প্রকাশিত: ১৩ ডিসেম্বর, ২০২২ ০২:২৮:৩৮ || পরিবর্তিত: ১৩ ডিসেম্বর, ২০২২ ০২:২৮:৩৮
মোহাম্মদ হাফিজ,স্টাফ রির্পোটারঃ মোবাইল ফোনের আবিষ্কার বিংশ শতাব্দীর অন্যতম আশীর্বাদ হিসেবে ধরা হয়। সময়ের সাথে সাথে মোবাইল ফোনের বিবর্তন হয়ে হয়ে বর্তমানে স্মার্ট ফোন আধুনিকায়ন হয়েছে। যে ফোনকে বলা যায় মিনি কম্পিউটার, যাতে সব ধরনের চাহিদার সম্ভার বিদ্যমান । এই স্মার্ট ফোন সহজলভ্য তাই ছোট বড় সবার হাতে মিলছে ।
যুগে যুগে যত আবিস্কার মানব কল্যাণে হয়েছিল তার কিছু ইতিবাচক আর নেতিবাচক দিক থাকে । এরই মধ্যেই ডিজিটাল ডিভাইস অতি ব্যবহার নিয়ে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার, সমাজবিজ্ঞানী সহ অনেকে ক্ষতিকর দিক নিয়ে মতামত দিয়েছেন। বড়দের যতটুকু তার থেকে বেশি ছোটদের মন মননে আরো মারাত্নক প্রভাব ফেলে !
তরুনদের শারীরিক থেকে শুরু করে মানসিক, সৃজনশীলতা, সামাজিকতা বিনষ্ট করতে অনেকাংশে স্মার্ট ফোন দায়ী । ছোট থেকে তরুনরা যেভাবে মোবাইলে বুদ হয়ে থাকে তা কি মঙ্গলকর মনে হয়?! না পড়াশোনা,না ঘুম, না স্বাস্থ্য, না মেজাজ। যাকে উনারা নাম দিয়েছেন স্ক্রিন আসক্ত, যা এক ধরনের নেশার মত । নেশাগ্রস্ত মানুষ যখন মাদক না পেলে উন্মাদের মত আচরণ করে ঠিক তেমনি এখনকার ছেলে মেয়েদের থেকে মোবাইল ডিভাইস কেড়ে নিলে তেমন আচরণ করে। নিদ্রাহীনতা, মাইগ্রেন, ক্ষুধামন্দা, বধহজম, খিটখিটে মেজাজ সহ জটিল সব রোগে আক্রান্ত হচ্ছে তরুন সমাজ। !
পারিবারিকভাবে ইতিবাচক পরিবেশ সৃষ্টির জন্য আমাদের তরুণদের সময় দিয়ে সামাজিক কাজে উৎসাহ দিতে হবে। ভুল কোনো কাজ করে ফেললে শোধরাবার দীক্ষার মাধ্যমে বন্ধুর মতো আচরণ করতে হবে । অন্যদিকে স্মার্ট ফোন যেন কোনোভাবে তাদের ধ্যান জ্ঞান না হয়, সে উপায় উদ্যোগে গ্রহন করা তাই যোগাযোগ রক্ষার জন্য বাটন মোবাইলই যথেষ্ট , এই কথা মনে গেথে দেয়া ।
আমাদের একান্তই ভিডিও কল দিতে হলে তবে দিনের নিদিষ্ট কিছু সময়ের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। আর পরিবারের বড়রা স্মার্ট ফোন যতটা সম্ভব লুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে যাতে ছোটদের উপর প্রভাব না পড়ে। স্মার্ট ফোন যেহেতু বিনোদন মাধ্যম সেহেতু এর অভাব পূরনের জন্য আমরা মা বাবাদের দায়িত্ব নিতে হবে। ইতিবাচক বিনোদন হিসেবে নিজস্ব ধর্ম সংস্কৃতির ধারা বজায় রেখে গান, কবিতা, ছড়া, অভিনয় , চিত্রকর, কালিওগ্রাফি ইত্যাদি প্রশিক্ষণ দিয়ে পুরস্কারের ব্যবস্থা করে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা। এতে করে সময় কাটানো হবে পাশাপাশি মোবাইল একমাত্র বিনোদন মাধ্যম ,তা আর মনেই হবে না।
আমাদের ছোট বেলা ধূলোময়লা নিয়ে প্রকৃতির সাথে কাটানোর সুযোগ হয়েছিলো । এখন আমাদের দায়িত্ব হলো, ওদের কে নিদিষ্ট বয়স পর্যন্ত প্রযুক্তির কালো গ্রাস থেকে দূরে রেখে হাতে কলমে পারিবারিক, সামাজিকতা , মানবিকতার মতো শিক্ষণশীল পরিবেশ নিশ্চিত করা। তাহলে সঠিক সময়ে রাতে ঘুম আসবে আর খুব সকালে ঘুম ভাঙ্গবে। এতে করে পড়াশোনা থেকে শুরু করে দেহ ও মন সুস্থ থাকবে। দিনের সময় গুলো আলো বাতাসে হেসে খেলে প্রকৃতির মাঝে কাটাতে পারবে। পরবর্তীতে যে কোনো পরিবেশে নিজের সৃজনশীল দক্ষতা দেখাতে পারবে ।
এতসব কিছু বাস্তবায়ন করতে হলে পারিবারিক ও সামাজিকভাবে যারা কর্তৃত্বশীল অবস্থানে আছেন উনারা সিদ্ধান্ত নিতে হবে । তাহলেই একটা প্রোডাক্টিভ জাতি গঠন সম্ভব হবে
প্রজন্মনিউজ২৪/এম এইচ
স্বাধীনতার ৫২ বছর পরও গণতন্ত্রের জন্য প্রাণ দিতে হচ্ছে: ফখরুল
‘আমাদের বইবাড়ি’ নামক গ্রন্থাগারের উদ্বোধন
রংপুর টেক্সটাইল ইন্জ্ঞিনিয়ারিং কলেজে স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত
ইন্দুরকানীতে কৃষকের জমি দখলের অভিযোগ
‘দ্রুত আঞ্চলিক নেতা হয়ে উঠছে’ বাংলাদেশ : ব্লিংকেন
স্বাধীনতা দিবসে সংঘর্ষে জড়ালো আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপ
মরক্কোর বিপক্ষে ব্রাজিলের হারের কারন