বংশী নদী দখলের প্রতিযোগিতায় প্রভাবশালীরা

প্রকাশিত: ১৮ নভেম্বর, ২০২২ ০৩:১৪:১৪ || পরিবর্তিত: ১৮ নভেম্বর, ২০২২ ০৩:১৪:১৪

বংশী নদী দখলের প্রতিযোগিতায় প্রভাবশালীরা

 

অনলাইন ডেস্কঃ সাভারের বংশী নদীর তীর ঘেঁষে গড়ে ওঠেছে অসংখ্য অবৈধ স্থাপনা। স্থানীয়দের অভিযোগ, গত তিন দশকে এসব স্থাপনা গড়ে তুলেছেন প্রভাবশালীরা।

এতে নাব্য কমে নদীটি সরু খালে পরিণত হচ্ছে বলে দাবি এলাকাবাসীর। এছাড়া বালুমহালের দৌরাত্ম্যে প্রতিনিয়ত চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বাসিন্দারা।

জেলা প্রশাসন বলছে, বংশী নদীর তীর দখলমুক্ত করতে নেয়া হয়েছে মহাপরিকল্পনা। বংশী নদী দখলের মহোৎসবে মেতেছেন প্রভাবশালী মোজাফ্ফর হোসাইন জয়। 

ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের নয়ারহাট বাজার এলাকা। মহাসড়ক থেকে দুই পাশে যতদূর চোখ যায়, বংশী নদীর তীর দখলের মহোৎসব নজরে পড়ার মতো । 

শুধু নয়ারহাট বাজার এলাকা নয়, সাভার, নামাবাজার, বেদেপল্লি, ঘুঘুদিয়া, ঘোড়াদিয়া ও রাজফুলবাড়িয়াসহ দখল করা হয়েছে প্রায় ১৫-২০ কিলোমিটার এলাকা। নির্মাণ করা হয়েছে আধা-পাকা দোকান, কারখানা, বহুতল ভবন, বাজার ও বালুমহাল। এতে নদীর নাব্য কমছে আর জীববৈচিত্র্য নষ্ট হচ্ছে। পাশাপাশি ভোগান্তি পোহাচ্ছেন নদীর দুই পাড়ের মানুষ।

দখলের কারণে নাব্য কমে যাওয়ার কথা জানান খালেক এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী ফারুক হোসেন। এছাড়া এ ব্যবসায়ী নিজেদের দোষ স্বীকার না করে সব দায় চাপালেন প্রভাবশালী শিল্প মালিকদের ওপর।

এদিকে সাভার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাজহারুল ইসলাম বলেন, শিগগিরই বংশী নদীর দুই তীরের সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। 

তীর দখলমুক্ত করতে আদালতের নির্দেশে সাভার উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সম্প্রতি প্রভাবশালী ৪৪ জন দখলদারকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। গত ৩০ অক্টোবর সময়সীমা বেঁধে দেয়া হলেও এখন পর্যন্ত তালিকাভুক্তদের কেউই তাদের অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করেননি।


প্রজন্মনিউজ২৪/এ আর 

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ