জন্মদাত্রী মাকে বাঁচাতে সন্তানের আকুতি

প্রকাশিত: ০২ মার্চ, ২০২৩ ০৪:০১:১৩

জন্মদাত্রী মাকে বাঁচাতে সন্তানের আকুতি

আব্দুল্লাহ আজাদ জেলা, প্রতিনিধি: মায়ের পায়ের নিচে  সন্তানের বেহেশত, দেখিলে মায়ের মুখ মুছে যায় সব দুঃখ।

তিন সন্তানের জননী রুবি বেগম (৫২)। স্বামী আমিনুল ইসলাম পেশায় একজন অটোরিক্সা চালক। বড় মেয়ে রুপা খাতুন প্রতিবন্ধী। স্বামীর আয় দিয়ে চলছিল দুই ছেলে-মেয়ে রবিন ইসলাম ও সুমাইয়া আক্তারের লেখাপড়াসহ সংসারের যাবতীয় খরচ। 

অভাবের সংসার তারপরও সুখের কমতি ছিলো না এতটুকু অভাবের সংসারে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে থাকে তাদের দুই ছেলে-মেয়ে। হঠাৎ সেই সুখের সংসারে হানা দিলো রুবি বেগমের ব্রেস্ট ক্যান্সার। সহায় সম্বল বিক্রি করে চিকিৎসা করাতে গিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়ে পরিবারটি। বন্ধ হয়ে যায় আমানতুল্লাহ ইসলামী একাডেমি থেকে এসএসসি পড়ুয়া একমাত্র ছেলে রবিনের লেখাপড়া (বর্তমানে অটোরিকশা চালক)।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ১৭নং জগ্ননাথপুর ইউনিয়নের  ৭নং ওয়ার্ডের হাজীপাড়া গ্রামের এই দরিদ্র পরিবারে এখন কালো মেঘের ছায়া। এর আগে রবিন ইসলামের সহপাঠী ও জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে আর্থিক সহযোগিতা নিয়ে প্রথমে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতাল, এবং পরে দিনাজপুর আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

শত কষ্টের মাঝেও ভ্যান চালিয়ে সেই ছেলেই মাকে বাঁচাতে ছুটছেন মানুষের দ্বারে দ্বারে। চিকিৎসক বলেছেন সুস্থ হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে রুবি বেগমের। এরজন্য কমপক্ষে প্রয়োজন লাখ টাকা। তবে চিকিৎসার এ ব্যয় বহন করা সম্ভব হচ্ছে না অসহায় পরিবারটির পক্ষে।

রবিন ইসলাম বলেন, অসহায় এই ছেলের কাছে মায়ের চিকিৎসার খরচ জোগানো দুরুহ বিষয়। জানি না কত দিনে মায়ের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারবো। তবে আমি আমার মাকে বাঁচাতে চাই। মামনীয় প্রধানমন্ত্রীও একজন মা। আমি জানি আমার এই আকুতি তাঁর কাছে পৌঁছালে তিনি আমার মায়ের জন্য একটা ব্যবস্থা করবেন।

রবিন ইসলামের পরিবারকে সাহায্য পাঠাতে পারেন এই বিকাশ নাম্বারে : ০১৭৩২৬৬২৮৩২,  নগদ: 01320412409


প্রজন্মনিউজ২৪/উমায়ের

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ