প্রকাশিত: ০৭ অগাস্ট, ২০২২ ০৫:৫১:২৫
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: চট্টগ্রামে পড়তে আসা শিক্ষার্থীরা ভুগছেন আবাসিক সংকটে। চট্টগ্রামের গ্রামান্ঞ্চল থেকে পড়তে আসা শিক্ষার্থীরা ভালো কলেজে সুযোগ পেলেও আবাসনের অভাবে অনেকেই পড়ছেন বিপাকে। দিন দিন এ সংখ্যা আরও প্রকট আকার ধারন করছে
চট্টগ্রাম কলেজ, মহসিন কলেজ, সিটি কলেজ, উইমেন কলেজ সহ বেশির ভাগ কলেজেই প্রতিবছর বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী গ্রাম থেকে উচ্চমাধ্যমিকে পড়ার সুযোগ পায়। বিশেষত মহসিন কলেজের প্রতিটি বিভাগেই দক্ষিন চট্টগ্রামের এলাকাগুলো থেকে আসা শিক্ষার্থীদের সংখ্যা ব্যাপক। শহুরে ছাত্র থাকলেও তা গ্রাম থেকে আসা ছাত্রদের সমানুপাতিক বলা চলে। কিন্তু হুট করে আসা এতগুলো ছাত্রের আবাসনের জন্য হোস্টেল পাওয়া বেশ কষ্টসাধ্য। ফলে থাকতে হয় মেসে।
মেসগুলোও আবার শহরের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় অবস্থিত। ফলে সব মিলিয়ে ছাত্রদের কস্ট বেড়ে যায় বহুগুন। ব্যাঘাত ঘটে পড়াশুনায়। কক্সবাজার, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া,আনোয়ারা,চকরিয়া,রামু ইত্যাদি উপজেলা থেকে ছাত্ররা আসেন প্রতি বছর।
যদি আবাসন পাওয়াও যায় তবে তাদের বেশির ভাগই হয় নগরীর ডিসি রোড, মৌসুমী আবাসিক, বগারবিল, রাহাত্তারপুল ইত্যাদি এলাকায়। সামান্য বৃস্টিতেই এসব এলাকা হাঁটু পানিতে তলিয়ে যায়। ফলে ক্লাস করা কিংবা পড়াশোনায় ঘটে তীব্র ব্যাঘাত। কলেজ গুলোর কাছাকাছি তথা চকবাজার এরিয়ায় মেস করে থাকতে হলেও গুনতে হয় স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি টাকা।
আবাসন সমস্যার সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী সম্ভবত নারী শিক্ষার্থীরা। ভালো কলেজে চান্স পেলেও ভালো আবাসনের অভাবে পারছেন না শহরের কলেজে ভর্তি হতে। যাদের আত্নীয় শহরে থাকে তারা কিছুদিনের জন্য থাকতে পারলেও পারিবারিক সমস্যা থাকলে সেটাও টিকে না বেশিদিন, ফলে বাধ্য হয়ে হোস্টেল গুলোতে থাকতে হয় অনেককে। অথচ হোস্টেল গুলোর সেবার মান নিয়েও রয়েছে দারুন অসন্তোষ। সব মিলিয়ে এমন অনেক নারী শিক্ষার্থী আছেন যারা মেধাবী হবার পরও শহরে পড়াশুনা করতে পারছেন না।
চট্টগ্রাম কলেজের এক শিক্ষার্থী প্রজন্ম নিউজকে জানান তার দুঃখের কথা তিনি জানান "আমি ও আমার বোন চট্টগ্রাম কলেজে চান্স পেয়েছিলাম, কিন্তু আমি এখন পড়তে পারলেও আমার বোনকে গ্রামেই থাকতে হচ্ছে কারন এখানে আবাসন খুব বেশি সংকট,"
আকরাম হোসেন নামে মহসিন কলেজের এক শিক্ষার্থী জানান " আমাদের বাবা মা অনেক কস্ট ও অনেক পরিশ্রম করে শহরে পাঠান আমাদেরকে, কিন্তু এখানে আবাসনের সমস্যা আছে, মেসে থাকটা ভীষন কস্টের তবুও শুধু মা বাবার দিকে চেয়ে বসে আছি "
উল্লেখ্য, শিক্ষাবোর্ড সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামের সরকারি কলেজগুলোতে সর্বমোট আসন সংখ্যা আছে ৫৯২৫টি।
প্রজন্মনিউজ২৪/ইজা
গাজা: বিমান হামলায় বেঁচে যাওয়া বালকের প্রাণ গেল সাহায্য নিতে গিয়ে
পর্তুগালে বাংলাদেশি স্থপতি মেরিনা তাবাসসুমের স্থাপত্য প্রদর্শনী
৪৭ জনকে বৃত্তি প্রদান ও ৪ গুণীজনকে সম্মাননা
ভুল আবেদনে স্বপ্ন পূরণ হলো না স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত বেরোবি শিক্ষার্থীর
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্ত পাঁচটি কলেজ
ফোর্বসের শতকোটিপতিদের তালিকায় বাংলাদেশের আজিজ খান
বুয়েটের শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ালেন- অপি করিম
আগুন-সন্ত্রাসীদের জন্য বিএনপির মায়াকান্না কেন