সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরীকে বরণ করে নিল সংসদ

প্রকাশিত: ১৬ জানুয়ারী, ২০২৩ ১০:১৩:১২

সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরীকে বরণ করে নিল সংসদ

অনলাইন ডেস্কঃ সংসদের উপনেতা নির্বাচিত হওয়ায় বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীকে টেবিল চাপড়িয়ে ও অভিনন্দন জানিয়ে বরণ করে নিয়েছে জাতীয় সংসদ। এসময় সরকারি দল আওয়ামী লীগ ও সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা তাকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, এতে রাজনীতির বিজয় হয়েছে। তিনি সারাজীবন মানুষের জন্য কাজ করছেন।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের ২১তম অধিবেশনের আজ বৈঠকের শুরুতেই অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরীকে অভিনন্দন জানান আওয়ামী লীগের সদস্য ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক ও বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্য ফখরুল ইমাম। 

এর আগে স্পিকার সংসদ উপনেতা হিসেবে মতিয়া চৌধুরীর দায়িত্ব গ্রহণের বিষয়টি সংসদকে অবহিত করেন। এসময় টেবিল চাপড়িয়ে তাকে বরণ করে নেন সংসদ সদস্যরা। 

পরে পয়েন্ট অব অর্ডারে ফ্লোর নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক বলেন, অগ্নিকন্যাখ্যাত মতিয়া চৌধুরীকে জাতীয় সংসদের উপনেতা করায় আমি অভিনন্দন জানাই। তিনি সব সময় রাজপথে থেকেছেন। এই সংসদেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবেন বলে আশা করছি। তিনি ছাত্র অবস্থায় আইয়ুবের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন। সেই সময় তিনি ইডেন কলেজেন ভিপি ছিলেন। পরে ডাকসুর সাধারণ সম্পাদকও হয়েছিলেন। উনি তখন আমাদের আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না, বাম রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। গণমুখী রাজনীতিই করেছেন। 

তিনি আরও বলেন, ছাত্র ইউনিয়ন যখন দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায় তখন সঠিক ধারায়ই ছিলেন মতিয়া চৌধুরী। ছাত্র ইউনিয়নের একটি অংশের তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং ছাত্র ইউনিয়ন মতিয়া গ্রুপের তিনি সভাপতি হয়েছিলেন। 

আওয়ামী লীগের এই প্রবীণ নেতা আরও বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা না হয়েও তখন দলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফেরার পর তিনি নেত্রীর সঙ্গে তৃণমূল পর্যায়ে আওয়ামী লীগের জন্য কাজ করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। এরশাদের সামরিক শাসনের সময় তিনি রাজপথে মার খেয়েছিলেন। তখন মনে করা হয়েছিল তিনি মারা গেছেন। 

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আরও বলেন, এই সংসদের অধিবেশনে সব সময় তিনি সর্ব প্রথম আসেন, সর্বশেষে যিনি সংসদ থেকে যান তিনিও মতিয়া চৌধুরী। সংসদ উপনেতা ছিলেন আমাদের শ্রদ্ধেয় নেত্রী সাজেদা চৌধুরী। তার জায়গা আজ মতিয়া চৌধুরীকে দেওয়া হয়েছে।  

বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্য ফখরুল ইমাম বলেন, এমন একজন নেতাকে সংসদ উপনেতা করা হয়েছে যিনি সারাজীবন রাজনীতি করেছেন। এতে রাজনীতির বিজয় হয়েছে। তিনি সারাজীবন মানুষের জন্য কাজ করছেন। তিনি ১৯৬২ সাল থেকে রাজনীতি করেন। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়াতে তার মতো দৃঢ়তা সম্পন্ন রাজনীতিবিদ। আজ আমরা বলি কৃষিতে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণে এর সফলতার অনেক অবদান উনার। আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যদের এই সঠিক সিদ্ধান্তের জন্য ধন্যবাদ মতিয়া চৌধুরীকে তারা উপনেতা করেছেন। তিনি শেষ জীবন পরন্ত রাজনীতির জন্য একাগ্রভাবে কাজ করে যাবেন এই আশা করি।


প্রজন্মনিউজ২৪/এ কে

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ