প্রকাশিত: ১৪ অগাস্ট, ২০২২ ০৩:৫৪:১৫
আন্তর্জাতিক রূপ পাচ্ছে ঢাকার সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল। প্রায় ২১ বিঘা আয়তনের টার্মিনালটির সবকিছু নতুন করে সাজানো হচ্ছে। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থাপনা ঠিক করতে নর্দমা সংস্কারের কাজ চলছে। কাউন্টারগুলো নতুনরূপে সাজানোর পাশাপাশি আন্তঃজেলা ও সিটি টার্মিনালকে আলাদা করে সংস্কার করা হচ্ছে।
দুটি টার্মিনালের মাঝে একটি ওয়াল দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া ম্যানুয়াল পদ্ধতির টোল আদায় বন্ধ করে স্বয়ংক্রিয় ভাবে টোল আদায় পদ্ধতি গড়ে তোলা হবে। ৩০ কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে আধুনিকায়নের কাজ চলছে। আর স্বয়ংক্রিয় টোল আদায় পদ্ধতি গড়ে তুলতে আরও এক কোটি টাকার কাজ করা হবে। ইতোমধ্যে প্রকল্পের ৪০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। সব কাজ শেষ করে আগামী মার্চে টার্মিনাল উদ্বোধন করতে চায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।
সরেজমিন দেখা যায়, সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের বিশাল এলাকা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা করা হয়েছে। নর্দমা নির্মাণ, সীমানা প্রাচীর, পাবলিক টয়লেট ও সিটি টার্মিনালের সংস্কার কাজ চলছে। এ ছাড়া কাউন্টারে যাত্রীদের আনা ও নেওয়ার পরিবহণের পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তৈরি করা হচ্ছে আধুনিক মানের ডরমেটরি।
জানা যায়, প্রতি বর্ষা মৌসুমে টার্মিনালের অংশ বিশেষ পানিতে তলিয়ে যায়। সেই বিষয়টি ডিএসসিসি মেয়রের দৃষ্টিগোচর হলে তিনি নর্দমা সংস্কারসহ টার্মিনাল আধুনিকায়ন কাজ শুরু করেন। রাজধানীর গণপরিবহণের শৃঙ্খলা আনয়নের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে বাসরুট রেশনালাইজেশনের কাজ শুরু হয়েছে। ওই কমিটির সভাপতি ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। কমিটির পরিকল্পনা অনুযায়ী রাজধানীর ভেতর থেকে আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল সরিয়ে ফেলা হবে। সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের আন্তঃজেলার বাসগুলো কাঁচপুরের নিকটস্থ টার্মিনালে স্থানান্তর করা হবে। তখন সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালটি সিটি টার্মিনাল হিসাবে ব্যবহৃত হবে।
জানতে চাইলে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল আধুনিকায়ন প্রকল্পের পরিচালক ও ডিএসসিসির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কাজী বোরহান উদ্দিন যুগান্তরকে বলেন, সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালকে আধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানের একটি টার্মিনালে রূপান্তরের লক্ষ্যে কাজ চলছে। আগামী বছরের মার্চে টার্মিনালটি নতুনরূপে উদ্বোধন করা সম্ভব হবে।
এ প্রসঙ্গে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, সায়েদাবাদ আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালকে আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন টার্মিনালে রূপ দেওয়া হবে। সে লক্ষ্যে ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে কাজ চলছে। কয়েকটি প্যাকেজে কাজগুলো বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এখন নর্দমা, সেন্ট্রাল ডিপো, স্টাফদের থাকার ব্যবস্থা, বাউন্ডারি ওয়াল, পুরনো স্থাপনা মেরামতসহ কয়েকটি কাজ চলছে।
তিনি বলেন, সায়দাবাদ বাস টার্মিনাল অনেক পুরোনো। দীর্ঘ দিনেও কোনো সংস্কার হয়নি। এখানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। অবকাঠামো খারাপ অবস্থায় ছিল। জলাবদ্ধতা নিরসন চিন্তা থেকে সংস্কারকাজ শুরু করতে গিয়ে অন্যান্য বিষয়ও যুক্ত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে আলাদাভাবে বাস রাখার ব্যবস্থা, শ্রমিকদের বিশ্রামের জায়গা, সাধারণ মানুষের জন্য শৌচাগারের ব্যবস্থা এবং যাত্রীরা যেন টার্মিনালের ভেতরে ঢুকে সেবা নিতে পারেন সে ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। এ ছাড়া আরও দুটি আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল নির্মাণ কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। একটি কাঁচপুরে ও অপরটি কেরানীগঞ্জে। দুটির মধ্যে একটির জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে।
প্রজন্মনিউজ২৪/ ইমরান
পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছে কুয়াকাটা
বিশ্ব বই দিবসে নিজের কক্ষেই লাইব্রেরি গড়ে তুললেন রাবি শিক্ষার্থী আকরাম
পটুয়াখালীর বাউফলে হিটস্ট্রোকে পুলিশ সদস্যের মৃত্যু
আধুনিক ওয়ার্ড গঠনে কাউন্সিলর প্রার্থী হতে চান সোহেল
আফ্রিকায় বাংলাদেশি বক্সারের স্বর্ণজয়
খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় বন্দি করা হয়েছে তা সর্বজনবিদিত
রাবিতে বিশ্ব বই দিবস উপলক্ষে বইপাঠ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত
দক্ষিণ লেবাননে ফসফরাস বোমা হামলার কারণ জানালো ইসরায়েল
খুলনায় বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায়
দিনাজপুরে বাঁশের ফুল থেকে চাল, হচ্ছে পায়েস, আটা, ভাত ও পোলাও