শিশুদের নাম রেখে কোটিপতি হয়েছেন যিনি

প্রকাশিত: ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩ ০১:৫৭:০৯

শিশুদের নাম রেখে কোটিপতি হয়েছেন যিনি

শিশুদের নামকরণও পেশা হতে পারে তা প্রমাণ করেছেন জন টেলর এ হামফ্রে। এ পেশায় এসে তিনি শুধু খ্যাতিমানই হননি প্রচুর অর্থও কামিয়েছেন।

আমেরিকার নিউইয়র্কের বাসিন্দা টেলর পেশাদার নামকরণিক। সদ্যোজাতদের জন্য নিখুঁত এবং মানানসই নাম ঠিক করে দেওয়াই ৩৩ বছর বয়সি টেলরের নেশা এবং পেশা।

সন্তানদের নামকরণের ব্যাপারে বাবা-মায়েদের সমস্যা সমাধান করতে ১৮০০ ডলার করে নেন টেলর।
 
বাচ্চার মানানসই নাম ঠিক করে দিয়ে কিছু কিছু অভিভাবকের কাছে ৮ হাজার ৯ হাজার ডরার পারিশ্রমিক নেন টেলর।
 
সংবাদমাধ্যম দ্য নিউইয়র্কারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে টেলর বলেন, ‘যদি বাচ্চাদের সবচেয়ে জনপ্রিয় নামগুলো দেখা যায়, তা হলে দেখা যাবে যে এই সব নামের অর্থে আমাদের সংস্কৃতি এবং মূল্যবোধ অন্তর্নিহিত রয়েছে।’

টেলর জানিয়েছেন, ২০২২ সালে তিনি একশোরও বেশি বাচ্চার নামকরণ করেছেন।
দুই লাখ ডলারেরর বিনিময়ে কী কী পরিষেবা দেন টেলর? টেলর জানিয়েছেন, ওই টাকার বিনিময়ে বাবা-মায়েরা তার সঙ্গে সন্তানের নাম নিয়ে ফোনে আলোচনা করতে পারেন।
 
পাশাপাশি টেলর ওই অভিভাবকদের একটি নামতালিকা পাঠান। যেখান থেকে বাবা-মায়েরা নিজেদের পছন্দমতো নাম বেছে নিতে পারেন। তালিকা তৈরি হয় ওই পরিবারের পূর্বপুরুষদের নাম বিশ্লেষণের পর।

৯৬৭৪ ডলারের বিনিময়ে এই সব পরিষেবা ছাড়াও বাবা-মায়ের ব্যবসা এবং পেশার সঙ্গে মিলিয়েও তাদের সন্তানের নামতালিকা দেন টেলর।
 
২০১৫ সালে এই পেশায় হাতেখড়ি হয় টেলরের। সেই সময় তিনি নিজের হাতে তৈরি একটি নামতালিকা দিয়ে সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যবসা শুরু করেন।


টেলর বলেন, ‘প্রথমে ইনস্টাগ্রামে আমার ফলোয়ারের সংখ্যা অনেক কম ছিল। কিন্তু আমি বাচ্চাদের নামকরণের জন্য বিভিন্ন অভিনব নাম ঠিক করে তা পোস্ট করার পর থেকে আমার ফলোয়ার বাড়তে থাকে। অনেকেই এই বিষয়ে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে বাচ্চাদের নামকরণের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন।’
   
টেলর জানান, ২০১৮ সালে তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে শিশুর নামকরণ প্রক্রিয়ায় অভিভাবকদের সাহায্য করে তিনি খুব মহৎ কাজ করছেন।

একই সঙ্গে টেলর বুঝতে পেরেছিলেন যে, এই কাজে তার বিশেষ দক্ষতা রয়েছে। তাই নিজের ব্যবসা নিয়ে আরও সচেতন হন। কীভাবে এই ব্যবসা আরও বাড়ানো যায়, তা নিয়েও চিন্তা-ভাবনা শুরু করেন।

টেলর জানিয়েছেন, আবার অনেক সদ্যোজাতদের নামকরণ নিয়ে তাকে প্রচুর ঝক্কি পোহাতেও হয়। কিছু কিছু বাচ্চার অভিভাবকদের কোনো নামই পছন্দ না হওয়ায় তাকে অনেক বেশি খাটতে হয় বলেও টেলর জানান।

তবে পরিশ্রমের যথাযথ মূল্যও পান টেলর। কয়েক বছরের ব্যবসায় টেলর বর্তমানে বহু অর্থের মালিক হয়েছেন তিনি।


প্রজন্মনিউজ২৪/একে

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ