গ্রামীণ জীবনে শীতের আমেজ

প্রকাশিত: ০৩ জানুয়ারী, ২০২৩ ০১:৫৫:০৯

গ্রামীণ জীবনে শীতের আমেজ

সাইফুল্লাহ সাকিব : 'গ্রাম' কথাটি শুনলেই মনের কোনে ভেসে উঠে লতাপাতা ঘেরা চারদিক  সবুজ ঘাস বহতা নদী পাখিদের কিচিরমিচির শব্দ যা এক অদ্ভুত মায়া তৈরী করে। শীতের আগমনে গ্রামীণ প্রকৃতি আরো নান্দনিক হয়ে উঠে।

সকালবেলা শিশিরভেজা সবুজ ঘাস, ফসলের মাঠ পেরিয়ে সকালের সূর্যদয় নতুন প্রাণ নিয়ে আসে। গ্রামের সহজ সরল প্রতিটি মানুষের কর্মযজ্ঞ শুরু হয় ভোরে। ফজর নামাজ শেষে  কাধে লাঙ্গল নিয়ে মাঠে চলে যান। আপন মনে মাঠে সারাদিন স্বপ্নের ফসল বুনতে থাকেন। ফসল যত্ন নেওয়া তার নিয়মিত কাজে পরিণত হয়। এভাবে ভোর থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিরামহীন পরিশ্রম করে থাকেন।

রোদ বৃষ্টি ঝড় মাথায় নিয়ে আপন কাজে ব্যাস্ত থাকেন সারাদিন। প্রকৃতির এই সময়ে কষ্টের ফসল ঘরে তুলতে কৃষকের আরেকদফা ব্যাস্ততা বেড়ে যায়। ফসল কাটা, সেগুলো শুকিয়ে ঘরে তোলা আরো কত কাজ। এসময় গ্রামের প্রতিটি ঘরে নতুন চালের পিঠা বানানোর ধুম পড়ে যায়। পিঠা-পুলির উৎসব হয় সবখানে। যা "নবান্ন উৎসব" নামে খ্যাত। এ সময় বাহারি রকমের পিঠার সমাহার দেখা যায়। পুলি, চিতই, দুধচিতই, ভাপা, ধামাপিঠা,  কলাপিঠা আরো কত কি। বাঙালির ঐতিহ্যের ধারক বাহক হল এই নবান্ন উৎসব।

শীতকালের খেজুরের রস অন্যতম আকর্ষণীয়। সকালবেলা লোকেরা চলে যান খেজুরের রস সংগ্রহ করতে। সকল প্রক্রিয়া শেষ করে এক পেয়ালা রস দিয়ে দিনের শুরু হয়। খেজুরের রস থেকে গুড় হয়, যা দিয়ে বানানো হয় সুস্বাদু পিঠা। এছাড়াও বিভিন্ন মজাদার খাবার।

শীতকালে অতিথি পাখির আগমন প্রকৃতিতে বাড়তি মাত্রা যোগ করে। নানা রকম নাম না জানা পাখি চারদিকে দেখতে পাওয়া যায়। প্রকৃতিতে শীতকাল এক ভিন্ন মাত্রা এনে দেয়। যা সাধারণ মানুষ উপভোগ করে থাকে।


প্রজন্মনিউজ২৪/এনএইচ

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ