ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে উপকূল অঞ্চল

প্রকাশিত: ১৫ অগাস্ট, ২০২২ ০১:১৩:৩৩ || পরিবর্তিত: ১৫ অগাস্ট, ২০২২ ০১:১৩:৩৩

ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে উপকূল অঞ্চল

সামিউল ইসলাম, কয়রা উপজেলা প্রতিনিধিঃ ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখে খুলনা জেলার কয়রা উপজেলা কয়েকটি ইউনিয়ন, সাতক্ষীরার আশাশুনি ও শ্যামনগর। 

রোববার (১৪ আগষ্ট) পূর্ব ও দক্ষিণ দিক থেকে প্রচন্ড আকারে বাতাস প্রবাহিত হওয়ায়। উপকূল অঞ্চলের নদীর পানির উচ্চতা 3/4 ফুট বৃদ্ধি পায়। খুলনার কয়রা উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের (গোলখালী) মাটিয়া ভাঙ্গা গ্রামের আড়পাঙ্গাসিয়া ও কপোতাক্ষ নদের মোহনা থেকে ভেঙ্গে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফসলের মাঠ ও কৃষিজমি। চাষীদের মাঝে দিশেহারা অবস্থা। আতঙ্কে রয়েছেন উপকূলবাসী।

অন্যদিকে, কয়রা সদর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডে অবস্থিত স্লুইসগেটের উপরের রাস্তায় ভয়াবহ ফাটল দেখা দিয়েছে। গেইট ও রাস্তার উপর দিয়ে জোয়ারে পানি ভিতরে প্রবেশ করেছে। স্থানীয় লোকজন মসজিদের মাইক থেকে পার্শ্ববর্তী লোকজন ডেকে ১০০ অধিক মানুষ নিয়ে গেইট ও পাশের রাস্তার উপর হাতে কোদালে দু'হাত উচ্চতা ও এক হাত ব্যাস মাটির রাস্তা দিয়েছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক দ্রূত পদক্ষেপ না নিলে, যে কোন সময় ভেঙে যেতে পারে।

এদিকে পার্শ্ববর্তী মহারাজপুর ইউনিয়নে পাবনার দক্ষিণ পাশের বেড়ি বাঁধের প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তার উপর দিয়ে নদীর পানি ছাপিয়ে ভিতরে প্রবেশ করেছে।

এদিকে অস্থায়ী রিং বাঁধ দেওয়ার ২৩ দিন পর, পুণরায় দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের চরামুখা খালের গোড়া শনিবার (১৩ আগস্ট) দুপুরের জোয়ারে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ভেঙে যায়। এতে চারটি গ্রাম প্লাবিত হয়। এদিকে, গতকাল দুপুরের আগে ভেঙে যাওয়া বাঁধ মেরামত করতে সক্ষম হয়েছেন এলাকাবাসী।

এর আগে গত ১৭ জুলাই ভাটার টানে ঐ এলাকার ২০০ মিটারের অধিক জায়গা ভেঙে কপোতাক্ষ নদে চলে যায়। স্থানীয়রা স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে ভেঙে যাওয়া স্থান মেরামত করেন। সেখানে স্থায়ী বাঁধ মেরামত না হওয়ায় গতকাল আবার ফের পানি প্রবেশ করেছে। এদিকে, সাতক্ষীরার প্রতাপনগর ইউনিয়ন ও শ্যামনগর নদীর পানিতে প্লাবিত। 

বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছে ধানচাষী ও চিংড়ি চাষ মালিকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কয়েক হাজার একর কৃষিজমি। এক হাজারেরও অধিক জমি ফের প্লাবিত এছাড়াও হাজার হাজার পরিবার ভাসছে নদীর পানিতে। এসব অঞ্চলের মানুষের দুঃখ ও দুর্দশা দিনকে দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। উপকূল অঞ্চলের মানুষের একটাই দাবি স্থায়ী টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা।
 


প্রজন্মনিউজ২৪/ফিরোজ

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ