প্রকাশিত: ০৮ ডিসেম্বর, ২০২২ ০২:৪১:৫০ || পরিবর্তিত: ০৮ ডিসেম্বর, ২০২২ ০২:৪১:৫০
গতকালের বাংলাদেশ ভারত ম্যাচে যখন বাংলাদেশ টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিন্ধান্ত নেন, তখনও কেউ জানতো না কি ঘটতে যাচ্ছে! শুরুতে বাংলাদেশের ওপেনিং এবং মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানরা তাসের ঘরের মত ভেঙে যায় ।৬ উইকেটে মাত্র ৬৯ রানে এসে থামলো ! একশ রান হওয়া নিয়ে শঙ্কা ঘিরে ধরলো যখন, তখন স্টেডিয়ামের দর্শক থেকে শুরু করে টেলিভিশনের সামনে বসে থাকা ক্রিকেট প্রেমিরা একপ্রকার নিশ্চিত পরাজয় ভেবে খেলা দেখা ছেড়ে দিয়ে নিত্যকার কাজে মনোযোগ দেন।
উইকেটে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ এবং গত ম্যাচের জয়ের নায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। দুজনে রয়ে সয়ে ঠান্ডা মাথায় রানের চাকা এগিয়ে নিতে থাকলেন।অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ একপাশ থাকে মিরাজকে ম্যাচের কঠিন মূহুর্তের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে সাহস যুগিয়ে যাচ্ছেন ।কখন সিংগেল আবার কখনো বাউন্ডারি মেরে ভারতীয় বোলারদের উপর দুজনে ছড়ি ঘোরাতে থাকলেন।সময়ের সাথে সাথে তা আরো রান বাড়তেই থাকলো । এরমধ্যেই দুজনে হাফসেঞ্চুরী করে ফেললেন । অবশেষে মাহমুদউল্লাহ ৭৭ এবং মেহেদী হাসান মিরাজের অনবদ্য ৮৩ বলে ১০০ রানের উপর ভর করে বাংলাদেশ পৌঁছে গেল ৬৯ রান থেকে ২৭১ রান!!!
কেউ কি বিশ্বাস করবে কি না জানি না ,স্বয়ং ভারতীয় বোলারদেরও অবিশ্বাস্য মনে হয়েছে। ঠিক যখন এমন পরিস্তিতি স্টেডিয়াম কানায় কানায় ভরে যেতে থাকলো আর বিশ্বের আনাছে কানাছে বাংলাদেশের ক্রিকেট ফ্যানরা বিশ্বকাপ ফুটবলের আমেজ ভুলে গিয়ে ক্রিকেটে বুদ হয়ে র্ইল।
ভারতীয় ব্যাটাররা মাঠে নামার সাথে সাথে স্টেডিয়ামের দর্শকদের বাংলাদেশ বাংলাদেশ প্রতিধ্বনিতে তাদের মনবল ভেঙে দেয়। সেই সুযোগে বাংলার বোলাররা খুব সহজে ছড়াও হতে পারে। রোহিত শর্মার ইঞ্জরিতে বিরাট কোহলি ওপেনিংয়ে নামেন। ক্রিজে সেট হওয়ার আগে ইবাদত হোসেনে গতির কাছে পরাস্ত হয়ে তাকে বোল্ড হতে বাধ্য করা হয় আর সাথে সাথে ইবাদত হোসেন চিরচেনা স্যালুট উপহার দেন বিরাট কোহলিকে । যে স্যালুট কাল হয়ে তার তিন বছর ফর্ম কেড়ে নিয়েছিল।
এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়তে থাকে।৪ উইকেট ভারত ৬৫ রানে ধুকছে তখন হাল ধরেন আক্সার প্যাটেল ও স্রায়েস । দুজন মিলে ভারতকে প্রায় জয়ের দ্বারপ্রান্তে তখন আবার আঘাত হানেন ইবাদত হোসেন।অতঃপর বাংলাদেশের জয়ের আশা দেখা দেয় ঠিক তখন দৃশ্যপট পাল্টে দেন সবার শেষে নামা অধিনায়ক রোহিত শর্মা।পরপর দুই কট মিস করে ভারতের জয় আরো প্রায় নিশ্চিত করে দেয়!
ম্যাচের শেষের ওভারে লাগে মাত্র বিশ রান। বোলিংয়ে আসেন ছন্দে ফেরা মোস্তাফিজুর রহমান ।প্রথম বল ডট দিয়ে পরপর দুই বলে চার মারলে স্টেডিয়াম পিনপতন নীরবতার সৃষ্টি হয় । ২ বলে দরকার পড়ে ১২ রান! ৫ম বলে ছয়! এখন জয়ের জন্য দরকার মাত্র ছয় রান,হাতে আছে এক বল। কিন্তু না! তীরে এসে তরি ডুবার শঙ্কাে আবার দেখা দিলো!। না , এমন ভয়কে বাংলাদেশ এবার জয় করল। শেষ বলে মাত্র একরান নিতে পারল রোহিত শর্মা রা। এর ফলেই সৃষ্টি হয়ে যায় ক্রিকেটীয় রুপকথার ।যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন এই রুপকথার স্মরণ করে যাবে বাংলার ক্রিকেট ফ্যানরা।বাংলাদেশের জয় যেন তাদের কাছে ঈদের আনন্দ ও হার মানে ।
প্রজন্মনিউজ২৪/এইচ ইউ
মুস্তাফিজকে কেন পুরো আইপিএল খেলতে দিচ্ছে না বাংলাদেশ
কণ্ঠের সুরক্ষায় ঝাল-তৈলাক্ত খাবার পরিহারের পরামর্শ
আগামীকাল ফিটনেস পরীক্ষা, থাকছেন কি সাকিব?
ধুনটে বাড়ী থেকে উচ্ছেদ করে জমি দখলের চেষ্টা
সেভ দ্য রোডের ১৫ দিনব্যাপী সচেতনতা ক্যাম্পেইন সমাপ্ত
খালেদা জিয়া ডাল-ভাত খাওয়াতেও ব্যর্থ হয়েছিল : শেখ হাসিনা
ঢাকায় আসতে না পেরে দুবাই-শারজাহর ১০ ফ্লাইট বাতিল
রাজবাড়ীতে ঘুড়ি উৎসব ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত