প্রকাশিত: ১০ মার্চ, ২০২৩ ০৬:৪০:০৬ || পরিবর্তিত: ১০ মার্চ, ২০২৩ ০৬:৪০:০৬
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রিয় বিষয়ে পড়ার স্বপ্ন বাংলাদেশের লাখো শিক্ষার্থীর। কিন্তু লাখো প্রতিযোগির ভিড়ে সামান্য কয়েক হাজার শিক্ষার্থী পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পায়। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবন মানেই নতুন জীবনের সূচনা এবং স্বপ্ন ছোঁয়ার আবেগে ভরপুর।
প্রত্যেক নবীন শিক্ষার্থীর কাছে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রথম দিনের স্মৃতি অমলিন। কয়েকজন নবীন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দিনের গল্প ও অনুভূতি নিয়ে " স্বপ্ন যাত্রার প্রথম দিনের গল্প " ফুটিয়ে তুলেছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল নাঈম।
শত প্রত্যাশা,স্বপ্ন বোনা, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম পদাচরণ ছিলো এক স্বগীয় অনুভূতি..
ছোট বেলা থেকেই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার ইচ্ছা ছিলো তীব্র।তাইতো ভর্তিযুদ্ধক্ষেত্রে জয়ী হয়ে নিজের কাঙ্ক্ষিত স্থান লাভ ও হাজার ভিড়ের মাঝে নিজেকে তুলে ধরা খুব কম মানুষের ভাগ্যেই জুটে। শত প্রত্যাশা,স্বপ্ন বোনা, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম পদাচরণ ছিলো এক স্বগীয় অনুভূতি..।
"পাখির কলতানে ,ফুলের সুবাসে আজ মেতে উঠেছে মন , বসন্তই যে করেছে এই অপার আয়োজন"।
পলাশ, কৃষ্ণচূড়া,শিমুলের রক্তিম লাল সৌন্দর্যে যখন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাস মুখোরিত,তখনি সেই অপার সৌন্দর্য নবীনদের বরণ করে নেয়ার জন্য আকুল হয়ে অপেক্ষায় ছিলো। দিনটি ছিলো ১৪ ফেব্রুয়ারী (১লা ফাল্গুন), সমস্ত আকাঙ্ক্ষা ,উৎকন্ঠার অবসান ঘটিয়ে সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক দিয়ে ঢুকার সময়ের অনূভুতি ছিল সত্যিই অতুলনীয়। তারপর অডিটোরিয়ামে অভিজ্ঞতা আরো রোমাঞ্চকর। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচিতি,স্যারদের ভালোবাসায় সিক্ত বাণীতে,নিজের মধ্যে এক অন্য আমিকে খুজে পেয়েছিলাম।
অতঃপর ডিপার্টমেন্টের সিনিয়রদের ভালোবাসার মাধ্যমে ক্যাম্পাসে নিজের পরিবারের শূন্যতা খানিকটা হলেও মেটাতে পেরেছি। তাদের আদর ও ভালোবাসাময় কথা গুলো জীবনকে এক নতুন মাত্রা এনে দিয়েছে। আজ নবীন মেঘের সুর লেগেছে আমার মনে, আমার ভাবনা যত উতল হলো অকারণে।’ রবীন্দ্রনাথের এই গানের মর্মটা আমি এখন উপলব্ধি করতে পারছি।অবশেষে বলতে চাই,নোবিপ্রবির অরিয়েন্টেশন আমার জীবনের এক বিশাল অংশ হয়ে থাকবে সবসময়।
আল মামুন
অর্থনীতি বিভাগ,নোবিপ্রবি।
সেশনঃ ২০২১-২২
এ মুহূর্তগুলো আমার জীবনে সব সময় স্মৃতি হয়ে থাকবে...
এক যুগ আমরা পড়াশোনা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এসে পৌঁছেছি। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক মন্ডলী ও বড় ভাইয়া এবং আপুদের অতিথি পরায়ণতা যেন পরিবারের কথা মনে করিয়ে দেয়।বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দিন নিয়ে সবারই অনেক প্রত্যাশা ও আকাঙ্ক্ষা থাকে।এই দিনটিতে আমি অনেক বেশি উত্তেজিত ছিলাম।কিন্তু তার সাথে সাথে আমি একটু কষ্টেও ছিলাম।জীবনে এই প্রথম আমি আমার মায়ের আদর গায়ে না মেখে ঘর থেকে বাহিরে যাব।
এখানে সবকিছু আমাদের অচেনা অজানা তবুও এতোটুকু সময় যতটুকু পরিচিত পেয়েছি তাতে ধন্য আমরা। আশা করি আমরা আমাদের কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো। নতুন করে নতুন জায়গায় সবার সাথে পরিচয় হয়ে ভালো লাগা কাজ করছিল।বিশেষ করে যারা আমার জেলার মানুষ। সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দ নিজ নিজ বিভাগের সম্পর্কে বলে দেওয়ার মাধ্যমে আমাদের অরিয়েন্টেশন শেষ হলো।
এরপর আমার ডিপার্টমেন্ট অরিয়েন্টেশন শুরু হলো একটু পরে ।আমার বিভাগের নতুন সহপাঠীদের সাথে পরিচিত হয়ে আমি খুবই খুশি হই। তারপর শ্রদ্ধেয় স্যার ও ম্যাডামের সঙ্গে কুশল বিনিময় হয়। স্যার ও ম্যাডামরা অনেক আন্তরিক ছিল আমাদের জন্য । এটা আমার অনেক ভালো লেগেছিল। তারপর বিভাগের বড় ভাইয়া ও আপুদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেছিলাম।তাদের সঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলো আমার জীবনে সব সময় স্মৃতি হয়ে থাকবে এবং আমি কখনই ভুলব নাহ।দিন শেষে আমার জীবনে এটি সেরা মুহূর্ত ছিল।
সূবর্না ফেরদৌস সুচী
শিক্ষা,নোবিপ্রবি।
সেশনঃ ২০২১-২২
"শত দ্বৈরথ পেরিয়ে কলেজ জীবনের ঘটে যায় ইতি,
বলবৎ হয় প্রতিটি মনে স্বপ্নের ভার্সিটি।"
পারিবারিক পিছুটান গুচিয়ে নিয়ে শত মাইল পাড়ি দিয়ে স্বপ্নের ভার্সিটিতে পদার্পন করে মনে হয়েছিল যেন অধরা স্বপ্ন হাতের মুঠোয় মুষ্টিবদ্ধ করতে পেরেছি। স্ আমার খানিকটা লজ্জা লাগছিলো এত প্রতিভার ভিড়ে ক্ষুদ্র আমিকে দেখে আবার গর্বও হচ্ছিলো সবার মাঝে আমিও একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ভেবে। যথারীতি সকল কর্মসূচি পালনের মাধ্যমেই সমাপ্তি হলো সেন্ট্রাল অরিয়েন্টেশন এর। কিন্তু আসল চমক ছিল ডিপার্টমেন্টাল অরিয়েন্টেশনে যেখানে পরিচিত কিছু মুখ পেয়ে উৎফুল্ল হয়ে উঠি এবং অচেনা মুখগুলো(সম্মানিত সিনিয়র ও শিক্ষকমণ্ডলী) সীমাবদ্ধ করা সময়ের মধ্যেই আপন করে নিল।
সিনিয়র ভাই ও আপুরা নিজেদের পরীক্ষার চাপ উপেক্ষা করে নবীনদের আপন করে নেওয়ার জন্য এই সুন্দরতম প্রচেষ্টাকে আমি কৃতজ্ঞতা জানাই। আমার বিভাগে আমার জেলার অনেক বন্ধু পেয়ে আপ্লুত হই এবং অনুষ্ঠান শেষে তাদের সাথে বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরতে বেরিয়ে পড়ি। ছিমছাম গোছানো আমার প্রাণের ১০১ একরের ক্যাম্পাস দেখে বুঁদ হয়ে যাই। এই গোল চত্বর, পকেট গেইট,প্রশান্তি পার্ক,শান্তি নিকেতন, নীলদিঘীর প্রাঙ্গনে জমানো স্মৃতিগুলোকে পুঁজি করেইতো কাটবে আগামী ৪ বছর পরের জীবন।
আসিফ ইকবাল সজিব
কৃষি বিভাগ, নোবিপ্রবি
সেশনঃ ২০২১ - ২২
হাসি-আনন্দ ও ঘুরাঘুরিতে কেটে গেলো স্বপ্নের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দিন....
ফ্রেবুয়ারি মাসের ১৪ তারিখ খুবই উৎকন্ঠতায় ও চিন্তায় সকালবেলা ঘুম থেকে উঠলাম। আজ আমার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রথম ক্লাসের দিন। নতুন জীবন এবং নতুন সহপাঠীরা কেমন হবে এ বিষয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তা ছিলে মনে মনে৷ সবকিছু বাদ দিয়ে রওনা দিলাম স্বপ্নের নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে। বিভাগের সিনিয়রদের ফুলের শুভেচ্ছা গ্রহণের মাধ্যমে নবীনবরণ অনুষ্ঠানে সূচনা হলো। বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ এবং সিনিয়র ভাইয়া ও আপুরা দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্যের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুললেন বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে আমাদের লক্ষ্য কি এবং সেটা অর্জনের জন্য কি করা উচিত আমাদের। নবীনবরণ অনুষ্ঠান শেষে নতুন সহপাঠীদের সাথে পরিচিত হলাম। হাসি- আনন্দ ও ঘুরাঘুরিতে কেটে গেলো স্বপ্নের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দিন। নতুন করে শুরু হলো এক জীবনের।
সুমাইয়া আক্তার বৃষ্টি
এমআইএস ডিপার্টমেন্ট,নোবিপ্রবি
সেশনঃ ২০২১-২২
প্রজন্মনিউজ২৪/জেড আই
জাপানকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের অনুরোধ জানালেন সিইসি
ফারুকের শূন্য আসনে ভোট ১৭ জুলাই, হবে ব্যালটে
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা, ভোট ব্যালটে
এভারেস্ট জয়ের ৭০ বছরে জয়ীদের কীর্তি বললেন সন্তানরা
৭ লাখ টাকা মোহরানায় দাদি নাতির বিয়ে
ফুল ও সবজি বাগানে বদলে গেছে রৌমারী থানার দৃশ্যপট
মাকে গুলি করে হত্যা : অস্ত্র মামলায় ছেলের বিচার শুরু