ইউরোপ যাওয়ার প্রলোভনে দালালদের খপ্পরে পড়ে নিঃস্ব শতশত তরুণ 

প্রকাশিত: ১২ জানুয়ারী, ২০২৩ ১১:১০:৪০

ইউরোপ যাওয়ার প্রলোভনে দালালদের খপ্পরে পড়ে নিঃস্ব শতশত তরুণ 

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ লিবিয়া হয়ে ইউরোপ যাওয়ার আশায় সুনামগঞ্জ সহ সিলেট বিভাগের শতশত তরুণ পাড়ি জমাচ্ছেন লিবিয়ায়।যাদের বেশিরভাগই মধ্যবিত্ত বা নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে যারা তাদের সর্বশেষ অবলম্বন বিক্রি করে টাকা ধরিয়ে দেন দলাল চক্রের হাতে। দলালরা পরিবার ও বিদেশগামীর সীমাবদ্ধতা আর সরলতার সুযোগ নিয়ে লিবিয়ায় নেয়।লিবিয়ায় নিয়েই শুরু হয় তাদের আরেক দফা টাকা আদায়ের ধান্দা।গোপন নির্জন এলাকায় ছোট ঘরে গাদাগাদি করে অর্ধশত বা তারও অধিক মানুষ আটকে রাখা হয়।আটকে রেখে ভুক্তভোগীদের পরিবার স্বজনদের কাছে চাওয়া হয় মুক্তিপণ মুক্তিপণ দিতে দেরি বা অস্বীকৃতি জানালে শুরুহয় অমানুষিক নির্যাতন। 

এদিকে লিবিয়াতে আটকে পড়া শতশত তরুণ ও তাদের স্বজনদের আহাজারি ভিডিও ভাইরাল হচ্ছে নেট দুনিয়ায়।দালালদের অন্যতম একজন সদস্য হচ্ছে এনাম।এনাম সুনামগন্জ জেলার অন্তর্গত শান্তিগন্জ উপজেলার দরগাপাশা ইউনিয়নের হাসামপুর গ্রামের মৃত আশিকের ছেলে।যার অবস্থা ছিল নুন আনতে পান্তা ফুরায়, কয়েক বছরে লিবিয়ায় সে এখন কোটি কোটি টাকার মালিক। তার পরিবার দুবাই বসবাস করছে বিলাসবহুল পরিবেশ ও আলিশান জীবন যাপন।ইউরোপগামী সরল সহজ মানুষের বিটা বাড়ির বিক্রির টাকা মেরে সে ফুলেফেঁপে এখন কোটিপতি।

শুরুতে পাঁচ ছয় লক্ষ টাকার বিনিময়ে সাগর পথে কিছু মানুষকে ইতালি পাঠায়,এভাবে গ্রামের এবং আশ পাশের গ্রামের কয়েকশো মানুষ সে লিবিয়া নিয়ে যায়।আর সাগর পথ কঠিন হয়ে পরায় এই মানুষ গুলোকে তার বন্দিশালায় আটকে রাখে, খাবার গোসল কিচ্ছু না পেয়ে অনেকে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়ছে। আরেক সহযোগী দালালের সাথে যোগসাজশের মাধ্যমে সে এমন অপকর্ম করে থাকে।

কুমিল্লা মাদারীপুর সহ বিভিন্ন জেলার দালাল দ্বারা নিয়মিত অসহায় লোকদের মারপিট করানো হয়।আর দেশে ফোন দিয়ে পরিবারের কছে নির্যাতন ও কান্নার আওয়াজ শুনায় এবং বড় অঙ্কের মুক্তিপণ দাবি করে।টাকা না দিলে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।সে নিজের আত্মীয় স্বজনদেরকেও ফাঁদে ফেলে বসত ভিটা বিক্রি করিয়ে নিঃস্ব করে দিয়েছে।

ভুক্তভোগীরা ও তাদের পরিবার এলাকাবাসী দেশের সর্বোচ্চ মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করছে।আটকে পড়াদের মুক্তি আর আদম পাচারকারী দালাল চক্রের তদন্তের মাধ্যমে কঠিন শাস্তি দাবি করছেন।তদন্তের মাধ্যমে মূল চক্রকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা এখন সময়ের দাবি হয়ে দাড়িয়েছে আর নাহয় মানুষ না বুঝে ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব হতেই থাকবে।


প্রজন্মনিউজ২৪/উমায়ের

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন





ব্রেকিং নিউজ