পতিবার (১৬-০৩-২৩) তারিখে আব্দুর রহিম বাদি হয়ে জামাইসহ ওই পরিবারের ৪ জনের নামে থানায় এজাহার করেছেন।

সুরজনা খাতুন(২২),সে ঝিনাইদহ সদর থানার ওয়ারিয়া গ্রামের আব্দুর রহিমের মেয়ে। বর্তমানে সে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসাধীন রয়েছে। সুরজনা বলেন,বিয়ের পর থেকে তারা আমার উপর বিভিন্ন কারনে নির্যাতন করেন। গেল মঙ্গলবার দুপুরে তারা আমাকে মেরে মুখে বিষ ঢেলে দেন। এ সময় আমার চিৎকার স্থানীয়রা ছুটে আসলে তারা ছেড়ে দেন। পরে ভয়ে পড়ে হাসপাতালে নিয়ে এসে ফেলে রেখে চলে যান। 

তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন,সুরজনার স্বামী পলাশ মন্ডল ও তাঁর পরিবারের লোকজন। তিনি বলেন,তাঁর সঙ্গে কিছুই হয়নি আমার। ঘটনার দিন আমি ঘর থেকে বের হয় পাশে গরু বের করতে যায়। এরপর ফিরে এসে ঘর থেকে ফোন নিতে যায়। এ সময় সে তাঁর ব্যাগে থাকা বিষের বোতল মুখে ঢেলে দেন। ওই সময়ই আমরা তাকে উদ্ধার করে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করি। তারা আমাদের ফাসানোর জন্য মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। 

এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর থানার ডিউটিরত উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুজ্জামান বলেন, এ ধরনের একটা এজাহার হয়েছে। তবে আমরা অভিযোগ আকারে নিয়েছি। স্যার এসে দেখবেন।এরপর এটার তদন্ত হবে। তারপর ঘটনা অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নিবেন।


প্রজন্মনিউজ২৪/খতিব

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ