প্রকাশিত: ০৫ জানুয়ারী, ২০২৩ ০৪:১০:২৬
চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ প্রত্যেক কবির থাকে, নিজস্ব কিছু সৃষ্টি। নিজস্ব কিছু কর্ম, যা দিয়ে চেনা যায় কবির মান,কবির শান।কালের বিবর্তনে সেই সৃষ্টিই হয়ে উঠে কবির পরিচয়। জসীমউদ্দিনের "কবর" রবি ঠাকুরের "সোনার বাংলা", জীবনানন্দের "সেইদিন এ মাঠ" সব যেন তাদেরই পরিচায়ক। ঠিক তেমনি নজরুলের পরিচায়ক হলো তার "বিদ্রোহী" কবিতা। আজ এ কবিতার ১০১ বছর পুর্তি।
নজরুল স্বভাবতই ছিলেন ভীষন বিদ্রোহী, সবকিছু পাল্টে দিতেই যেন তার আগমন। ছোটকাল থেকেই সব অনিয়ম, সব দুর্নীতির সাক্ষী, তাই তাকে হতে হয়েছে, ভীষন বিদ্রোহী। কস্ট,দুঃখ,দুর্দশা ছিল তার নিয়তি, নামও পেয়েছেন দুখু মিয়া। তাই তার কলম কখনই পিছপা হয়নি বিদ্রোহ করতে। শুধু বিদ্রোহী কবিতাই নয় নজরুল সাহিত্যের মুল চেতনাই বৈপ্লবিক।
সাপ্তাহিক বিজলী পত্রিকায়,জানুয়ারী ৫ তারিখ (মতান্তরে, ৬ তারিখ) সংখ্যায় এ কবিতাটি ছাপা হয়। কবিতায় দেখা যায় কবি ভীষন রাগী একজন। যেন শত জুলুম নির্যাতন,চারদিকে তিনি কখনো সাইক্লোন কখনো টর্পেডো কখনোবা ভীষন শক্তির মাইন। সবই যেন ধ্বংসের আয়োজন একমাত্র অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে।
কবি জুলুম, নির্যাতন, নিস্পেষন রোধে সকলকে কাজ করতে আহ্বান জানান। হিন্দু মুসলিম দুই সম্প্রদায়কেই এ কাজে এগিয়ে আসতে আহ্বান করেছেন সাহিত্যিক উপমার মধ্য দিয়ে।ইসলাম ধর্ম মতে কেয়ামত বা দুনিয়া ধ্বংস হবে ইস্রাফিল আঃ নামক এক ফেরেশতার ফুঁৎকারের মাধ্যমে। সেই রুপ তিনি কবিতায় ধারন করেছেন সাহিত্যিক ঢঙে।
আবার হিন্দু ধর্মের ধ্বংসের দেবতা, শিবের প্রলয় নৃত্যরুপ "নটরাজ" হয়েছেন ধ্বংসলীলায় মেতে উঠার প্রয়াসে।
সবমিলিয়ে আজ ১০১ বছর পরও জুলুম, শোষনের এ যুগেও বিদ্রোহী কবিতা একই রকম প্রাসঙ্গিক।একই মাত্রায় আবেদনময়ী। কবি নজরুলের অমর এ কীর্তী পৃথিবীর এ জমিনে ততদিন ধ্বনিত হতে থাকবে যতদিন না জুলুমাত মুক্ত হয় এ বসুন্ধরা।
প্রজন্মনিউজ২৪/এ আর
ঢাকা শিশু হাসপাতালে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫ ইউনিট
ভোট দিতে গিয়ে শুনলেন তিনি মারা গেছেন, নিরাশ হয়েই ফিরলেন বৃদ্ধা
ফরিদপুরে মন্দিরে আগুন, এলাকাবাসীর পিটুনিতে নিহত ২
ঈদের আমেজ কাটেনি বাজারে, ফাঁকা ঢাকাতেও দাপট গরু-খাসির
সেভ দ্য রোডের ১৫ দিনব্যাপী সচেতনতা ক্যাম্পেইন সমাপ্ত
আইপিএল জুয়াড়ি সন্দেহে চারজন গ্রেফতার
রাজধানীর বনশ্রীতে আবাসিক ভবনে আগুন
খালেদা জিয়া ডাল-ভাত খাওয়াতেও ব্যর্থ হয়েছিল : শেখ হাসিনা
সাংবাদিক গোলাম মোস্তফা সিন্দাইনী আর নেই
গাজা: বিমান হামলায় বেঁচে যাওয়া বালকের প্রাণ গেল সাহায্য নিতে গিয়ে