ডিজিটাল পাঠ্যপুস্তকের ব্যবহার শুরু করবে জাপান

প্রকাশিত: ২৬ অগাস্ট, ২০২২ ০১:০৯:০২

ডিজিটাল পাঠ্যপুস্তকের ব্যবহার শুরু করবে জাপান

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ জাপানের শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২০২৪ সাল থেকে ডিজিটাল পাঠ্যপুস্তকের ব্যবহার শুরুর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে। পঞ্চম, যষ্ঠ শ্রেণি ও জুনিয়র হাই স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য শুরুতে ইংরেজি ক্লাসের জন্য রোল আউট করা হবে। ডিজিটাল পাঠ্যপুস্তকগুলো গণিত ক্লাসের জন্য ২০২৫ সাল থেকে সম্পূর্ণরূপে ব্যবহার করা হবে। আপাতত ক্লাসে শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত্রি এড়াতে কাগজের বাঁধানো বইয়ের সাথে সমন্বয় করে পাঠদান করা হবে।

বৃহস্পতিবার দেশটির শিক্ষামন্ত্রীর উপদেষ্টা প্যানেলের একটি বৈঠকে ডিজিটাল পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নে একটি প্রতিবেদন পেশ করে। প্রাথমিকভাবে ওই বৈঠকে প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন লাভ করেছে। শনিবার প্রকাশিত দেশটির সংবাদ মাধ্যম দ্য জাপান টাইমসের খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের ইংরেজি শেখার জন্য টেক্সট টু স্পীচ ফাংশনসহ ডিজিটাল পাঠ্যপুস্তকগুলোতে কিভাবে শব্দ উচ্চারণ করতে হয়, কিভাবে শোনার দক্ষতা বাড়াতে হবে তা উল্লেখ থাকবে। গণিতের জন্য শিক্ষার্থীদের গ্রাফ ও ডায়াগ্রাম দেখে শেখার জন্য সহজ হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে অন্যান্য বিষয়ের জন্য কবে থেকে ডিজিটাল পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন ও ব্যবহার শুরু করা হবে সে বিষয়ে দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয় এখনও কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি।

কাগজের বাঁধানো পাঠ্য বইগুলোর মতোই ডিজিটাল পাঠ্যপুস্তকগুলো উৎপাদনে রাষ্ট্রীয় তহবিল থেকে অর্থায়ন করা হবে এবং বিনামূল্যে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করা হবে। দেশটির প্রতিটি প্রাথমিক বা জুনিয়র উচ্চ বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদেরকে একটি কম্পিউটার ডিভাইস দেওয়া হবে। সরকারি প্রাথমিক ও জুনিয়র উচ্চ বিদ্যালয়ে ইংরেজির জন্য পরীক্ষামূলক ভিত্তিতে এবং ৭০ শতাংশ বিদ্যালয়ে গণিত বিষয়ের উপর ডিভাইসগুলো বিতরণ করা হবে।

শিক্ষার্থীরা কিভাবে ডিজিটাল পাঠ্যপুস্তকগুলোর ব্যবহার করবে তা শেখাতে বিদ্যালয়গুলোতে আলাদা প্রশিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার বিষয়েও পরিকল্পনা করছে দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ডিজিটাল পাঠ্যপুস্তকে কার্যকাররিতা মূল্যায়নের জন্য মন্তণালয় আলোচনা শুরুর কথা জানিয়েছে।

২০২১ সালে মন্ত্রণালয়ের করা একটি সমীক্ষায় অনেক শিক্ষার্থীই বলেছিল যে তারা গ্রাফ ও ছবি দেখার জন্য এবং তথ্য সংগ্রহরের জন্য ডিজিটাল পাঠ্যপুস্তকই বেশি পছন্দ করে। সে সময় তারা লেখার সহজতাও উল্লেখ করেছিল এবং আধুনিক যুগে কাগজের পাঠ্য বইয়ের উপযোগিতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিল।
 


প্রজন্মনিউজ২৪/এসএমএ

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ