কক্সবাজার ডিসি কার্যালয়ের ছাদে ড্রাগন চাষ

প্রকাশিত: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০৩:৫০:০২

কক্সবাজার ডিসি কার্যালয়ের ছাদে ড্রাগন চাষ

তাফহীমুল আনাম, কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের  ছাদে ড্রাগন ফলের চাষ করে সফল হয়েছেন ওই অফিসের উপ প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবুল মনজুর।

তিনি  ছাদ বাগানে অন্যান্য ফলজ বৃক্ষের সাথে ড্রাগন ফলের চাষ করে  রীতিমতো সবাইকে অবাক করে দিয়েছেন। তার এই কর্মকান্ডে ইতোমধ্যে সকলের কাছে প্রশংসিত হয়েছেন। যা কখনো কেউ কল্পনা করেনি তা সে করে দেখিয়েছেন। তিনি  ছাদে শুধু ড্রাগন নয় হরেক রকম ফলফলাদি ও ঔষুধী বৃক্ষ  সেখানে রোপণ করেছেন।

জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের পরিত্যাক্ত  ছাদের উপর তিনি লাগিয়েছেন প্রায় তিন হাজার  চারাগাছ।তারমধ্যে   দুই হাজার চারাই  ড্রাগনের  । শখের বশে ড্রাগন চাষ করে তিনি এখন বানিজ্যিকভাবে স্বপ্ন দেখছেন। এসব চারা মাত্র চার মাসে পরিপূর্ণ ফল দিচ্ছে। এক বছরে তিনি প্রায় ১০০ কেজি ফল সংগ্রহ করেছেন। সামনে এর পরিধি  আরো পাঁচগুণ বৃদ্ধি পাবে।

জেলা প্রশাসকের অনুমতি সাপেক্ষে প্রথমে পরীক্ষা মূলক চাষ শুরু করেন  উপ প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবুল মনজুর।  সবুজ বৃক্ষ প্রেমিক আবুল মনজুর  অসম্ভবকে সম্ভব করে  দেখিয়েছেন। গড়েছেন সবুজের বিপ্লব।  তিনি  ইতোমধ্যে যুব সমাজকে আকৃষ্ট করতে  গঠন করেছেন  গ্রীণ রেভুলেশন  সোসাইটি নামের একটি সংগঠন। এই সংগঠনের মাধ্যমে   তিনি তার  এই ছাদ বাগানের সফলতা চারদিকে  ছড়িয়ে দিয়ে দেশের সকল যুব সমাজকে সম্পৃক্ত করে সফল করতে এবং সবুজ বিপ্লবের মাধ্যমে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করতে তিনি আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

আবুল মনজুর জানান,

এপুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে আমার সময় লেগেছে  মাত্র দুই বছর।  এ পর্যন্ত বাগানে খরচ করেছি এক লাখ ২০ হাজার টাকা মতো । এ স্বল্প টাকা খরচ করে  এখন আমি   সারা বছরই ফল ভোগ করতে পারছি। আমার রোপণকৃত গাছে ফল সৃষ্টি হয়ে  আত্মীয় স্বজন, বন্ধু ও সহকর্মীদের মাঝে এসব ফল বিলিয়ে দিতে পেরে খুবই আনন্দ উপভোগ করি। সামনে এই ফল আমি বাজারজাত করবো। মানুষ আমার কাছ থেকে স্বল্প মূল্যে ভালো জিনিসটিই পাবে।

তিনি আরো বলেন, এই ড্রাগন বৃক্ষ ফল দেবে ১২ থেকে ১৫ বছর। যুব সমাজের বেকারত্ব ঘোছানোর এটি হতে পারে অন্যতম আয় বর্ধক প্রকল্প।

আমাদের আগে ছিল সাপ্তাহিক একদিন ছুটি। ওই দিন আমি  ড্রাগন চাষের পরিচর্যায় সময় পেতাম।বর্তমানে সাপ্তাহিক দুই দিনের ছুটি থাকায় আরো বেশী সময় দেয়া যায় আমার এই ফলজ বাগানে।

তিনি আরো  জানান,দুই হাজার ড্রাগন গাছ লাগানো সত্ত্বেও ছাদের বিশাল অংশ এখনো খালি রয়েছে । ছাদের ওইসব খালি জায়গায়  পরিবেশবান্ধব, অধিক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ  আরো তিন হাজার  ড্রাগন চারা রোপন করবো খুব শীঘ্রই । বিশাল সম্ভবনাময় এই ড্রাগন চাষ আমার  জীবনের গতিধারাকে বদলে দিয়েছে।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কর্মকর্তা এফএ ফরিদ জানান, আমাদের মনজুর ভাই সত্যিই মহৎ একটি কাজ করেছেন। যা কেউ কোনদিন কল্পনা করেনি, তা তিনি করে দেখিয়েছেন। তার এই উদ্যোগের কারণে আজ ডিসি অফিসের ওই ছাদ বাগান সবুজ অরণ্যে পরিনত হয়েছে।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো: মামুনুর রশীদ জানিয়েছেন,  ছাদে একটি সুসজ্জিত  বাগান হয়েছে তা এতোদিন আমার জানা ছিলনা। একদিন মনজুর আমাকে ছাদে নিয়ে দেখালো তার বাগানটি। সত্যি আসলেই মনোমুগ্ধকর হয়েছে তার কাজ। ছাদটি এখন সবুজে পরিপূর্ণ। প্রসংশার দাবি রাখে আমাদের মনজুর।


প্রজন্মনিউজ২৪/খতিব

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ