১২ বছরেও সংস্কার হয়নি সাঁকো, ঝুঁকি নিয়ে হাজারো মানুষের পারাপার

প্রকাশিত: ৩০ জানুয়ারী, ২০২৩ ০৪:১৫:০৭ || পরিবর্তিত: ৩০ জানুয়ারী, ২০২৩ ০৪:১৫:০৭

১২ বছরেও সংস্কার হয়নি সাঁকো, ঝুঁকি নিয়ে হাজারো মানুষের পারাপার

মেহেদী হাসান মুবিন,পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ গত এক যুগেরও বেশি সময় ধরে  কোন সংস্কার না হওয়ায় ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড মকুমা হাওলাদার বাড়ী জামে মসজিদ সংলগ্ন আয়রন সাঁকোটি। যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় কোন দুর্ঘটনা। বারবার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও সে দিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজর নেই বলে অভিযোগ  স্থানীয়দের।

ওই গ্রামের অধিকাংশ মানুষের একমাত্র আসা-যাওয়ার পথ এই সাঁকোটি। প্রতিদিন ভাঙ্গা লক্কর-ঝক্কর এই ব্রীজের উপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করে অসংখ্য পথচারি। জানা যায়, এ ব্রিজ দিয়ে পারাপারের সময় পড়ে গিয়ে অনেক মানুষ আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে একাধিকবার। বর্তমানে সাঁকোটি মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে। ব্রিজটি দ্রুত সংস্কার না করা হলে ঘটতে পারে যেকোনো সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা। ভুক্তভোগীরা দ্রুত সাঁকোটি সংস্কারের দাবী জানিয়েছেন।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়,অত্যন্ত নড়বড়ে অবস্থা সাঁকোটির।পারগুলোর বেশির ভাগই ভেঙে গেছে। লোহার অ্যাঙ্গেলগুলো মরিচায় ধরে নষ্ট হয়ে গেছে। মানুষ চলাচলের জন্য সাঁকোটি অনুপযোগী হয়ে গেছে। এলাকাবাসী সেতুটির ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন। বিশেষ করে বৃদ্ধ ও শিশুদের এই সাঁকোটি দিয়ে পারাপারে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এ সাঁকো দিয়ে অটোবাইক, মোটরসাইকেল, রিকশা-ভ্যান ও অন্যান্য যানবাহন চলাচলে প্রায় মৃত্যসম ঠেকছে ।

স্থানীয়রা জানান, ঝুঁকির সাথে ভাঙাচোরা সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন শত শত মানুষ পারাপার করে। এলাকার কৃষকদের উৎপাদিত বিভিন্ন কৃষিপণ্যসহ অন্যান্য সামগ্রী নিয়ে পারাপার করতে খুবই সমস্যা পোহাতে হয়। জনস্বার্থে সাঁকোটির অতি জরুরি সংস্কারের প্রয়োজন।

স্থানীয় বাসিন্দা লিজেন খাঁন,শাহজাহান খাঁন ও সবুজ হাওলাদার জানান, প্রায় এক যুগের অধিক সময় ধরে এই সাঁকোটি ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে। যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় কোন দুর্ঘটনা। এই সাঁকোর ওপর দিয়ে শঙ্কা নিয়ে পারাপার করতে হয় পথচারীদের। বারবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরে দেওয়ার পরও অদ্যাবধি কোনো সংস্কার হয়নি। সংস্কারের অভাবে সাঁকোটি এখন মরণফাঁদে পরিনত হয়েছে। সাঁকোটি অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কার অথবা পুনর্নির্মাণের দাবি জানাই। 

এ ব্যাপারে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহাবুব আলম স্বপন বলেন,সাঁকোটি আমার দৃষ্টিগোচরে আছে। ওই সাঁকোটি দিয়ে পারাপারে মানুষের খুবই সমস্যা  হচ্ছে। ওখানে সাঁকোটি নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে কাগজ পাঠানো হয়েছে। আশা করি অতি শীঘ্রই সাঁকোটি নির্মাণ কাজ শুরু হবে বলে জানান তিনি ।

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ