ভারতের উদ্বেগের পরেও

শ্রীলঙ্কার বন্দরে চীনের সামরিক গোয়েন্দা জাহাজ

প্রকাশিত: ১৬ অগাস্ট, ২০২২ ০১:১৮:৩৯ || পরিবর্তিত: ১৬ অগাস্ট, ২০২২ ০১:১৮:৩৯

শ্রীলঙ্কার বন্দরে চীনের সামরিক গোয়েন্দা জাহাজ

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ভারতের উদ্বেগ থাকা সত্ত্বেও চীনের সামরিক গোয়েন্দা জাহাজ ইউয়ান ওয়াং-৫ শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা বন্দরে মঙ্গলবার নোঙর ফেলেছে। কলম্বো গেজেট অনুসারে চীনা কূটনীতিকরা ও বন্দর কর্মকর্তারা এসময় জাহাজটিকে স্বাগত জানিয়েছে। যদিও জাহাজটির গোয়েন্দা কার্যক্রমের ফলে নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল ভারত। তবে জাহাজটিকে শ্রীলঙ্কার জলসীমায় গবেষণা না চালানোর শর্তে বন্দর নোঙর ফেলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে বন্দর কর্মকর্তারা জানিয়েছে।

জাহাজটিকে ২২ আগস্ট পর্যন্ত চীন পরিচালিত হাম্বানটোটা বন্দরে অবস্থান করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের করা এক প্রতিবেদনে আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের মতে, ইউয়ান ওয়াং-৫ চীনের সর্বশেষ প্রজন্মের শক্তিশালী স্পেস-ট্র্যাকিং জাহাজগুলোর মধ্যে একটি। এটি স্যাটেলাইট, রকেট ও আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ পর্যবেক্ষণ করতে সক্ষম।

ভারতীয় বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে একে ‘দ্বৈত-ব্যবহৃত গোয়েন্দা জাহাজ’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। অন্যদিকে শিপিং অ্যানালিটিক্স ওয়েবাসাইডগুলো এটিকে গবেষণা ও জরিপ জাহাজ বলে। এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শ্রীলঙ্কায় যাওয়ার সময় জাহাজের ট্র্যাকিং সিস্টেম ভারতীয় স্থাপনাগুলোর ওপর গোয়েন্দা নজরদারি চালিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নিতে পারার সম্ভাবনা নিয়ে নয়াদিল্লি উদ্বিগ্ন।

গত মাসের শুরুতে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছিলেন, সরকার এই জাহাজের পরিকল্পিত সফর গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে, নয়াদিল্লি তার নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষা করবে। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাহাজটির আগমন ঠেকাতে ভারত লঙ্কান সরকারের কাছে মৌখিকভাবে আহ্বান জানিয়েছিল। চলতি মাসের শুরুতে লঙ্কান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চীনকে জাহাজটির বন্দরে প্রবেশ নিয়ে ‘আরো দ্বিপাক্ষিক আলোচনার প্রয়োজন’ বলে সম্ভাব্য সময় পিছিয়ে দিতে বলেছিল।

প্রতিক্রিয়ায় চীন কোন দেশের নাম উল্লেখ না করেই বলেছিল, কিছু দেশের জন্য শ্রীলঙ্কাকে চাপ দিয়ে তথাকথিত ‘নিরাপত্তা উদ্বেগ’ প্রকাশ করা সম্পূর্ণভাবে অযৌক্তিক। পরে শ্রীলঙ্কার পক্ষ থেকে জাহাজটিকে নোঙর ফেলার অনুমতি দেওয়ার হবে বলে ঘোষণা দেয়া হয়। গুরুতর অর্থনৈতিক সংকটে থাকা শ্রীলঙ্কায় বেইজিংয়ের ক্রমবর্ধমান প্রভাব ভারতের জন্য স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগের।

বেইজিং এশিয়ায় অবকাঠামো পুণঃনির্মাণের জন্য বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের অংশ হিসেবে দেশটিকে বিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়েছে। যদিও ঋণের সমস্ত তহবিল দেশটির কাজে আসেনি। ২০১৭ সালে চায়না মার্চেন্টস পোর্ট হোল্ডিংস হাম্বানটোটা বন্দরটি ৯৯ বছরের জন্য ইজারা নিয়েছিল। বর্তমানে সে বন্দরেই ইউয়ান ওয়াং-৫ জাহাজটি নোঙর করা রয়েছে।
 


প্রজন্মনিউজ২৪/এসএমএ

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ