শেখ হাসিনা ও দেশের উন্নয়ন আজ সমার্থক: পরিকল্পনামন্ত্রী

প্রকাশিত: ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১২:০১:৫২

শেখ হাসিনা ও দেশের উন্নয়ন আজ সমার্থক: পরিকল্পনামন্ত্রী

রাবি প্রতিনিধি: পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দর্শন হচ্ছে বাংলাদেশের উন্নয়ন। তিনি হচ্ছেন দেশের তথ্যের আকর। তাঁর জ্ঞান ও আকাঙ্খা  দিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়নে নিজেকে নিবেদিত করেছেন। তাই শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশের উন্নয়ন আজ সমার্থক। তাঁর লক্ষ্য সবাইকে নিয়ে উন্নয়নের লক্ষে এগিয়ে চলা।'

বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত ‘শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশের উন্নয়ন’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিন উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে রাবি প্রশাসন।

তিনি বলেন, 'শেখ হাসিনা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার রাষ্ট্রনায়ক। তিনি সংকট সামাল দেন দৃঢ়তার সাথে, হতাশাকে ঢেকে দেন আশার আলোয়। দেশের মঙ্গল ভাবনা তাঁর মানসে প্রোথিত। দূরদৃষ্টি, বিচক্ষণতা ও তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের সক্ষমতা তাঁকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবে এটা নিশ্চিত।'

পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, 'রোল মডেল খুঁজতে আমাদের বিশ্বের দিকে তাকানোর প্রয়োজন নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকে তাকান। সময়ানুবর্তিতার উদাহরণ হিসেবে আমরা বিভিন্ন দেশকে দেখি, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সময়ানুবর্তিতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত যা আমাদের নবীন প্রজন্মের জন্য অনুসরণীয়। একজন দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে যতগুণ থাকা দরকার প্রায় সবগুণই তাঁর আছে। কেননা তিনি মাটি ও মানুষের জন্য কাজ করেন। কোনো প্রকল্প অনুমোদন হতে গেলে সেটা জনগণের স্বার্থে হচ্ছে নাকি কোনো ব্যবসায়ী-আমলাজর উপকারে হচ্ছে সেটা আগে যাচাই করেন তিনি। যার জন্য দেশে আজ অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রয়েছে।'

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ৮০’র দশকে যখন দেশের মানুষ কোথায় যাবে, কার কাছে আশ্রয় নিবে, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের মধ্যে একটু ছাড়া ছাড়া ভাব। সেই মুহূর্তে দেশনেত্রী শেখ হাসিনাকে আওয়ামী লীগের সভাপতি করা হলো এবং তিনি দিল্লি থেকে দেশে ফিরে এলেন। দেশে এসে গণতন্ত্রের পথে তিনি তার অভিযাত্রা শুরু করলেন। যাত্রাপথে কখনও ট্রেন যোগে সারাদেশ, কখনও নৌপথে, সড়কপথে বা পায়ে হেঁটে সারাদেশের মানুষের মাঝে উপস্থিত হতে শুরু করলেন।

তিনি আরো বলেন, আমার জানামতে বাংলাদেশে এমন কোনো উপজেলা নেই, যে উপজেলায় শেখ হাসিনা যাননি। ৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পূর্বেই আশির দশকেই তিনি এই কাজটি করে ফেলেছিলেন। সেই কারণেই বিভিন্ন জায়গায় ছাড়া ছাড়া আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যারা অসহায়ত্ব বোধ করছিলেন, তারা তাদের সামনে আশার আলো দেখতে পায়। যার ফলশ্রুতিতে ৯৬ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে খালেদা জিয়া তার ‘ভুয়া’ নির্বাচনকে বাতিল করতে বাধ্য হয় এবং জুন মাসে যে নির্বাচন হয় সে নির্বাচনে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসেন।

আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে রাবি উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, প্রধানমন্ত্রী একজন সত্য, ন্যায়কামী এবং সৌন্দর্য পিপাসু মনের হার না মানা দুর্দমনীয় এক ব্যক্তিত্ব। ১৯৭৫ পরবর্তীতে যিনি বাংলাদেশে রেনেসাঁর সূচনা করেছেন, তিনিই হলেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমাদের জাতির জনক এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা দুটি যেমন জমজ শব্দ, ঠিক তেমনই বাংলাদেশের উন্নয়ন ও শেখ হাসিনা দুটি জমজ শব্দ। একটি আরেকটির পরিপূরক।

আলোচনা সভায় সম্মানিত অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর মো. সুলতান-উল-ইসলাম ও কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর (অব.) মো. অবায়দুর রহমান প্রামানিক।


প্রজন্মনিউজ২৪/ইজা 

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ