প্রকাশিত: ১৭ অগাস্ট, ২০২২ ০৫:১২:০২
মানুষের ঈমান কমে-বাড়ে। ঈমান কমলে আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্কের দূরত্ব তৈরি হয়। আর বাড়লে সম্পর্ক বৃদ্ধি পায়। বিভিন্ন কারণে বান্দার ঈমানে প্রভাব পড়ে। নিচে কিছু আমলের কথা তুলে ধরা হলো, যার মাধ্যমে ঈমান বৃদ্ধি পায়।
কোরআন তেলাওয়াত : কোরআন তেলাওয়াত করলে ঈমান বাড়ে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘যখন তাদের সামনে কোরআনের আয়াত তেলাওয়াত করা হয়, তখন তাদের ঈমান বৃদ্ধি পায়।’ (সুরা আনফাল : ২)
সাহাবাদের জীবনীচর্চা : আল্লাহ তায়ালা সাহাবায়ে-কেরামের ঈমানকে আমাদের ঈমানের জন্য আদর্শ বানিয়েছেন। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘লোকেরা যেভাবে ঈমান এনেছে তোমরাও সেভাবে ঈমান আনো।’ (সুরা বাকারা : ১৩)। হজরত আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা.) বলেন, ‘মুহাম্মদ (সা.)-এর সাহাবারা যেভাবে ঈমান এনেছেন, তোমরাও সেভাবে ঈমান আনো।’ (তাফসিরে তাবারি, এই আয়াতের তাফসির)
আল্লাহর জিকির : দুর্বল ঈমানের সুস্থতার জন্য জিকির খুবই উপকারী। আল্লাহর জিকির অন্তরে ঈমানের বীজ বপন করে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং তাদের অন্তর আল্লাহর জিকির দ্বারা শান্তি লাভ করে; জেনে রাখো, আল্লাহর জিকির দ্বারাই অন্তর শান্তি পায়।’ (সুরা রাদ ২৮)
আল্লাহর সৃষ্টি নিয়ে চিন্তাভাবনা : পৃথিবীতে আল্লাহর সৃষ্টির প্রতি তাকালে, সেসব নিয়ে ভাবলে ঈমান বৃদ্ধি পায়। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘নিশ্চয় আসমান ও জমিন সৃষ্টিতে এবং রাত ও দিনের আবর্তনে চিন্তাশীলদের জন্য নিদর্শন রয়েছে।’ (সুরা আলে ইমরান : ১৯০)
আল্লাহর জন্য বন্ধুত্ব ও শত্রুতা : মুমিনদের সঙ্গে সম্পর্ক ও বন্ধুত্ব রাখা আর কাফিরদের সঙ্গে শত্রুতা রাখা ও সম্পর্কছেদ করা। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘নিঃসন্দেহে তোমাদের বন্ধু হচ্ছেন একমাত্র আল্লাহ, রাসুলুল্লাহ (সা.) ঈমানদারেরা নামাজ কায়েমকারী, জাকাত আদায়কারী এবং রুকু আদায়কারী।’ (সুরা মায়িদা : ৫৫)। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে আল্লাহর জন্য ভালোবাসে, আল্লাহর জন্য ঘৃণা করে, আল্লাহর জন্য প্রদান করে এবং আল্লাহর জন্য প্রদান থেকে বিরত থাকে সে ঈমান পরিপূর্ণ করেছে। (আবু দাউদ : ৪৬৮১)
বিনম্রতা ও লজ্জাশীলতা : হাদিসে লজ্জাকে ঈমানের অঙ্গ বলা হয়েছে। হজরত ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) এক আনসারী সাহাবির পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। সেই সাহাবি তার ভাইকে লজ্জার ব্যাপারে উপদেশ দিচ্ছিলেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন- তাকে ছেড়ে দাও। কেননা লজ্জা ঈমানের অঙ্গ।’ (বোখারি : ২৪; মুসলিম : ৩৬; তিরমিজি : ৬২১৫)
এ ছাড়াও ঈমান বৃদ্ধির জন্য বেশি বেশি নেক আমল করা এবং যাবতীয় গুনাহ বর্জন করা। কেননা যেকোনো নেক আমল ঈমানকে বৃদ্ধি করে। এজন্য কোরআন মাজিদে যত জায়গায় ঈমানের কথা এসেছে তত জায়গায় পাশাপাশি নেক আমল করার কথাও এসেছে। হে আল্লাহ! আপনি ঈমানকে আমাদের নিকট প্রিয় করে দিন এবং ঈমানকে আমাদের অন্তরে সুশোভিত করে দিন। কুফর, পাপাচার ও আপনার অবাধ্যতাকে অপছন্দনীয় করে আমাদের সুপথপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত করে নিন। আমিন।
প্রজন্মনিউজ২৪/ইজা
খুলনায় বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায়
সরকার হজযাত্রীদের সর্বোত্তম সেবা দিতে বদ্ধপরিকর : ধর্মমন্ত্রী
ভারতে নারী ভোটার বাড়ছে, ৫ বছরে ছাপিয়ে যেতে পারে পুরুষদের
জৌলুশ হারাচ্ছে বাংলা নববর্ষের হালখাতা
মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার জন্য একমাত্র দায়ী নেতানিয়াহু: এরদোগান
শাওয়ালের ৬ রোজা রাখার সহজ পদ্ধতি
মার্চে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯.৮১ শতাংশ
শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলেই মুক্তিযোদ্ধাদের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়: শফিকুর