পরিচ্ছন্নতা দিবসে খুবি শিক্ষার্থীদের ভাবনা

প্রকাশিত: ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০৪:৪১:৩২

পরিচ্ছন্নতা দিবসে খুবি শিক্ষার্থীদের ভাবনা

আলকামা রমিন খুবি প্রতিনিধিঃ সুস্থ ও সুন্দর থাকার জন্য পরিচ্ছন্নতার বিকল্প নেই। আমাদের সবার বাসা-বাড়ি, ক্যাম্পাস সবজায়গাতেই ময়লা-আবর্জনা হয়। সুস্থ জীবন-যাপনের জন্য চারপাশ পরিচ্ছন্ন রাখা জরুরী। এ লক্ষ্যেই প্রতিবছর পালিত হয় বিশ্ব পরিচ্ছন্নতা দিবস।

পরিচ্ছন্নতা দিবস ২০২২ নিয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীদের ভাবনা তুলে ধরেছেন প্রজন্ম নিউজের খুবি প্রতিনিধি আলকামা রমিন।

ইতিহাস ও সভ্যতা ডিসিপ্লিনের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আখলাক উদ্দিন বলেন, পৃথিবীকে বাঁচাতে ও প্রাণের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পরিবেশকে পরিচ্ছন্ন রাখার গুরুত্ব অপরিসীম। বিশ্বব্যাপী পরিবেশ রক্ষায় সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে প্রতি বছর বিশ্ব পরিচ্ছন্নতা দিবস পালিত হয়। এই দিনে অনেক সংগঠন বিভিন্ন পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম হাতে নিয়ে থাকে। এই উদ্যোগ ছোট মনে হতে পারে কিন্তু এগুলোর মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে পারলে পরিচ্ছন্ন পরিবেশ পাওয়া সম্ভব। কারণ কারো একার পক্ষে পরিচ্ছন্ন পরিবেশ তৈরি করা সম্ভব নয়। সবাই সচেতন হলেই পরিচ্ছন্ন পরিবেশ তৈরি হবে।

আইন ডিসিপ্লিনের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী গোলাম হুসাইন বলেন, পরিচ্ছন্নতা দিবসে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পরিষ্কার করার জন্য ছোট-বড় অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কাজ করে থাকে। এটা অবশ্যই প্রশংসনীয়। কিন্তু শুধুমাত্র তাদের এই কাজের দ্বারাই কিন্তু ক্যাম্পাস পরিষ্কার থাকবে না। প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে এব্যাপারে সচেতন হতে হবে। সবাই যদি তার নিজ নিজ জায়গা থেকে তাদের চারপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা করে, তাহলেই পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস, পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব। আর পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য ছোটবেলা থেকেই ছাত্রছাত্রীদের শ্রেণিকক্ষ পরিচ্ছন্নতা রাখা, ব্যাগ- টিফিনবক্স পরিচ্ছন্ন রাখতে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। শ্রেণিকক্ষের সামনে ডাস্টবিন রাখতে হবে বা শ্রেণিকক্ষে ময়লা ফেলার ঝুড়ি রাখতে হবে। সবাইকে সেখানে ময়লার অভ্যাস করাতে হবে। স্কুলের খেলার মাঠ পরিস্কার রাখতে হবে। এগুলোর মাধ্যমেই পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখা সম্ভব।

অর্থনীতি ডিসিপ্লিনের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে আমাদের নৈতিক দ্বায়িত্ব আমাদের পরিবেশকে পরিচ্ছন্ন রাখা এবং এ ব্যাপারে সবাইকে সচেতন করা। পরিচ্ছন্নতা দিবস ২০২২ এ আমাদের চারপাশ পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য শপথ নিতে হবে। সকলের উচিৎ নিজ নিজ জায়গা থেকে পরিবেশকে পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা করতে হবে।

দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সুমাইয়া ইয়াসমিন বলেন,  আমরা রাস্তায় চলতে চলতে মুড়ি, বাদাম, বিস্কুট, চকলেট বা অন্য কোন খাবার খাওয়া শেষ হওয়ামাত্রই খাবারের অবশিষ্টাংশ বা প্যাকেটগুলো রাস্তায় ফেলে দেই। অনেকে দেখা যায় কোমল পানীয় বা পানি খাওয়া শেষে প্লাস্টিকের বোতল যেখানে সেখানে ফেলে চলে যায়। রাস্তার পাশে ডাস্টবিন থাকা সত্ত্বেও মানুষ এগুলো ব্যবহার করে না। অথচ এই পলিথিন-প্লাস্টিক পরিবেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। আবার বিভিন্ন জায়গায় পড়ে থাকা প্লাস্টিকের বোতলের মতো এরকম ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা আবর্জনায় মশা-মাছি বাসা বাঁধে। জমে থাকা পানিতে মশা ডিম পাড়ে। এগুলোর জন্যই মশাবাহিত বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটে। শুধু মশার ওষুধ ছিটিয়ে এসব রোগ থেকে পরিত্রাণ সম্ভব নয়, প্রয়োজন যেখানে-সেখানে ময়লা আবর্জনা না ফেলে একটি নির্দিষ্ট স্থানে ফেলা। তো আমরা যদি এসব বিষয়ে সচেতন হতে পারি তবেই বিশ্ব পরিচ্ছন্ন দিবস স্বার্থক হবে।

কম্পিউটার সাইন্স এ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিনের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম বলেন, এই পরিচ্ছন্নতা দিবসে সবাইকে ময়লা-আবর্জনা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে একটি পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস হিসেবে গড়ে তোলার জন্য আমাদের স্বদিচ্ছাই যথেষ্ঠ। আমরা যদি ক্যাম্পাসের ডাস্টবিনগুলো সবসময় ব্যবহার করি তাহলেই ক্যাম্পাস সুন্দর থাকবে। একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে আমাদের এব্যাপারে সচেতন থাকা দরকার। পরিচ্ছন্নতা দিবসে ডিভেলপমেন্ট স্টাডিজ ডিসিপ্লিনসহ অনেকেই ক্যাম্পাস পরিষ্কার করেছে। কিন্তু এই অভ্যাসগুলো যদি আমরা না তৈরি করতে পারি তাহলে ক্যাম্পাস পরিচ্ছন্ন রাখা সম্ভব হবে না।


প্রজন্মনিউজ২৪/খতিব

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ