আধুনিক ও দ্বীনি শিক্ষার আঙ্গিনা

প্রকাশিত: ১২ নভেম্বর, ২০২২ ০৫:৩৪:০১

আধুনিক ও দ্বীনি শিক্ষার আঙ্গিনা

সাধারণ মানুষের স্বম্নয়ে গড়ে উঠেছে আধুনিক ও দ্বীনি শিক্ষার আঙ্গিনা। দ্বীনি শিক্ষার পাশাপাশি জাহতীক শিক্ষার আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে "রাউতি আবিদ বিন আব্দুল-হামিদ কওমি মাদ্রাসা"।

২০১৫ সালের কথা! "আলহাজ্ব আবিদুর রহমান ভূঁঞা কওমি মাদ্রাসা" নামে কাজ শুরু হয় এ মাদ্রাসার।

জায়গা ও ঘরের সম্পূর্ণ দায়িত্ব নেন আলহাজ্ব আব্দুল হামিদ ভূঁঞা'র ছোট ছেলে আলহাজ্ব আবিদুর রহমান ভূঁঞা। মাদ্রাসা ভবনের কাজ শেষ হওয়ার পূর্বেই ক্লাস শুরু হওয়ার কারনে আলহাজ্ব মাওলানা বজলুর রহমান ভূঁঞা উনার বাংলা ঘরেই ক্লাস শুরু করতে দেন। তিনজন শিক্ষক ও ৪০/৪৫ জন শিক্ষার্থী নিয়ে এ যাত্রা শুরু করে নতুন নামে "আবিদ বিন আব্দুল-হামিদ কওমি ক্যাডেট মাদ্রাসা"। প্রায় মাস দুয়েক পরে মাদ্রাসার স্থায়ী ভবনে ক্লাস শুরু হয়।

এলাকার মানুষদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মাদ্রাসার যাত্রা ক্রমেই উন্নতির পথে হাটছে।

প্রথম তিন চার বছর প্রতি মাসে মোটা অঙ্কের একটা টাকা ভর্তুকি দিতে হতো যা বহন করতেন মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ্ব আবিদুর রহমান ভূঁঞা। এলাকার মানুষ মাদ্রাসার উন্নতি দেখে সকাল সন্ধ্যায় ভীড় করত মাদ্রাসার পাশে। প্রতিষ্ঠাতার কাছে প্রায়ই প্রশ্ন করতে শুনতাম যে আমরাও কি এখানে দান করতে পারব? উনার একটা উত্তরই ছিল "এখানে জমানোর সুযোগ আছে। কেউ এখান থেকে নিতে পারবে না" খুব সম্ভবত প্রথম দু'বছর তিনি একাই প্রতিষ্ঠানের সমস্ত খরচ বহন করেছিলেন। অতঃপর এলাকার সবাইকে ডেকে ঘোষণা দিলেন আজ থেকে সবাই এখানে অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করতে পারেন। সেদিন সবার মুখে হাসির ঝলক অনুমান করতে পারছিলাম।

মাদ্রাসার প্রথম দিকে তিনজন শিক্ষক ছিলেন খুবই পরিশ্রমী যার সাক্ষী আমি নিজেই। দিন রাত পরিশ্রম করে প্রথম কেন্দ্রীয় পরিক্ষায় শতভাগ এ+ অর্জন করে মাদ্রাসার সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিল মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।  যার ফলে এলাকার কয়েকটি কিন্ডারগার্ডেন বন্ধ হয়ে যায় ছাত্রছাত্রীর অভাবে।

"নূরানী তা'লীমুল কুরআন বোর্ড বাংলাদশ" বোর্ডের অধীনে কিশোরগঞ্জ তাড়াইলে খুব সম্ভবত এটাই ছিল প্রথম প্রতিষ্ঠান। অল্প সময়ে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের পড়া ও হাতের লেখার উন্নতি দেখে অনেকেই প্রসংশা করে ও যার যার অবস্থান থেকে এমন প্রতিষ্ঠান করার উদ্যোগ নেয়। বর্তমানে আমার মনে হয় ৫০+ প্রতিষ্ঠান হয়েছে শুধু তাড়াইলেই যাদের আদর্শ হিসেবে এখনো কাজ করে যাচ্ছে নতুন নামে "রাউতি আবিদ বিন আব্দুল-হামিদ কওমি মাদ্রাসা"।

বর্তমানে মাদ্রাসাটিতে ৭ জন শিক্ষক খিদমত করছেন এবং ২৫০+ ছাত্র পড়ালেখা করছেন হেফজ, নূরানী শিশু, ১ম, ২য়, ৩য় শ্রেণী ও কিতাব বিভাগ চলমান রয়েছে। পর্যায়ক্রমে কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ পর্যায়ে যাবেন বলে আশা করি। মাদ্রাসাটি এতিমখানা সম্বলিত, শিক্ষার্থীদের একটা অংশ ফ্রি পড়ালেখা করছেন যার দায়িত্ব নিতে কাজ করছেন মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও এলাকার জনগণ যা প্রসংশা যোগ্য।

নূরুল আমীন ভূঞা
রাউতি তাড়াইল কিশোরগঞ্জ

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন