প্রেমিক হিসেবে সাংবাদিকরাই সেরা!

প্রকাশিত: ১১ মার্চ, ২০২৩ ০৬:১৭:৪২

প্রেমিক হিসেবে সাংবাদিকরাই সেরা!

লাইফস্টাইল ডেস্কঃ প্রেম মানব জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। জীবনে একবার হলেও কেউ না কেউ প্রেমে পড়েন; যেকোনও বয়সে, যেকোনও পেশায় থাকাবস্থায় প্রেম আসতে পারে। প্রেমিক/প্রেমিকা নির্ধারণ করা নিয়েও অনেকে দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকেন। সঙ্গী বা সঙ্গীনি যথেষ্ট সময় দিতে পারবে কি না, কোন পেশার সঙ্গী হলে ভালো ইত্যাদি। এক্ষেত্রে প্রশ্ন হতে পারে- প্রেমিক হিসেবে সাংবাদিক কেমন?

সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী, অন্য যেকোনও পেশার মানুষের চেয়ে সাংবাদিকরা প্রেমিক বা প্রেমিকা হিসেবে অনেকটাই এগিয়ে। কারণ কাজের প্রয়োজনে তাদের বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয়। ফলে যেকোনও জায়গার ঠিকানা জিজ্ঞাসা করলে জবাব পাওয়া যায় খুব সহজে। এছাড়া পেশার খাতিরে তাদের পড়াশোনাও করতে হয় প্রচুর। তাই যেকোনও বিষয়ের উপর মোটামুটি জ্ঞান তাদের থাকে।

ভাবতে পারেন সাংবাদিক মানেই বিপদজনক। ভুল, সাংবাদিকরা সঙ্গী হিসেবে অসাধারণ হয়ে থাকে। দেশ ও দশের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি একজন সাংবাদিক তার সঙ্গীর প্রতিও থাকে বিশ্বস্ত। এটি ঠিক যে একজন সাংবাদিকের সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্কে জড়ানো সহজ কথা নয়। এর বড় কারণ হলো এ পেশায় সম্মান থাকলেও পারিশ্রমিক অন্য পেশার তুলনায় কম।

এমন কি তারা কাজের প্রতি অনেক বেশি নিবেদিত থাকেন। সবার ছুটি থাকলেও তাদের ছুটি মেলে কম। যে কারণে প্রিয়জন এবং পরিজনদের সময়ও দিতে পারে না। তবে এটিও ঠিক যে, সাংবাদিকের সাথে সর্ম্পকে জড়ানো ততটাও অলাভজনক নয়, যতটা মানুষেরা মনে করেন। সাংবাদিকের সঙ্গে জীবন জড়ালে আপনি অনেক ক্ষেত্রে লাভবান হবেন, অনেক বেশি অভিজ্ঞতায়ও সমৃদ্ধ হবেন। জেনে নিন একজন সাংবাদিকের সঙ্গে প্রেম করার ইতিবাচক দিকগুলো-

সৃজনশীল
একজন সাংবাদিককে অবশ্যই সৃজনশীল হতে হয়। জ্ঞানপূর্ণ এবং আকর্ষক গল্পগুলো তারা পাঠকের সামনে উপস্থাপন করে যা কিনা নিউজরুমের সীমার বাইরেও প্রসারিত হয়। একজন সাংবাদিকের সঙ্গে প্রেম করার অন্যতম সুবিধা হলো সে আপনাকে সবচেয়ে স্নিগ্ধ উপায়ে মুগ্ধ করতে পারবে। এমনকী তার দেওয়া কষ্ট কিংবা অবহেলাও হবে একইরকম সৃজনশীল!

অন্তহীন কথোপকথন
সাংবাদিকরা বোকা এবং স্মার্টনেসের একটি নিখুঁত মিশ্রণ। বিশ্বের চারপাশে যা ঘটছে তার খোঁজ তারা স্বাভাবিকভাবেই রাখে। তাদের সঙ্গে কথোপকথন আকর্ষণীয়। কথা চালিয়ে গেলে তা আপনাকেও জ্ঞান বাড়াতে সাহায্য করবে, তাদের সঙ্গে কথা অবিরাম কথা বললেও আপনি বিরক্ত হবেন না। কারণ তারা যেকোনো বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যেতে পারে।

টাকা তাদের কাছে মূখ্য নয়
তাদের কাজের প্রতি অনুরাগই তাদের চালিত করে, অর্থ নয়। যদি এটি অর্থ তৈরির বিষয়ে হতো, তবে তারা এই পেশায় থাকতো না। তারা তাদের পরিশ্রমের হিসাবে ততটা উপার্জন নাও করতে পারে, তবে তারা সময়কে বিনামূল্যে উপভোগ করতে পারে।  শুধু ভালোবাসা আর নেশার তাগিদেই অনেকে এই পেশা বেছে নেন। টাকার চেয়ে তাদের কাছে সম্মান অনেক বড়। এই মনোভাব সাংসারিক জীবনেও কাজ করে। ফলে স্বামী বা স্ত্রীর আয় নিয়ে তাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। এমন সঙ্গী পাওয়া সত্যি ভাগ্যের ব্যাপার।

বিশ্বস্ত
বিশ্বাস হলো অন্যতম বৈশিষ্ট্য যা সাংবাদিকদের মধ্যে রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রেকর্ডের বাইরে রাখা থেকে শুরু করে তারা অনেক কিছুই নিরাপদ ও গোপন রাখতে জানে। নিশ্চিন্ত থাকুন, আপনি যদি একজন সাংবাদিকের সঙ্গে প্রেম করেন তবে আপনার বিশ্বাস ভঙ্গ হবে না এবং আপনার গোপনীয়তা সব সময় নিরাপদ থাকবে।

মাল্টিটাস্কিং তাদের শক্তি
অগণিত উৎস, সময়সীমা এবং ভীষণ চাপের পরিবেশে কাজ করা তাদের অন্যতম দক্ষতা। সাংবাদিকরা মাল্টিটাস্কিংয়ে বিশেষজ্ঞ। তারা তাদের কাজ এবং তাদের সম্পর্কের মধ্যে পুরোপুরি ভারসাম্য রাখতে পারে। তারা সারাদিনের পরিশ্রমের পরেও সঙ্গীকে ভালোবাসা এবং যত্ন দিতে পিছপা হয় না।

আপনাকে স্পেস দেবে
সাংবাদিকদের তুচ্ছ বিষয় নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় নেই। তারা আপনাকে এক মিলিয়ন প্রশ্ন দিয়ে অতিষ্ঠ করবে না বা আপনি কীভাবে আপনার দিনের প্রতিটি মিনিট কাটিয়েছেন তা জানার দাবি করবে না। তারা আপনাকে স্পেস দেবে এবং বিনিময়ে একই আশা করবে।

কঠোর পরিশ্রমী
সাংবাদিক হওয়া সহজ নয়। এটি কঠোর পরিশ্রম এবং নিঃশর্ত অধ্যবসায় দ্বারা ভারাক্রান্ত একটি জীবন। পিআর- এর সঙ্গে কাজ করা থেকে শুরু করে খবরের উৎসের পেছনে দৌড়ানো, কোনোটিই সহজ নয়। তারা ঠিক জানে যে কোনোকিছু সঠিকভাবে পেতে এবং কার্যকর করতে কী লাগে; এবং তাদের ব্যক্তিগত জীবনের ক্ষেত্রেও একই আচরণ আশা করে।

ভালো শ্রোতা
সাংবাদিকদের সবসময় মজার মজার গল্প থাকে। তারাও কিন্তু দারুণ শ্রোতা, তারা সত্যিকার অর্থে আপনার প্রতি আগ্রহ দেখাবে। তারা আপনার করা সামান্য ইঙ্গিতও ধরে ফেলতে পারদর্শী।

সহায়ক
সাংবাদিকরা প্রয়োজনে অন্যকে সাহায্য করার জন্য নিজের সামর্থ্যের বাইরেও যায়। এক্ষেত্রে অপরিচিত কেউ হলেও কোনো ব্যাপার না। তারা তাদের প্রচেষ্টায় কোনো ঘাটতি রাখে না। এটা বলাই যায় যে, সাংবাদিকদের হৃদয় বড় হয়।

ফ্রি টিকিটের আনন্দ
আপনার প্রিয় খেলা, কনসার্ট বা একটি শিল্প ইভেন্টে যোগ দিতে চান? আপনার ইচ্ছা হলেই তাকে জানান। কয়েকটি ফোনকলের মাধ্যমে কয়েক মিনিটের মধ্যেই টিকিট পেয়ে যাবেন!


প্রজন্মনিউজ২৪/একে

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন





ব্রেকিং নিউজ