মিঠাপুকুরে কৃষকের কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ 

প্রকাশিত: ০৯ অগাস্ট, ২০২২ ০৬:২৪:৩৯

মিঠাপুকুরে কৃষকের কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ 

খন্দকার রাকিবুল ইসলাম, রংপুর জেলা প্রতিনিধি: রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ভাংনী ইউনিয়নে কৃষকের কাছে থেকে কোটি টাকার আলু নিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে।ভুক্তভোগী কৃষকদের মধ্যে ১২ জন মিঠাপুকুর থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছে।

থানার এজাহার সূত্রে জানা যায় ব্যবসায়ী শাহাদাত হোসেন ১২ জন কৃষকের কাছে থেকে ২০৩২১৯৯ টাকা মূল্যের আলু নিয়ে ১১/০৩/২০২২ইং তারিখের মধ্যে সমস্ত টাকা জন প্রতি বুঝিয়া দেয়ার মৌখিক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হলেও  আলু বিক্রি করার পরও এই দিব,দুই/একদিনের মধ্যে দিব বলিয়া টালবাহনা করে এযাবত পর্যন্ত টাকা পরিশোধ করে নাই।শাহাদতের দেয়া তথ্য অনুযায়ী গত ০৩/০৮/২০২২ ইং তারিখে আনুমানিক ৮.০০ ঘটিকার সময় কৃষকগণ শাহাদত হোসেনের বাড়িতে গিয়ে টাকা চাহিলে ব্যবসায়ী শাহাদত ও তার বাড়ির লোকজন গালিগালাজ করে প্রকাশ্যে বলে টাকা দিব না।আত্মসাৎ করবো।মারপিট ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসাইয়া দেয়ার হুমকি দেয়।

ভুক্তভোগী কৃষক শহিদ মিয়া(৫৫) ও অন্যান্যরা জানায়, হুলাশুগঞ্জ বাজারে দীর্ঘদিন ধরে আলু,ধান,পাটের ব্যবসা করে আসছে ভাংনী ইউনিয়নের জগনান্দপুর গ্রামের বাসিন্দা ব্যবসায়ী শাহাদত হোসেন(৩৬) ও তার পিতা শামছুল হুদা(৬০)।একই সঙ্গে সহযোগী হিসেবে রায়পুর গ্রামের আব্দুর রহমান।দীর্ঘদিনের পরিচিত হওয়ায় নামেমাত্র বায়না নিয়ে সরল বিশ্বাসে ব্যবসায়ী শাহাদাতকে আলু দিয়েছিলো।তার দেয়া সময় অনুযায়ী কৃষকদের বকেয়া পরিশোধ না করে উল্টো এখন গালিগালাজ ও মারপিটের হুমকি দিচ্ছে।বাধ্য হয়ে আমরা আইনের আশ্রয় নিয়েছি।আমাদের বাহিরেও অত্র এলাকার অসংখ্য কৃষক তার কাছে টাকা পায়।ঋণ করে আমরা আলু আবাদ করেছি।প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের আকুল আবেদন।আমরা এর ন্যায্য বিচার চাই।

ভাংনী ইউনিয়নের রায়পুর, নয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা খায়রুল ইসলাম জানান,শাহাদাত ব্যবসায়ী কৃষকদের কাছ থেকে ২ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা মূল্যের আলু নিয়ে মাত্র ৩০ লক্ষ টাকা পরিশোধ করেছে।বাকি ২ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা আত্মসাত করে পালিয়ে গেছে।তিনি আর এলাকায় আসেন না।কৃষকরা ব্যাংক ঋণ ও ধার দেনা করে আলু আবাদ করেছিলো।তারা এখন ঋণে জর্জরিত হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে।

ব্যবসায়ী শাহাদত হোসেন জানান, পুরো ইউনিয়ন মিলে আমার কাছে ৩১ লক্ষ টাকা পাবে।এর মধ্যে ১৭/১৮ লক্ষ টাকা বাকি রয়েছে।অবশিষ্ট টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।স্টোরে আলু পঁচে যাওয়ার কারণে আমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।অভিযোগকারী ১২ জন কৃষক আমার কাছে ৪/৫ লক্ষ টাকা পাবে।কোটি টাকা আত্মসাতের বিষয়টি মিথ্যে।টাকা পরিশোধের জন্য  আমাকে আরো সময় দিতে হবে।

এবিষয়ে কথা বলতে মিঠাপুকুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজার রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।


প্রজম্মনিউজ২৪/ফারহান আহমেদ

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ