উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৭ ডিসেম্বর, ২০২২ ১২:০১:৫০ || পরিবর্তিত: ০৭ ডিসেম্বর, ২০২২ ১২:০১:৫০

উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

মুহাম্মদ ইয়াসিন,বেনাপোল প্রতিনিধিঃ শার্শা উপজেলার লক্ষণপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তা খায়রুজ্জামানের বিরুদ্ধে সরকারী খাস খতিয়ান ভুক্ত জমি দাখিলা প্রদানের লিখিত অভিযোগ করেছেন লক্ষণপুর ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারা খাতুন।

অভিযোগে প্রকাশ দুর্নীতিবাজ উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা খায়রুজ্জামান তার আচরণ অনিয়ম দুর্নীতিবাজ ও সরকারী সম্পত্তি প্রভাবশালীদের কে পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার কারণে অতিষ্ট হয়ে লক্ষণপুর ইউপি চেয়ারম্যান গত ০২.১০.২২ তারিখে জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগকারী ইউপি চেয়ারম্যান ক্ষোভ প্রকাশ করে এ প্রতিনিধিকে বলেন, লক্ষণপুর ভূমি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তা খায়রুজ্জামান এতটাই ক্ষমতাধর ব্যক্তি যে সরকারী সম্পত্তি সরকারী খতিয়ান ভুক্ত না করে মিস কেস নং ২১/৮/৮৮-৮৯ মোতাবেক সংশোধিত পিও-৯৮/৭২ অনুযায়ী সরকারী খতিয়ান ভূক্ত সম্পত্তির ভুয়া দলিল তৈরি করেন।
 
যাহার এসএ দাগ নং ৪৭৪ ক-তফশিল ভুক্ত সম্পত্তি, আরএস খতিয়ান নং ৭৭, আরএস দাগ নং ২১৩, জমির পরিমান ৩০ শতক জমির। কিন্তু ব্যক্তি মালিকানাধিন আরএস পর্চা হলেও উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা লক্ষাধিক টাকার বিনিময়ে উক্ত সম্পত্তি এক খতিয়ান ভূক্ত না করে উল্লেখিত ব্যক্তিকে দাখিলা প্রদান করে।

এ ব্যাপারে উপ-সহকারী কর্মকর্তা খারুজ্জামানের নিকট দাখিলা প্রদান সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিনিধিকে বলেন, দাখিলা বাতিল করে দিয়েছি। দাখিলা প্রদানের পর ঐ সম্পত্তি বিক্রয়ও হয়। যাহার দলিল নং ৮৭৫২, রেজি: তারিখ-২৬.১০.২১। দলিল গ্রহিতা আব্দুর রাজ্জাক, দাতা সাহেব আলী গং সর্ব সাং- হরিনাপোতা। রেজিষ্ট্রির পরে দাখিলা বাতিল কথাটি পাগলের প্রলাপ ছাড়া আর কিছুই নয়।

এছাড়া হরিনাপোতা ৫৫নং মৌজার হরিনাপোতা গ্রামে ভূমি দুষ্যু আতাল হকের পুত্র ইস্রাফিল, মৃত সাছুর রহমানের পুত্র আব্দুল লতিফ ও মৃত হযরত আলীর পুত্র সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল হানিফ এর নিকট থেকে ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার বিনিময়ে সরকারী দখলকৃত জমিতে ভেড়িবাধ নির্মান করার সুযোগ করে দেয়। যাহার এসএ দাগ ৫৯৪, আরএস দাগ ৬৫৯, ৬৬০, ৬৬১, ৬৬৭, ৬৬৮, ৬৬৯ মোট জমি ৩ একর ৬৬ শতক। যাহার মূল্য প্রায় ৪ কোটি টাকা। এভাবে প্রতিটি মৌজায় সরকারী সম্পত্তি লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে প্রভাবশালীদের কে সরকারী খতিয়ান ভূক্ত জমি নাম খারিজ ও দাখিলা প্রদান করছে।

ইতোপূর্বে লক্ষণপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে ৭ বছর কর্মরত ছিলো ঐ কর্মকর্তা।  এলাকার জনপ্রতিনিধি ও ইউপি চেয়ারম্যানের দাবিতে প্রতিটি নাম খারিজ ও সরকারী সম্পত্তি সংরক্ষিত আছে কিনা অথবা টাকার বিনিময়ে ব্যক্তি মালিকানায় কাগজপত্র তৈরী করে দিয়েছে তা খতিয়ে দেখার অনুরোধ জানান। বিভাগীয় তদন্ত হলে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার বহু ঘটনা উম্মোচিত হবে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নারাণচন্দ্র পাল এক স্বাক্ষাৎকারে বলেন লক্ষণপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তার অভিযোগের বিষয়টি উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি)তদন্ত করছেন।


প্রজন্মনিউজ২৪/এইচ ইউ

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ