প্রেমের সম্পর্ক গড়ায় বিয়েতে। কিন্তু সেই বিয়ের দুই মাস যেতে না যেতেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দেখা দেয় কলহ। এরপর গত ২৮ জুন সকালে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হলে স্ত্রী স্মৃতিকে শ্বাসরোধে হত্যা করে পালিয়ে যান স্বামী জাহিদুল। এ ঘটনায় তার স্বামী জাহিদুল ইসলামকে (২৭) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। স্ত্রী স্মৃতি হত্যার কথা স্বীকারও করেছেন জাহিদুল।

বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) বিকেলে র‌্যাব-১ এর পোড়াবাড়ী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার এএসএম মাঈদুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।

নিহত খাদিজা বেগম স্মৃতি বারতোপা গ্রামের মৃত বাহাদুর খাদেমের মেয়ে। গ্রেপ্তার জাহিদুল ইসলাম জেলার শ্রীপুর উপজেলার কেওয়া পশ্চিম খণ্ড গ্রামের সবুর উদ্দিনের ছেলে।

র‌্যাব কর্মকর্তা এএসএম মাঈদুল ইসলাম জানান, গত ২৮ জুন গাজীপুরের শ্রীপুরের বারতোপা গ্রামের বাবার বসতঘর থেকে খাদিজা বেগম স্মৃতির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরিবারের পক্ষ থেকে ঘটনাটি হত্যাকাণ্ড বলে জানানো হয়। ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব তদন্ত শুরু করে। বৃহস্পতিবার গোপন সংবাদে স্মৃতির স্বামী জাহিদুলকে রাজধানীর ধানমন্ডির গ্রিনরোড এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জাহিদুল র‌্যাবকে জানান, স্মৃতির সঙ্গে তার পরিচয়ের পর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ঈদুল ফিতরের আগের দিন পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। প্রথমে তাদের সম্পর্ক ভালো ছিলো কিন্তু পরে নানা বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য তৈরি হয়। বিভিন্নজনের সঙ্গে স্মৃতির অবৈধ সম্পর্ক আছে বলে সন্দেহ হলে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। গত ২৮ জুন সকাল ১০টার দিকে স্মৃতির সঙ্গে আবারও ঝগড়া ও হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে স্মৃতিকে গলাচেপে শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহ বসতঘরে রেখে পালিয়ে যান জাহিদুল।

শ্রীপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানান, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের মা আলেয়া বেগম বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় মামলা করেছেন। শুক্রবার (৫ আগস্ট) আসামিকে আদালতে পাঠানো হবে।

প্রজন্মনিউজ২৪/এমআরএ