মায়ানমার : সু চির আরও ৬ বছর কারাদণ্ড

প্রকাশিত: ১৬ অগাস্ট, ২০২২ ১০:৩৬:৪৪ || পরিবর্তিত: ১৬ অগাস্ট, ২০২২ ১০:৩৬:৪৪

মায়ানমার : সু চির আরও ৬ বছর কারাদণ্ড

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ দুর্নীতির অভিযোগে মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চিকে আরও ছয় বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির জান্তা সরকারের আদালত। সোমবার (১৫ আগস্ট) দুর্নীতির চার মামলায় তাকে এ সাজা দেওয়া হয়। এর আগে দেশদ্রোহীতা, দুর্নীতিসহ আরও বেশ কয়েকটি অভিযোগে তাকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দেয় মিয়ানমারের সামরিক আদালত।

সম্প্রতি অং সান সু চিকে গৃহবন্দি অবস্থা থেকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে রাজধানী নেপিডোর একটি নির্জন কারাগারে। তার বিরুদ্ধে করা সব মামলার শুনানিতে এখন সেখান থেকেই অংশ নিচ্ছেন তিনি। জানা গেছে, নিজের প্রতিষ্ঠিত সংস্থা ডাও খিন কি ফাউন্ডেশনের তহবিলের অপব্যবহার, সরকারি মালিকানাধীন জায়গা বিশেষ ছাড়ে লিজ নেওয়া এবং নিয়ম বহির্ভূতভাবে বাড়ি তৈরির দায়ে নতুন করে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন ৭৭ বছর বয়সী অং সান সুচি।

সোমবার তাঁকে ‘দ্য ডাউ খিন কি ফাউন্ডেশনের’ তহবিল তছরুপের অভিযোগে দোষীসাব্যস্ত করে কারাদণ্ডের এ সাজা দেওয়া হয় বলে জানান ওই কর্মকর্তা। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলা নিষেধ বলে ওই কর্মকর্তা নিজের নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি। অভ্যুত্থানের পর সু চির দলের হাজার হাজার কর্মী-সমর্থককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের নির্যাতন এমনকি হত্যাও করা হয়েছে। অনেকে কারাগারে বন্দি আছেন। যাকে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ বলে বর্ণনা করেছে জাতিসংঘ।

গত বছর ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সু চি নেতৃত্বাধীন নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে মিয়ানমারের ক্ষমতায় ফেরে দেশটির সেনাবাহিনী। গ্রেপ্তার হন সু চি। শান্তিতে নোবেল জয়ী ৭৭ বছরের সু চির বিরুদ্ধে অন্তত ১৮টি মামলা হয়েছে। ঘুষ গ্রহণ থেকে শুরু করে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে করা ওই সব মামলায় সু চির সর্বোচ্চ ১৯০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। সু চি তাঁর বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক বাহিনী তার নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করার সময় নোবেল জয়ী সু চি গ্রেফতার হন। তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধের অন্তত ২০টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত হলে সু চির ১৫০ বছরের বেশি কারাদণ্ড হতে পারে। তবে তার এ মামলার শুনানির সময় গণমাধ্যমকর্মী বা অন্যরা কেউ উপস্থিত ছিলেন না। তার আইনজীবীও কথা বলার সুযোগ পাননি।

অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত রাজনীতিবিদদের গঠিত মিয়ানমারের জাতীয় ঐক্য সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিন মার অং বলেছেন, এই সিদ্ধান্তটি ‘গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিতদের অপমান করার জন্য জান্তার মরিয়া প্রচেষ্টার আরেকটি কাজ’।
 


প্রজন্মনিউজ২৪/এসএমএ

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ