বিয়ে বাড়িতে সংর্ঘষ,বরের আঘাতে দাদির মৃত্যু

প্রকাশিত: ০২ ডিসেম্বর, ২০২২ ০৬:১৯:৫৬ || পরিবর্তিত: ০২ ডিসেম্বর, ২০২২ ০৬:১৯:৫৬

বিয়ে বাড়িতে সংর্ঘষ,বরের আঘাতে দাদির মৃত্যু

অনলাইন ডেস্ক:কুড়িগ্রামের কাচাকাটায় বিয়ে বাড়িতে কনের গহনা নিয়ে বর ও কনে পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে কনের দাদির মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় বরসহ ১১ জনকে আটক করেছে কচাকাটা থানা পুলিশ। আটক ১১ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন কনের বাবা। 

বৃহস্পতিবার  রাতে নাগেশ্বরী উপজেলার কেদার ইউনিয়নের গোলেরহাট গ্রামে কনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

বিয়ে বাড়ির লোকজন ও পুলিশ জানায়, গোলেরহাট গ্রামের জামাল হোসেনের মেয়ে জেসমিন আক্তারের বিয়ের আয়োজন চলছিল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বঙ্গসোনাহাট ইউনিয়নের ঘুন্টিঘর এলাকার আলীফ উদ্দিনের ছেলে বর রাইসুল ইসলাম রিপনসহ বরযাত্রী কনের বাড়িতে আসেন। খাওয়া শেষে কনে সাজানোর সময় গহনা নিয়ে দু’পক্ষের বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে কনে পক্ষের কয়েকজন আহত হয়। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত কনের দাদি তহুরন নেছাকে নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য নিলে সেখানে মারা যায়।

খবর পেয়ে রাতেই কচাকাটা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বরসহ ১১ জনকে আটক করে। আটককৃতদের থানায় নিয়ে আসা হয়। শুক্রবার দুপুরে কনের বাবা জামাল হোসেন ১১ জনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেছেন।

কনের মা রুপালী বেগম বলেন, ‘বরপক্ষ থেকে দু’টি সোনার গহনা দেয়ার কথা ছিল। কনে সাজানোর সময় সেগুলো না দেয়া নিয়ে ঝগড়া লাগে। মারামারি হয়। আমার শাশুড়িকে কাঠ দিয়ে মাথায় মারে বরের লোকজন। হাসপাতালে নিলে তিনি মারা যান। এর বিচার দাবি করছি আমরা।’ 

কনে জেসমিন আক্তার, আমার চোখের সামনে আমার দাদিকে খাটের স্ট্যান্ড দিয়ে পিটিয়েছে বরের লোকজন। আমি খুনিদের ফাঁসি চাই। কনের বাবা জামাল হোসেন বলেন, অনেক স্বপ্ন নিয়ে মেয়েকে বিয়ে দিতে গেছিলাম। এখন মাকে হারালাম। আইনি পদক্ষেপ নিয়েছি। ন্যায্য বিচার আশা করছি।

কচাকাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম মর্তূজা বলেন, ঘটনা শোনার পরপরই আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ১১ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে এসেছি। এরমধ্যে জানতে পারি কনের দাদি মারা গেছেন। কনের বাবা জামাল হোসেন ১১ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। সব আসামি গ্রেপ্তার আছে। তাদের আদালতে তোলা হবে।


প্রজন্মনিউজ২৪/সাঈদ

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ