মাদকবিরোধী অভিযান কৌশলগত পরিকল্পনা গ্রহণের পরামর্শ

প্রকাশিত: ১৬ নভেম্বর, ২০২২ ১২:০৫:৪৩

মাদকবিরোধী অভিযান কৌশলগত পরিকল্পনা গ্রহণের পরামর্শ

মাদকবিরোধী অভিযানে গিয়ে চোরাচালানিদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষের ঘটনা নতুন নয়। অনেক সময় অভিযানে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হওয়ার পাশাপাশি আহত এবং নিহত হওয়ার ঘটনাও ঘটছে। এ অবস্থায় বাড়তি সতর্কতার পাশাপাশি কৌশলগত পরিকল্পনা গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) আবদুর রশীদ।

জানা গেছে, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে রাখাইন অঞ্চলে চলছে গোলাগুলি। একাধিকবার বাংলাদেশ সীমান্তে এসে পড়েছে মর্টারশেল। কক্সবাজার ও বান্দরবান সীমান্তে বিরাজ করছে আতঙ্ক। এ অবস্থার মধ্যেই থেমে নেই মাদক কারবারিদের অপতৎপরতা। দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে ইয়াবার চালান ঢুকছে।


গোয়েন্দা সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী র‌্যাব, পুলিশ ও বিজিবিসহ অন্যান্য সংস্থা অভিযানও পরিচালনা করে আসছে নিয়মিত। এসব অভিযানে গিয়ে অনেক সময় মাদক চোরাচালানিদের বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে। আহত হওয়ার পাশাপাশি ঘটে নিহতের ঘটনাও। বান্দরবানের তুমব্রু সীমান্তে সোমবার রাতের ঘটনা তার বড় প্রমাণ। প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদফতর ডিজিএফআইর এক কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। আর র‌্যাবের এক কনস্টেবল গুরুতর আহত হন মাদকবিরোধী যৌথ অভিযানে। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, অনেক সময় মাদকবিরোধী অভিযানে গিয়ে আমাদের অনেক সদস্য আহত হচ্ছেন। অনেক ক্ষেত্রেই মাদক চোরাকারবারির হাতে আমাদের সদস্যরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাদকের সিন্ডিকেট অনেক বড় এবং তাদের রয়েছে শক্তিশালী নেটওয়ার্ক। হাজার হাজার কোটি টাকার মাদক বাণিজ্য টিকিয়ে রাখতে চোরাচালানিদের নিশ্চয়ই আলাদা পরিকল্পনা থাকে। তাই বাড়তি সতর্কতা দরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন বলেন, আমাদের দেশেও যদি মাফিয়া তৈরি হয়, তাহলে তাদের নির্মূল করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শক্তি, প্রশিক্ষণ কিংবা তাদের কৌশল এবং অস্ত্র বাড়ানো দরকার। 

চোরাচালানিদের মোকাবিলা করতে কৌশলগত পরিকল্পনা গ্রহণেরও পরামর্শ তার।

নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) আবদুর রশীদ বলেন, মাদকবিরোধী চোরাচালান অভিযান, এটি একটি বিশেষ ধরনের অভিযান। এ অভিযানটি যখন পার্বত্য অঞ্চলের মধ্যে হচ্ছে, তখন এটির চরিত্র বদলে যাচ্ছে। সমতলে এক ধরনের অভিযান হয়, আর নদীপথে আরেক ধরনের হয়। পার্বত্য অঞ্চলে সেখানে অভিযানে যাওয়ার সময় আমাদের যে কৌশলগত দিক আছে, সেটি আরও পর্যবেক্ষণ করতে হবে। যেন আরও সতর্কভাবে অভিযান পরিচালনা করা যায়।

মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স বাস্তবায়নে বাস্তবমুখী উদ্যোগ নেয়ার বিকল্প নেই বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।


প্রজন্মনিউজ২৪/এ কে

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ