বাংলাদেশর বিশেষ শ্রেণির উতপাতে অতিষ্ঠ জনজীবন

প্রকাশিত: ২৬ ডিসেম্বর, ২০২২ ১২:০৪:০৬

বাংলাদেশর বিশেষ শ্রেণির উতপাতে অতিষ্ঠ জনজীবন

আব্দুল কুদ্দুছ চাঁদপুর প্রতিনিধিঃ চাচাতো বোনের বিয়ে। আয়োজন খুবি সাদামাটা। সীমিত পরিসরে ঘরোয়া পরিবেশে। নেই গানের ঝংকার, বাদ্যের ঝনঝনানি, পরিবেশ, প্রতিবেশী, পারিপার্শ্বিক অবস্থা, প্রাকৃতিক পরিমন্ডল সবই ছিলো হাস্যজ্বল। 

হঠাৎ, বিয়ে বাড়ির আকাশে বিশাদের বাতাস বইতে শুরু করলো। তপ্ত পরিবেশ নিস্তব্ধতায় রুপান্তরিত হলো। পুরো এরিয়া জুড়ে থমথমে অবস্থা। কেউ জোরে নিঃশ্বাসও ফেলছে না। কারণ কি জানেন? কারণ, তখন বাংলাদেশের এক বিশেষ শ্রেণির আগমন ঘটেছিলো। যাদেরকে বাংলাদেশের মানুষ তৃতীয় লিঙ্গ বা থার্ড জেন্ডার কিংবা হিজড়া নামেই জানে বা চিনে। বিশেষ এ সম্প্রদায়ের আগমনে আনন্দময় পুরো পরিবেশ নিমিষেই বিষাদে রূপান্তরিত হলো। এটি এজন্য নয় যে, তারা বিশেষ শ্রেণি হিসেবে ঘৃণা, অবজ্ঞা আর অবহেলার কারণে হয়েছে বরং এটি হয়েছে তাদের মাত্রাতিরিক্ত বাড়াবাড়ি আর হরেকরকম অশালীন অঙ্গভঙ্গির কারণে। 

তাদের আগমনী বার্তা আসার সাথে সাথে সম্মানিত লোকেরা এমনভাবে স্থান ত্যাগ করে পালালেন যে, কোনো দন্ডপ্রাপ্ত আসমিও পুলিশকে দেখে এভাবে পালায় না! মেয়ের বাবা অর্থাৎ আমার মান্যবর চাচা, আমাদের ঘরে এসে নির্বিকার হয়ে বসে রইলেন। প্রচন্ড ভয়ে তার প্রান বেরিয়ে যাওয়ার উপক্রম। এ ভয় ইজ্জতের ভয়, সম্মানের ভয়, লাঞ্চিত, অপমানিত, মর্যাদাহানি ও অবমাননার ভয়!

কারণ তাদের আচার-আচরণ, ব্যস-ভুসা, অঙ্গভঙ্গি এতোটাই জঘন্য যে, কোনো রুচিসম্মত মানুষ তা দর্শনের পর তার সুরুচি স্বর্গে যাওয়ার জন্য চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকে। তারা যে ভাষায় কথা বলে, কোন চাঁদাবাজও এ ভাষায় কথা বলে না! যেখানে মানুষের খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকাটায় দায়, সেখানে তারা আসে বিরিয়ানির প্যাকেটের মধ্যে মাংসের আধিক্য খুঁজতে!! 

আমাদের গ্রাম বাংলার ইতিহাস ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে আবহমান কাল থেকেই পারিবারিক ও সামাজিক রুচিবোধ, লজ্জা, রুচিশীলতা, ব্যক্তিত্ববোধ, ইত্যাদি ধারণ করেন ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে জন থেকে জনে। এসকল পল্লীতে কেউ ব্যক্তিগতভাবে খারাপ হতে পারে কিন্তু সামষ্টিকভাবে নৃত্যশিল্পীদের নর্তন কুর্দন, অশালীন অঙ্গভঙ্গি, অযাচিত ও অশোভন আচরণ বাবা মেয়ের সামনে, মা ছেলের সামনে কখনোই বরদাস্ত করেন না। আর হিজড়াদের এ সকল নর্তন কুর্দনতো হৃদয়ে অনল ধরানোর ন্যায়।

তাদের পয়সা উপার্যনের সীমাহীন ও অন্তহীন এ প্রতিযোগিতা কখনো কখনো অমানবিক এবং নির্মমও বটে। তাদের এহেন অশালীন আচরণ ও অঙ্গভঙ্গিতে  লুন্ঠিত হয় পারিবারিক অঙ্গনের সৌন্দর্য ও সৌকর্য। পতিত হয় ভদ্রতার পাদপীঠ। 

এখন আমার অনেক শুভার্থী প্রশ্ন করতে পারেন, তাদের তো সামাজিক মর্যাদা নেই, পারিবারিক স্নেহ নেই, নেই কোনো রাষ্ট্রীয় প্রণোদনা। তাহলে তাদেরই বা কি করনীয়? সেটা নিয়ে নাহয় আলাপ হোক অন্য দিন।


প্রজন্মনিউজ২৪/উমায়ের

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ