পায়ের ব্যায়ামে যেসব ভুল নয়

প্রকাশিত: ১৯ অগাস্ট, ২০২২ ০৩:২০:৩২

পায়ের ব্যায়ামে যেসব ভুল নয়

অনলাইন ডেস্ক: সুস্থ থাকতে হলে ব্যায়ামের বিকল্প হয় না। তবে ব্যায়ামেরও নানা রকমভেদ আছে। সে বিষয়ে প্রয়োজন ভিন্ন পদক্ষেপ। বিশেষত যারা পায়ের ব্যায়াম করেন তাদের সতর্ক থাকতে হয় বেশি। পায়ের মাসল আকারে বেশ বড়। ব্যায়াম শুরু করলে পায়ে ব্যথা হবে এমনটাই স্বাভাবিক। আবার অনেকে প্রচুর স্ট্রেস দিয়ে নানা ইনজুরিতে পড়েন।

পায়ের ব্যায়াম করার সময় সচরাচর ভুলের কারণে ভুগতে হয় অনেককে। সেই ভুলগুলো একবার জেনে নিলে ভবিষ্যতে অন্তত দূর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হবে।

ব্যায়ামের আগে স্ট্রেচ করুন:ব্যায়াম শুরুর আগে স্ট্রেচ করে নিন। স্ট্রেচিং করলে মাসলে স্থিতিস্থাপকতা সুনিশ্চিত হয়। তবে স্ট্রেচিং শুধু ব্যায়ামের আগেই না, পরেও করতে হবে। এতে আপনার ব্যায়ামের ফলে উত্তেজিত পায়ের পেশি কিছুটা রিল্যাক্স হতে পারে।

সবসময় হাটু বাঁচিয়ে ব্যায়াম করবেন:সবসময় লক্ষ্য রাখবেন, হাটুতে যেন চোট না আসে। হাটু বাঁচিয়ে চলতেই হবে। কারণ হাটুতে ব্যথা পেলে অনেকদিন কষ্ট করতে হয়। সেজ্ন্যে হাটুতে নি গার্ড ব্যবহার করুন। নি গার্ডের বদলে মোটা কাপড় পায়ে বেঁধে নিলেও কাজ হবে।

পা সুরক্ষিত রাখতে ব্যায়ামের উপযোগী জুতো পরুন:ব্যায়ামের সময়, তা জিম কিংবা যেকোনো স্থানই হোক, সবসময় ব্যায়ামের উপযুক্ত জুতো পায়ে পরবেন। এতে আপনার পা সুরক্ষিত থাকবে। জুতোর সঙ্গে মোজা পরে নিলে পা বাড়তি সুরক্ষা পায় এবং খালি পায়ে ব্যায়ামের বাড়তি চাপ পড়েনা। 

কাফ মাসলের দিকে মনোযোগ দিন:সচরাচর কোয়াড্রিসেপস ও হ্যামস্ট্রিং মাসল নিয়েই আমাদের চিন্তা থাকে বেশি। হ্যামস্ট্রিং ইঞ্জুরিপ্রবণ বিধায় এই সমস্যা হয়। কিন্তু আমরা প্রায়শই কাফ মাসলের কথা ভুলে যাই একেবারে। মনে রাখবেন, কাফ মাসল আপনার দেহের ওজনের ওজনের অনেকটাই বহন করতে সাহায্য করে। ব্যায়ামের সময় কাফ মাসলের উন্নতির দিকে তাই আলাদা গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন।

পায়ের ভালো ব্যায়াম করুন:স্কোয়াট বা লাঞ্জেস পায়ের সবচেয়ে ভালো ব্যায়াম। একদিন পায়ের ব্যায়াম করে অন্তত দুদিন পায়ের পেশিকে বিশ্রাম দিন। নিতম্ব, কাফ মাসল ও গ্লুটসের ব্যায়াম বাদ দেয়া চলবেনা। 


প্রজন্মনিউজ২৪/ইজা

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন