২ কিলোমিটার লম্বা ট্রেন চালালেন সাত চালক

প্রকাশিত: ১৯ নভেম্বর, ২০২২ ০৬:৩২:৪৩ || পরিবর্তিত: ১৯ নভেম্বর, ২০২২ ০৬:৩২:৪৩

২ কিলোমিটার লম্বা ট্রেন চালালেন সাত চালক

বিনোদন ডেস্কঃ একটি ইঞ্জিন মানুষ কিংবা পণ্যবাহী বেশকিছু বগিকে টেনে নিয়ে চলে কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যের উদ্দেশে। ট্রেনের এমন কাঠামো সম্পর্কে সবাই কম বেশি অবগত। চোখের সামনে দিয়ে যখন ১২, ১৬ কিংবা ২০ বগির একটি ট্রেন পার হয়, তখনইতো সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকেন। ভাবেন এত লম্বা ট্রেন!

অথচ সুইজারল্যান্ড সম্প্রতি বিশ্বে চলমান ট্রেনের বগির সংখ্যাকে পেছনে ফেলে গড়েছে বিশ্ব রেকর্ড। যেই ট্রেনে বগির সংখ্যা ছিল ১০০টি এবং লম্বায় ২ কিলোমিটার।

ট্রেন মানেইতো এক বিস্ময়। যেন ঝম ঝমা ঝম শব্দে এঁকেবেঁকে এগিয়ে চলা কোনো সাপ। কিন্তু এ কেমন ট্রেন। যার শুরু আছে কিন্তু শেষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। সম্প্রতি দুই কিলোমিটারের সমান দীর্ঘ ট্রেন বানিয়ে ইতিহাস গড়েছে সুইজারল্যান্ড। ১০০ বগির এই ট্রেনটিতে আসন সংখ্যা ৪,৫৫০টি। এর ধারণ ক্ষমতা ২,৯৯০ টন। আল্পস পর্বতমালার ওপর দিয়ে ২৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ইতোমধ্যেই ট্রেনটি রেকর্ড গড়ে ফেলেছে। জানা গেছে, সুইজারল্যান্ডের প্রকৌশল খাতের অর্জনকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরতেই এ উদ্যোগ নেয়া হয়। মূলত সুইস রেলওয়ের ১৭৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানকে স্মরণীয় করে রাখতেই এই আয়োজন।

এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে প্রায় দুই কিলোমিটার লম্বা এই যাত্রীবাহী ট্রেন চালিয়েছে, দেশটির রিহেটিয়ান রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। প্রায় সাড়ে ৪ হাজার আসনের এই ট্রেনটিকে বলা হচ্ছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ যাত্রীবাহী ট্রেন। আর এই ট্রেন চালানোর কাজে যুক্ত ছিলেন মোট সাতজন চালক ও ২১ জন প্রকৌশলী।

এদিকে ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পাওয়া পূর্ব সুইজারল্যান্ডের প্রেডা (Preda) থেকে আলভ্যানিউ (Alveneu) এর রেলস্টেশন পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার রেলপথ পাড়ি দিয়েছে ট্রেনটি। এই পথ পার হতে ট্রেনটির সময় লেগেছে প্রায় ১ ঘণ্টা। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রেডা ও আলভ্যানিউর উচ্চতা যথাক্রমে ১ হাজার ৭৮৮ মিটার ও ১ হাজার মিটার।

প্রেডা থেকে আলভ্যানিউ পর্যন্ত পুরো রেলপথই খুব অসমতল, বিশেষ করে পুরো লাইনটি ন্যারো গেজ হওয়ায় এই ট্রেনের যাত্রা-সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবাক করেছে। এক হাজার ৯১০ মিটার লম্বা ট্রেনটি যাত্রা পথে ২২টি টানেল ও গভীর উপত্যকার ওপর দিয়ে ৪৮টি সেতু পার হয়েছে।

এ বিষয়ে ট্রেনের প্রধান চালক আন্দ্রিয়াস ক্রেমার বলেন, ট্রেনের গতি ও অন্যান্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে ছিল। তবে জরুরি ব্রেক ব্যবস্থা ঠিক মতো কাজ না করায় ট্রেনটির প্রথম পরীক্ষামূলক চলাচল ব্যর্থ হয়। এছাড়া ট্রেনের সাত চালক বেশ কয়েকটি সুড়ঙ্গ অতিক্রমের সময় নিজেদের মধ্যে রেডিও বা সেলফোনেও যোগাযোগ রাখতে পারছিলেন না। পরে বিশেষ যোগাযোগব্যবস্থা চালু করে চালকেরা একই গতিতে ট্রেনটি পরিচালনায় সক্ষম হন।


প্রজন্মনিউজ২৪/এ কে

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন