নোয়াখালীতে ভেঙ্গে পড়ল নির্মাণাধীন বিদ্যালয়ের ছাদ

প্রকাশিত: ১৬ অগাস্ট, ২০২২ ১০:১০:৩৫

নোয়াখালীতে ভেঙ্গে পড়ল নির্মাণাধীন বিদ্যালয়ের ছাদ

নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ নোয়াখালীর কবিরহাটে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করায় কাজ শেষ হওয়ার আগেই ভেঙ্গে পড়ল সৌদিয়া বাজার নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিঁড়িকক্ষের ছাদ। ঘটনার পরপরই তাড়াতাড়ি করে সরিয়ে ফেলা হয় ভেঙ্গে পড়া ভবনের নির্মাণ সামগ্রী। ছাদে ওঠার সিঁড়িতেও ফাটল দেখা দিয়েছে।

সোমবার (১৫ আগস্ট) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার চাপরাশিরহাট ইউনিয়নের সৌদিয়া বাজার নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, কয়েক মাস আগে জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে বিদ্যালয় ভবনের দ্বিতীয়তলার নির্মাণকাজ শুরু হয়। হাবিব এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান কাজের ঠিকাদারি পায়। প্রতিষ্ঠানের পক্ষে মো. মুকুল নামের এক ব্যক্তি নির্মাণকাজটির সাব-ঠিকাদারি নেন। ১৭ দিন আগে দ্বিতীয় তলার মূল ভবনের কাজ শেষ করে সিঁড়িকক্ষের ছাদের ঢালাই দেওয়া হয়।

এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, ছাদের ঢালাইয়ে নামমাত্র রডের ব্যবহার করা হয়েছে। ছাদে পাঁচ ইঞ্চির মাথায় একটি রড দেওয়ার নিয়ম থাকলেও প্রতিটি রডের দূরত্ব রাখা হয়েছে এক ফুটের বেশি। এ ছাড়া অত্যন্ত নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। তদারকি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ঠিকাদারের লোকজন নিজেদের ইচ্ছেমতো কাজ করেছেন। এ অবস্থায় ভবনের দ্বিতীয় তলা কখন ভেঙ্গে পড়ে তা নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কয়েক দিন আগে ভবনের দ্বিতীয় তলায় ওঠার সিঁড়ির বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দেয়। বিষয়টি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিকে জানালেও তারা আমলে নেননি। সর্বশেষ নির্মাণের ১৭ দিনের মাথায় সোমবার সকাল ৯টার দিকে বিকট শব্দে সিঁড়ির কক্ষের ছাদ ভেঙ্গে পড়ে। বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। বিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ ভেঙ্গে পড়ার সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে পুরো এলাকায় অসন্তোষ ও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ওই ভবনের নির্মাণ কাজ বেশির ভাগ সময় রাতে করা হয় বলেও স্থানীয়রা জানায়।

কবিরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাতিমা সুলতানা খবর পেয়ে সোমবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ঢালাই দেওয়ার কারণে ছাদটি ভেঙ্গে পড়েছে বলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করছেন।

সৌদিয়া বাজার নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ শরফুদ্দিন ওরফে সবুজ বলেন, দ্বিতীয় তলার কাজ শুরু হওয়ার পর নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করতে দেখে তিনি প্রতিবাদ করেন। কাজের তদারকি করতে আসা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রতিনিধিকেও বিষয়টি জানিয়েছেন। কেউ তার কথা শোনেননি।  

অভিযোগের বিষয়ে জানতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার হাবিবুর রহমান ও সাব-ঠিকাদার মো. মুকুলের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।  

নোয়াখালী শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী দীপঙ্কর খীসা বলেন, কেউ তাকে এ বিষয়ে অবহিত করেননি। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।  
 


প্রজন্মনিউজ২৪/এসএমএ

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ