প্রকাশিত: ২৬ জানুয়ারী, ২০২৩ ১০:০৯:৫১
নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: নড়াইল সদর পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের ডুমুরতলা গ্রামের স্থায়ি বাসিন্দা মো. হৃদয় খান দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হয়ে মারাত্মক অসহায় অবস্থায় জীবনযাপন করছেন। নড়াইল টেকনিক্যল স্কুল এন্ড কলেজের জেনারেল ইলেক্ট্রিক্যাল বিভাগের মেধাবি শিক্ষার্থী হৃদয় প্রায় চার বছর ধরে এই রোগের সঙ্গে লড়াই করে চলেছেন। একই রোগে আক্রান্ত হয়ে সাড়ে চার বছর আগে মারা গেছেন তার মা।
জানা যায়, হৃদয় এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে দীর্ঘদিন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিলেও আশানুরূপ কোন ফলাফল পাওয়া যায়নি। পরে ঢাকায় ইবনে সিনা হাসপাতালে লিভার বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সরনাপন্ন হন। বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক এবং বর্তমানে লিভার, গ্যাস্ট্রিক কোলোরেকটাল স্পেশালাইজড ডা. মো. সহিদুর রহমানের অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছেন।ডাক্তারদের পক্ষথেকে তাকে জানানো হয়েছে, তার লিভার প্রায় সম্পূর্ণই অকেজো হওয়ার পথে। সাধারণ চিকিৎসায় এটা আরোগ্য হওয়া সম্ভব নয়।
যদি কেউ হৃদয়কে লিভার দান করে, কিংবা কোনো মৃত লাশ থেকে নির্দিষ্ট সময়ের ভেতর লিভার সংগ্রহ করে হৃদয়ের শরীরে প্রতিস্থাপন করা যায়, তাহলেই কেবল হৃদয়কে বাঁচানো সম্ভব হবে। এক্ষেত্রে যার শরীর থেকে লিভার নেওয়া হবে তার রক্তের গ্রুপ হৃদয়ের রক্তের গ্রুপের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ (ও নেগেটিভ) হতে হবে।
সেক্ষেত্রে লিভার (নির্দিষ্ট অংশ) দানকারীর ব্যবস্থা হলেও, হয়নি অর্থের ব্যবস্থা। দাতার শরীর থেকে এই লিভার হৃদয়ের শরীরে প্রতিস্থাপন করতে হলে দু`জনকে যেতে হবে ভারতে। কেননা, দেশে লিভার প্রতিস্থাপন করা সম্ভব নয়। আর ভারতে গিয়ে চিকিৎসা করতে ব্যয় হবে আনুমানিক ৫০ লক্ষ টাকা। অথচ, অসহায় হৃদয়ের বাঁচার সাধ থাকলেও সাধ্য নেই এত টাকা ব্যয় করার।তিনি এখন পর্যন্ত সরকারি সাহায্য হিসেবে ২০২০ সালে জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে ৫০ হাজার টাকা অনুদান পেয়েছেন। আর, এতদিনে চিকিৎসার বাকি টাকা এসেছে মানুষের সহায়তা থেকে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হৃদয় খানের চিকিৎসার খরচ দিতে অক্ষম তার বাবা। নেই মাথা গোঁজার ঠাঁই। হৃদয় বলেন, "এইথিবীতে সবাই তো বাঁচতে চায়। আমিও বাঁচতে চাই। কিন্তু আমার নেই বাসস্থান, নেই অর্থ, নেই চিকিৎসা করার ক্ষমতা। তাইতো আমি দেশবাসীর সহায়তা চাই। বিশেষত কোনো উচ্চবিত্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যদি আমাকে সহায়তা করেন তাহলে হয়ত আমার জীবন প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখা যাবে।"
আরও পড়ুন: কুকুর বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ গেলো যুবকের
লিভার প্রতিস্থাপন বিষয়ে লিভার গ্যাস্ট্রিক কোলোরেকটাল স্পেশালাইজড হাসপাতালের চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. মো. সহিদুর রহমান জানান, "একজন সুস্থ মানুষ চাইলে লিভারের কিছু অংশ দান করতে পারেন। এর ফলে বেঁচে যাবে একজ নের প্রাণ। আর, তিন সপ্তাহের মধ্যে লিভার দান করা ব্যক্তির লিভারও আগের মতো স্বাভাবিক আকারে ফিরে যাবে।
প্রজন্মনিউজ২৪/এ আর
ডলার বুকিং নিয়ে ‘ভয়’ নয় : বাংলাদেশ ব্যাংক
কোন বয়সে ঠিক কী পরিমাণ ভিটামিন ডি খাওয়া জরুরি
শাজাহানপুরে দক্ষিন পারতেখুর বিদ্যালয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার দুর্নীতি, নেই পড়ালেখার পরিবেশ
বিশ্বকাপের দল ঘোষণা কখন, জানালো বিসিবি
চবিতে চবিসাস ও সিইউজিএনের ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম
কানাডার নোভাস্কসিয়ায় এশিয়ান কাপের ফাইনালে ভারত চ্যাম্পিয়ন
করোনায় মৃত্যুশূন্য দিনে শনাক্ত ৭