অধ্যক্ষ সালাম মাদানী'র বিরুদ্ধে মামলায় জনগণের নিন্দা ও প্রতিবাদ

প্রকাশিত: ০৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩ ০২:১৬:১৮ || পরিবর্তিত: ০৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩ ০২:১৬:১৮

অধ্যক্ষ সালাম মাদানী'র বিরুদ্ধে মামলায় জনগণের নিন্দা ও প্রতিবাদ

সাকিব ইমদাদুল, সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুস সালাম আল-মাদানী বহুল পরিচিত ও ঐতিহ্যবাহী গোবিন্দ নগর ফজলিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ।একাধারে গোবিন্দগঞ্জ নতুন বাজার মসজিদের খতিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন দীর্ঘ ৩০ বছর থেকে।

সম্প্রতি গত ২৭জানুয়ারী শুক্রবার খতিব হিসেবে জুমার বয়ান করা অবস্থায় কাওছার আহমদ নামের যুবক মাদানী সাহেবের বক্তব্যে আপত্তি জানায় এবং মসজিদের ভিতরে আপত্তিকর ভাষায় মানহানি করার চেষ্টা ও মসজিদের পরিবেশ বিরোধী আচরণ করে। উপস্থিত মুসল্লি ও মাদানী সাহেব তাৎক্ষণিক পরিবেশ শান্ত করেন।

নামাজ শেষ হওয়ার পর আবার কাওছার নামের সেই যুবক মাদানী সাহেব কে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করলে উপস্থিত মুসল্লিদের কেউকেউ তাত্ক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তাকে প্রতিহত করেন। কেউ কেউ তাকে মাদকাসক্ত বলেও দাবি করছেন।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ভূমিকা রাখেন গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সুন্দর আলী,স্বেচ্ছাসেবক লীগ ছাতক উপজেলা সভাপতি ওবায়দুর রউফ বাবলু,আওয়ামীলীগ নেতা মাওলানা আখতার আহমদ। ঘটনার কিছুক্ষণ পর ছাতক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান টেলিফোনে কথা বলে মাওলানা মাদানীকে শান্তনা দেন। অথচ দিনের মধ্যেই নিজের অবস্থান পরিবর্তন করে এই ঘটনাকে রাজনৈতিক রং লাগিয়ে মাওলানা মাদানীকে অশালীন ভাষায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উস্কানিমূলক লেখালেখি করেন এই উপজেলা চেয়ারম্যান।

এমন তুচ্ছ ঘটনাকে সুযোগ হিসেবে কাজে লাগিয়ে সালাম মাদানী'র সামাজিক ও রাজনৈতিক ইমেজ নষ্ট করতে উঠেপড়ে লেগেছে আরেকটি কুচক্রী মহল।

মসজিদের ভিতর উদ্ভট আচরণকারী কাওছার কে দিয়ে করানো হয়েছে সাজানো মামলা। আর অপপ্রচার চালানো হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমনটাই অভিযোগ করছেন মাদানী সাহেবের ঘনিষ্ঠজন। সম্প্রতি শিক্ষাব্যবস্থায় অসঙ্গতি নিয়ে দেয়া বক্তব্যের বিরোধিতা করে সালাম মাদানীর সাথে অপমানজনক আচরণ করে মুসল্লিদের তোপের মুখে পড়া কাওছার আবার অসাধু চক্রের প্ররোচনায় মামলা করে বসে মাদানীর বিরুদ্ধে।

এদিকে কাওছার কর্তৃক ছাতক থানায় মিথ্যা অভিযোগ দায়েরের প্রতিবাদ এবং সকল ষড়যন্ত্র বন্ধের দাবি জানিয়েছেন নিরাপদ বাংলাদেশ চাই ইউকের সভাপতি মুসলিম খাঁন,ছাতক ইসলামিক সোসাইটির চেয়ারম্যান মুহাম্মদ  শাহ আলম,বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসসিরিন  সুনামগঞ্জ জেলা সভাপতি মাওলানা আব্দুস সাত্তার,বাংলাদেশ মসজিদ মিশন সুনামগঞ্জ জেলা সভাপতি মাওলানা মুজিবুর রহমান,দোয়ারা বাজার উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ডাক্তার আব্দুল কুদ্দুস,দোয়ারা বাজার উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুর রহমান,ছাতক উন্নয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট রেজাউল করিম তালুকদার,ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আকবর আলী,ইসলামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এডভোকেট সুফি আলম সুহেল,গোবিন্দনগর ফজলিয়া ফাজিল মাদ্রাসার গভর্ণিং বডির সভাপতি ডাক্তার শাব্বির আহমদ,জাগ্রত ছাতক বাসীর সদস্য সচিব সমাজসেবী নজমুল হুসেন,গোবিন্দগঞ্জ সৈদেরগাও ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ইউপি সদস্য বিলাল আহমদ,ইউপি সদস্য হুসাইন আহমদ লনি,ছাতক পাথর ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সাধারন সম্পাদক আব্দুল হাই আযাদ,সীমান্তিক জন কল্যাণ সংস্থা ইসলামপুরের সভাপতি ইলিয়াস আলী প্রমুখ

নেতৃবৃন্দ তাদের বিবৃতিতে বলেন,মাওলানা মাদানী একজন প্রতিযশা দেশ বরেণ্য ইসলামিক স্কলার,দীর্ঘ ত্রিশ বছর থেকে গোবিন্দগঞ্জ বাজার মসজিদে খতিবের দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে পবিত্র কুরআনের তাফসীর করে মুসলিম উম্মাহ কে দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে যাচ্ছেন। তার বক্তব্য শুনে অনেক পথহারা মানুষ পথের সন্ধান পেয়েছে। সমাজ থেকে অবিচার-অনাচার দুরী করণে তার ভূমিকা উল্লেখ যোগ্য।

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন,গোবিন্দগঞ্জ একটি শান্ত,সৃষ্ট এলাকা,এখানে দলমত নির্বিশেষে সবাই সবাইকে সম্মানের চোখে দেখেন,কিন্তু আমরা লক্ষ করছি এই ঘটনাকে পূজি করে একটি কুচক্রী মহল রাজনৈনিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছে। আমরা অবিলম্বে একজন সম্মানিত দ্বীনের দ্বায়ী হাজার হাজার আলেম- উলামার উস্তাদ অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুস সালাম আল-মাদানী এর উপর থেকে ছাতক থানায় দায়েরকৃত মিথ্যা অভিযোগ প্রত্যাহার সহ সকল ষড়যন্ত্র বন্ধ করার আহবান জানাই। অন্যতায় সাধারন জনতা এবং মুসল্লিরা তাদের ইমামের মর্যাদা রক্ষায় রাস্তায় নামতে বাধ্য হবে।


প্রজন্মনিউজ২৪/এ কে

 

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ