১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে কবরস্থান ও বাড়ির জায়গা দখলের অভিযোগ

প্রকাশিত: ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০১:০৭:৪৯

১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে কবরস্থান ও বাড়ির জায়গা দখলের অভিযোগ

গোপালগঞ্জ,প্রতিনিধিঃ গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় দুই প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে দেওয়াল তুলে কবরস্থান ও বাড়ির জায়গা দখলের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কোটালীপাড়া উপজেলার কান্দি ইউনিয়নের বানারঝোড় মৌজার করফা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, করফা গ্রামের মৃত মহসিন গাজীর ছেলে মিন্টু গাজী দীর্ঘদিন ধরে তার পৈত্রিক ভিটায় ৫৭ শতাংশ জায়গার উপর পাকা ভবন নির্মাণ ও বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ গাছ লাগিয়ে বসবাস করে আসছেন। গত কয়েক মাস ধরে একই গ্রামের আব্দুল হাকিম শেখের ছেলে প্রভাবশালী মিল্লাত শেখ ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলার শ্রীরামকান্দি গ্রমের মৃত লুৎফর রহমান শেখের ছেলে ফয়সাল শেখ এই বসত ভিটার ৩৮ শতাংশ জায়গা নিজেদের বলে দাবি করেন। 

ঘটনার দিন মিল্লাত শেখ ও ফয়সাল শেখ লোকজন নিয়ে দেওয়াল তুলে ৩৮শতাংশ জায়গা দখল করে নেয়। এ সময় বাঁধা দিতে গেলে মিল্লাত ও ফয়সাল শেখের লোকজন মিন্টু গাজীর মা পেয়ারা বেগম (৬০)কে মারধর করে। 

মিন্টু গাজী বলেন, আমি আমার পৈত্রিক ভিটায় বসবাস করছি। এখানে রয়েছে আমার বাপ দাদার কবর। মিল্লাত ও ফয়সাল অবৈধ ভাবে জোর করে আমার এই বাপ দাদার ভিটার ৩৮ শতাংশ জায়গা দখল করে নিয়েছে। তারা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে দেওয়াল তুলে আমার বাপ দাদার কবরস্থানসহ বাড়ির জায়গা দখল করে নিয়েছে। আমি আমার জায়গা ফেরত পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। 

মিন্টুর মা পেয়ারা বেগম বলেন, রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) গোপালগঞ্জ বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এই জায়গার উপরে ১৪৪ধারা জারি করেছে। এই ১৪৪ধারা ভঙ্গ করে মিল্লাত ও ফয়সাল আমাদের জায়গার উপর দেওয়াল নির্মাণ করেছে। আমি বাঁধা দিতে গেলে তারা আমাকে মারধর করে। 

এ বিষয়ে ফয়সাল শেখের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমরা মিন্টু গাজীর জায়গা দখল করিনি। আমরা সোমবার আমাদের জায়গায় দেওয়াল নির্মাণ করছিলাম। দুপুরে পুলিশ এসে আদালতের নিষেধাজ্ঞার কথা জানালে আমরা কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। আমি ১৪৪ধারা ভঙ্গ ও পেয়ারা বেগমকে মারধর করিনি। 

মিল্লাত শেখ বলেন, আমরা করফা গ্রামের মৃত হাসেম গাজীর ছেলে আক্কেল আলী গাজী ও মুনসুর আলী গাজীর কাছ থেকে এই জায়গা ক্রয় করেছি। আমরা আমাদের জায়গার উপরে দেওয়াল নির্মাণ করেছি। মিন্টু আমাদের বিরুদ্ধে জমি দখলের মিথ্যা অভিযোগ এনেছে। 

কোটালীপাড়া থানার এএসআই  মোঃ এশরাদ হোসেন বলেন, আমি আদালতের নিষেধাজ্ঞার কপি হাতে পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। মিল্লাত শেখ ও ফয়সাল শেখ এর পরেও যদি কাজ করে তাহলে আইনগত ভাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 


প্রজন্মনিউজ২৪/ইজা 

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ