ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলিদের দ্বন্দের মূল বিষয়

প্রকাশিত: ২৯ জানুয়ারী, ২০২৩ ১২:৫২:৪৬

ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলিদের দ্বন্দের মূল বিষয়

অনলাইন নিউজডেস্কঃ একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় বিলম্ব, পশ্চিম তীরে ইহুদী বসতি নির্মাণ অব্যাহত রাখা এবং ফিলিস্তিনি ও ইহুদী এলাকার মধ্যে নিরাপত্তা প্রাচীর তৈরি করা, এগুলো শান্তি প্রক্রিয়াকে বেশি জটিল করে ফেলেছে।

যদিও  পশ্চিম তীরে ইহুদী বসতি নির্মাণকে অবৈধ ঘোষণা করেছে দ্য হেগের আন্তর্জাতিক আদালত । কিন্তু দুই পক্ষের মধ্যে শান্তির পথে এগুলোই একমাত্র বাধা নয়। বিল ক্লিনটন যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট, তখন ক্যাম্প ডেভিডে ২০০০ সালে তিনি যে শান্তি আলোচনার উদ্যোগ নিয়েছিলেন, সেখানে এর ব্যর্থতার আরও অনেক কারণ স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল।

তৎকালীন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী এহুদ বারাক ও ফিলিস্তিনি নেতা ইয়াসির আরাফাত সেই বৈঠকে একমত হতে পারেননি আরও অনেক বিষয়ে। যেসব বিষয়ে মতপার্থক্য ছিল তা হলো-

• জেরুজালেম: ইসরায়েল দাবি করে জেরুজালেমের ওপর তাদের সার্বভৌম অধিকার রয়েছে। ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে তারা পূর্ব জেরুজালেম দখল করে নেয়। এরপর থেকে তারা জেরুজালেমকে তাদের রাজধানী বলে গণ্য করে। অন্যদিকে ফিলিস্তিনরা পূর্ব জেরুজালেমকে তাদের রাজধানী হিসেবে চায়।

• সীমান্ত ও এলাকা নিয়ে বিরোধ: ফিলিস্তিনরা চায় ১৯৬৭ সালের আরব ও ইসরায়েল যুদ্ধের আগে যে সীমান্ত ছিল, সেই সীমানার ভিত্তিতে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠিত হবে। ইসরায়েল এটা মানতে নারাজ।


• ইহুদী বসতি: ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে ইসরায়েল যেসব ফিলিস্তিনি এলাকা দখল করে নিয়েছিল, সেখানে তারা অনেক ইহুদী বসতি গড়ে তুলেছে। আন্তর্জাতিক আইনে এসব বসতি অবৈধ। কেবল পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমেই এখন বসতি গেড়েছে পাঁচ লাখের বেশি ইহুদী।


• ফিলিস্তিনি শরণার্থী: ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর সেখান থেকে বাড়ী ঘর ছেড়ে পালিয়ে এসেছিল লাখ লাখ ফিলিস্তিনি। তারা ইসরায়েলের ভেতর তাদের বাড়ি ঘরে ফিরে যাওয়ার অধিকার দাবি করে আসছে। পিএলও এর হিসেবে এই ফিলিস্তিনি ও তাদের বংশধরদের সংখ্যা প্রায় এক কোটি ছয় লাখ। কিন্তু ইসরায়েল এই অধিকারের স্বীকৃতি দিতে চায় না। তাদের আশংকা, এত বিপুল সংখ্যক ফিলিস্তিনি যদি ইসরায়েলে ফিরে আসে, তাদের রাষ্ট্রের ইহুদী চরিত্র আর ধরে রাখা যাবে না।


প্রজন্মনিউজ২৪/এমএইচ

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ