মাঁচায় করলার বাম্পার ফলন খুশি কৃষক

প্রকাশিত: ২০ নভেম্বর, ২০২২ ০১:৫২:২৬ || পরিবর্তিত: ২০ নভেম্বর, ২০২২ ০১:৫২:২৬

মাঁচায় করলার বাম্পার ফলন খুশি কৃষক

আজিজার রহমান দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ দিনাজপুরে প্রতিনিয়ত জনপ্রিয়তা পাচ্ছে মাঁচা পদ্ধতিতে হাইব্রিড জাতের করলা চাষ। ফলনের সফলতার পাশাপাশি বাজারে করলার দাম ভালো থাকায় খুশি কৃষকরা।
এই অঞ্চলের মাটি করলাসহ অন্যান্য সবজি চাষের উপযোগী। তাই এই জেলার ঘোড়াঘাউপজেলার  প্রায় ২০ গ্রামের কৃষকরা হাইব্রিড করলা চাষ করে সফল হচ্ছেন। 

সরজমিনে গিয়ে জানা গেছে , ঘোড়াঘাট উপজেলার মারুপাড়া, কৃষ্ণরামপুর, সোনারপাড়া, পাবর্তীপুর, বিন্যাগাড়ী, ডাঙ্গা, কুলান্দপুর, শ্রীচন্দ্রপুর, বেগুনবাড়ি, শালিকাদহ, উত্তর দেবীপুর, রঘুনাথপুরসহ ২০ গ্রামের প্রায় ২ শতাধিক কৃষক করলা চাষ করছেন। বর্তমানে কৃষকরা করলা সংগ্রহ ও বাজারজাত করনে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

ঘোড়াঘাট উপজেলার কৃষ্ণরামপুর সোনারপাড়া গ্রামের ইয়ামিন ইসলাম বলেন, চলতি মৌসুমে ১ একর জমিতে করলার চাষ করেছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো হয়েছে। বাজারে প্রতিমণ করলা ২০০০-২২০০ টাকা দরে বিক্রি করতে পারছি। বাজারদর এমন থাকলে ২ লাখ টাকার করলা বিক্রি করতে পারবো।

ঘোড়াঘাট উপজেলার বেগুনবাড়ি গ্রামের কৃষক হায়দার আলী বলেন, করলা চাষে গাছের খুব যত্ন নিতে হয়। ভালো করে পরিচর্যা করলে বেশি ফলন পাওয়া যায়। করলা চাষে গোবর সার, খৈল, রাসায়নিক সার, কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়। করলার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। অন্যান্য ফসলের থেকে করলা চাষে লাভ করা যায় বেশি। ফলন ও বাজারদর ভালো থাকলে লোকসান গুনতে হয় না।

ঘোড়াঘাট উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, জমি থেকে করলা উঠানোর পর কৃষকরা ফুলকপি, বাঁধাকপি, মরিচ, আলু ও পালং শাকসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি লাগাতে পারবেন। এতে কৃষকের আর বসে থাকতে হবে না।

ঘোড়াঘাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এখলাছ হোসেন সরকার জানান, গত বছর এই উপজেলায় ৬৫ হেক্টর জমিতে করলা চাষ হলেও এবছর ২০ হেক্টর বেড়ে ৮৫ হেক্টর জমিতে করলার চাষ হচ্ছে।


প্রজন্মনিউজ২৪/এ কে

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন





ব্রেকিং নিউজ