রাবি শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের সংঘর্ষের ঘটনার সুষ্ঠ বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত: ১৬ মার্চ, ২০২৩ ০৫:০০:১০

রাবি শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের সংঘর্ষের ঘটনার সুষ্ঠ বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

রাবি প্রতিনিধিঃ স্থানীয়দের সাথে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনার সুষ্ঠ বিচার ও ছাত্র-ছাত্রীদের পূর্ণাঙ্গ নিরাপত্তা এবং ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ই মার্চ) বেলা সাড়ে এগারোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের পাশে নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষকবৃন্দের ব্যানারে মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, গত ১১ তারিখ কালো একটি দিন। যেদিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী রক্তাক্ত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘ জীবনে আমি কখনো এতোগুলো শিক্ষার্থীকে রক্তাক্ত হতে দেখিনি। এতো বড় একটি ঘটনা কেনো ঘটলো? ঘটনার সাথে কারা সম্পৃৃক্ত? কাদের গাফিলতি ছিল? এবং পুলিশ কেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া শিক্ষার্থীদের উপর গুলি চালালো? এই বিষয়গুলোকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই।

তিনি আরো বলেন, আমরা মনে করি এই ঘটনার একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত হওয়া উচিৎ। যারা দোষী তাদেরকে বিচারের আওতায় আনা উচিৎ। আমরা দেখেছি আমাদের শিক্ষার্থীরা নির্মমভাবে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছে। তাদের সমস্ত শরীরে গুলির চিহ্ন লেগে আছে। প্রশাসন কেনো সঠিক সময়ে ব্যবস্থা নিতে পারেনি? কেনো বিষয়টি এত ঘোলাটে আকার ধারণ করলো? এভাবে আমাদের শিক্ষার্থীরা রক্তাক্ত হোক আগামী দিনগুলোতে আমরা সেই প্রত্যাশা করি না। শিক্ষক হিসেবে আমি চাই, শিক্ষাঙ্গনে নিড়াপদ ও লেখাপড়ার একটি সুষ্ঠ পরিবেশ বজায় থাকুক এবং শিক্ষার্থীদের উপর নিপীড়ন বন্ধ করা হোক।

পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেন, এই ক্যাম্পাসে যা ঘটছে, তা আমাদের যথেষ্ট পরিমাণে বিচলিত করছে। যখন কোনপ ঘটনা ঘটে, সেটা নিয়ে আমাদের মধ্যে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এবং সে উত্তেজনায় আমরা অনেক ধরনের উগ্র কর্মকাণ্ড চালাই। তারপর ঠান্ডা পানির মতো আমরাও শীতল হয়ে যাই এবং অদূর ভবিষ্যতে আবার একটি ঘটনা ঘটার জন্য অপেক্ষা করতে থাকি। পুনরায় সেই ঘটনা ঘটলে আমরা আবার তীব্র উত্তেজনা প্রদর্শন করবো এবং খুব শীঘ্রই সে উত্তেজনাও প্রশমিত হবে। কিন্তু তার ভেতরে বহু ছাত্র-ছাত্রী আহত হবে, বহু রকমের ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটবে এবং আমরা আবার আরেকটা ঘটনার জন্য অপেক্ষা করবো। এটাই স্বাভাবিকভাবে চলে আসছে এবং আমরা ভাবি, পরবর্তীতে যখন ঘটবে তখন ব্যবস্থা নেবো।

তিনি হতাশা ব্যক্ত করে বলেন, আমাদের মধ্যে শিক্ষা থাকলে এই মানসিকতা তৈরি হওয়ার কোন সুযোগ ছিলো না। যারাই আহত হয়েছে সেটা শিক্ষার্থী হোক বা বহিরাগত হোক, সবার প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করছি। এসময় তিনি শিক্ষার্থীদের দেওয়া ছয় দফা দাবিও উপস্থাপন করে সেগুলো মেনে সে অনুযায়ী কাজ করার জোর দাবি জানান।

মানববন্ধনটি সঞ্চালনা করেন আরবি বিভাগের অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসুদ। এসময় আরো বক্তব্য রাখেন, নাগরিক ছাত্র ঐক্যের সভাপতি মেহেদী হাসান মুন্না, রাকসু আন্দোলন মঞ্চের সমন্বয়ক আব্দুল মজিদ অন্তর এবং সদস্য সচিব আমানুল্লাহ খান।


প্রজন্মনিউজ২৪/একে

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ